তারেক রহমানের অতুলনীয় নেতৃত্ব
তারেক রহমান সম্পর্কে লিখতে গেলে প্রথমেই মনে আসে তার পরিবারের গৌরবময় ঐতিহ্যের কথা। তার পিতা হলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, যিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। ‘উই রিভোল্ট’ বা ‘আমরা বিদ্রোহ করলাম’ বলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করে দিয়েছিলেন তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতেই এবং তারপর থেকে রণাঙ্গনের সম্মুখভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একজন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। লাভ করেছেন বীর উত্তম খেতাবও। সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ, সাধারণ জনগণ, রাজনীতিবিদ আর আপামর নেতা-কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের দেশটা স্বাধীন হয়েছে। সাহায্য করেছে বিদেশি বন্ধুভাবাপন্ন ও আমাদের স্বাধীনতার প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন রাষ্ট্রসমূহ। মনে রাখা জরুরি যে, মুক্তিযুদ্ধের শাশ্বত চেতনা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও সার্বভৌমত্বের স্পৃহা ছিল আমাদের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যারা স্বাধীনতার পরপর ক্ষমতায় বসলেন তারা ক্ষমতাসীন হবার অব্যবহিত পরপরই গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ধ্বংস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করলেন। দেশে দুর্ভিক্ষ, খুন, হত্যা, রাহাজানি ও বিশৃঙ্খলা চরম আকার ধারণ করল। জনগণ সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে পড়ল । ফলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে একটি দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে একদলীয় বাকশালী সরকারের পতন হলো। উল্লেখ্য যে, বাকশালী অপশাসনের এই পতনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আর কেউ নয়, আওয়ামী লীগেরই শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী ও তার মন্ত্রিসভার অন্যতম জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে তৎকালীন সেনাবাহিনীর মধ্যম সারির কিছু কর্মকর্তা রক্তক্ষয়ী এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটায় ১৯৭৫ সালের মধ্য আগস্টে যাতে বাকশালী রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব সপরিবারে নিহত হন। এরপর খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগেরই তৎকালীন নেতৃবৃন্দ সরকার গঠন করে। তিন মাসের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশররফের নেতৃত্ব ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে ঘটানো পাল্টা অভ্যুত্থানে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে। পরপর ঘটে যাওয়া অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের কারণে দেশে সীমাহীন অরাজকতা চলতে থাকে। ফলে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার সম্মিলিত বিপ্লবের মাধ্যমে সবাই একমত হয়ে তখনকার সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। জেনারেল জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন, ইসলামী মূল্যবোধ, দেশকে স্বাবলম্বী করার জন্য ১৯ দফা কর্মসূচি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূূর্ণ করার জন্য খাল কেটে ফসলের জন্য পানি আনার ব্যবস্থা করেন। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন কায়েম করেন তিনি। জনগণ পূর্ণাঙ্গ শান্তি ও স্বস্তি ফিরে পায়। তারেক রহমান নিজের পিতাকে বেশ কয়েকটি ভূমিকায় যথা স্বাধীনতার ঘোষক, সেনাবাহিনীর প্রধান ও সর্বশেষ সফল রাষ্ট্রপতি হিসেবে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। জনকল্যাণমূলক কর্মকা-ে বাবার অক্লান্ত পরিশ্রম তার মনে গভীর দাগ কেটেছিল। অন্যদিকে স্নেহময়ী মায়ের স্নেহ মমতায় লালিত-পালিত হয়ে একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পান তিনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে কয়েকজন বিপথগামী সেনা কর্মমর্তার চক্রান্তে চট্টগ্রাম সাকির্ট হাইজে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হন। তার জানাজায় ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ শরিক হন। হাটে, বাজারে, রাস্তায়, শহর বন্দরে মানুষ কাঁদতে থাকে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে জনমতের চাপে ও নেতাকর্মীদের আহ্বানে তারেক রহমানের মা বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি-তে যোগদান করেন। বিপুল জনপ্রিয়তা ও অসাধারণ কর্মদক্ষতার মাধ্যমে পার্টির কাউন্সিলে তিনি চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। এরশাদ স্বৈরাচার শাসন ব্যবস্থা চালালে তিনি আপসহীন নেত্রী হিসেবে সংগ্রাম করে পরবর্তীকালে ‘দেশনেত্রী’ উপাধিতে ভূষিত হন। মূলত: তার আপসহীন আন্দোলনের ফলেই ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হয়। তারেক এই ঘটনাবহুল স্বৈরাচারবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে তার মায়ের আপসহীন ভূমিকার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। এর পরপর অনুষ্ঠিত ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশনেত্রী মোট ৫টি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় গৌরবের আসনে আসীন হয়ে আছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিভাবে সারাদেশজুড়ে পদ্ধতিগতভাবে একটি প্রচারণা কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করা যায় তাও প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ করেছিলেন তারেক রহমান ১৯৯১ সালের নির্বাচনে মায়ের আশেপাশে অবস্থান করে। এখানে উল্লেখ্য যে, তারেক রহমান ১৯৯০ সালেই পৈত্রিক নিবাস বগুড়া জেলায় বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করেন। তিনি পার্টির তৃণমূল পর্যায় থেকে কাজ শুরু করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি হেরে যায়। কিন্তু তারপর ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি আবারো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। উল্লেখ্য যে, তারেক রহমান ২০০১ সালের নির্বাচনের প্রচারণা কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং তার আধুনিক প্রচারণা কৌশল ও এর অভূতপূর্র্ব সাফল্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। তিনি ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে নেপথ্যে থেকে পার্টির তরফে নির্বাচন পরিচালনার কাজ করতে থাকেন। ২০০২ সালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। তার সাংগঠনিক দক্ষতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। তিনি ৬৪টি জেলাকে পার্টির কাজের সুবিধার জন্য কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করেন। যুব সমাজকে রাজনীতিতে প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন এবং তৃণমূল পর্যায়ে নিবিড় গণসংযোগের সুবাদে অতি অল্প সময়ের মধ্যে সারাদেশের যুব সমাজ ও পার্টির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশনে পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তারেক রহমান এযাবৎকাল তার পিতা ও মাতার রাজনৈতিক আদর্শের আলোকে পার্টির কর্মসূচি সুচারুভাবে পরিচালনা করেছেন। প্রয়োজনমত যুগের উপযোগী কিছু অনুষঙ্গও তাতে সংযোজন করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, নির্বাচনের মাধ্যমে শুধুমাত্র ক্ষমতার পালাবদলই হতে থাকবে যতক্ষণ না তৃণমূলের মানুষের কাছে রাজনীতিকে অর্থবহভাবে নিয়ে যাওয়া যাবে। তার মতে, তৃণমূলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার যদি উন্নতি করা না যায় তাহলে রাজনীতি আপামর জনগণের জন্য কল্যাণকর কিছু করতে পারবে না। তিনি ১৬ কোটি লোকের ক্ষমতায়ন চান এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রতিটি নাগরিককে সচ্ছল ও স্বাবলম্বী করে তুলতে বদ্ধপরিকর। তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন হলো, বাংলাদেশকে একটি জণকল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত করা। তিনি চান খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে। বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্য সকল রাষ্ট্রের কাছে সম্মানজনকভাবে উপস্থাপন করা এবং পারস্পরিক লেনদেনের নীতির ভিত্তিতে সমমর্যাদাভিত্তিক দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার সম্পর্ক গড়ে তোলা তার অন্যতম লক্ষ্য।
তিনি প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের নাম, ঠিকানা, কর্মময় জীবনযাত্রা, তার ডায়েরি বা ডিস্কে ধরে রেখেছিলেন। আর একই সাথে তার মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে প্রয়োজনমাফিক যোগাযোগ রাখার ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। প্রয়োজনে কাউকে ডেকে কথা বলেছেন, জানতে চেয়েছেন স্থানীয় পর্যায়ে কোনো সমস্যা আছে কিনা। এই যে সরাসরি যোগাযোগের প্রক্রিয়া তিনি চালু করেছিলেন, এতে সবাই বিশেষ করে তৃণমূলের লোকজন খুবই খুশি হয়েছে। তারা মন খুলে তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তাদের প্রিয় নেতার কাছে বলতে পেয়েছে যা আগে কখনো সম্ভব ছিল না। এই যে সংযোগ নেতার সাথে তার কর্মীদের, মাঠপর্যায়ের সংগঠকদের, এটা হলো রাজনীতিতে এক অনন্য সেতু বন্ধন। রাজনীতিতে একজন নেতার ক্রমাগত উত্তরণের বাহন। তারেক রহমান খুব দ্রুততার সাথে রাজনীতিতে তার বিশেষ স্থানটি করে নিতে পেরেছেন এবং নিজের অবস্থানকে একসময়কার তৃণমূলের সংগঠক থেকে জাতীয় শীর্ষ নেতৃত্বের পর্যায়ে উত্তরণ ঘটিয়েছেন। আমার মতে, তিনি নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে এক অনন্য অবস্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন ইতোমধ্যে এবং নির্মোহভাবে বিচার করলে দেখা যায় যে, তার সমসাময়িককালের অন্য কোনো রাজনীতিবিদই তার তুল্য জনপ্রিয় নয়। এককথায় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কা-ারি তিনিই এবং বাংলাদেশকে একবিংশ শতাব্দীতে নেতৃত্ব দিয়ে আরাধ্য লক্ষ্যস্থলের দিকে এগিয়ে নেবেন তো তিনিই।
লক্ষ্য করেছি যে, ঘরোয়া বৈঠক, সভা, সমিতি ও সম্মেলনে সঠিক সংলাপ সাবলীল বাংলা কিংবা ইংরেজিতে প্রয়োজনমত বলেন তিনি। উপরন্তু এতে থাকে আন্তরিকতার ছোঁয়াও। ফলে দেখা ও আলাপের পর সচরাচর কেউ তাকে ভোলে না। আর তিনিও কাউকে ভোলেন না, অনন্যসাধারণ স্মৃতিশক্তির সুবাদে। তার ওপর প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি সময়মত স্মরণে আনার জন্য নিজের ডায়েরিতে গুছিয়ে লিপিবদ্ধ করে রাখেন তিনি। বর্তমান সরকার তাকে ভীষণ ভয় করে, কারণ তিনি অসম্ভব জনপ্রিয় সারাদেশে এবং পিতামাতার মতই একনিষ্ঠ আদর্শবাদী। তাকে আরো অভিহিত করা যায় পার্টির তৃণমূলের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত একজন সার্বক্ষণিকভাবে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী এবং খাঁটি আদর্শবাদী এক নেতা হিসেবে। তাই ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তারিখের পর থেকে তার উপর প্রচ- অত্যাচার শুরু হয়। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছিল ১১ জানুয়ারির সাংবিধানিকভাবে অবৈধ ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের ছদ্ম সামরিক সরকার। যার ফলে দীর্ঘকাল যাবৎ তিনি বিদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি অব্যাহত রয়েছে তার রাজনীতির চিন্তা-ভাবনা শানিত করার কাজটিও। বিদেশে অবস্থান করেও প্রয়োজনমত বাংলাদেশে সরকারের মিথ্যাচার, কুশাসন, গুম, খুন, রাহাজানি, অন্যায়, অত্যাচার, অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা নিয়ে থাকেন তিনি। সরকার তার নামে বহু মিথ্যা মামলা দিয়েছে। একটা মামলায় তিনি নিম্ন আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন। বাংলাদেশে আইনের শাসন নিশ্চিত হলে সব মিথ্যা মামলাতেই তিনি খালাস পাবেন বলে আমি মনে করি।
পরিশেষে জনাব তারেক রহমানের ৫৩তম জন্ম দিবসে তাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন এবং কামনা করি তার অনেক দীর্ঘ ও সুখী জীবন।
লেখক- ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার।