তেঁতুলিয়ায় অস্ত্র দিয়ে নারীকে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ
নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের বিরুদ্ধে এক নারীকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে একই সময়ে পরিবারের অপর এক ব্যক্তিকে আটক করলেও ৫০ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সদস্যরা।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই তেঁতুলিয়া মডেল থানায় লিটন ও ঝর্নাকে আসামী করে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। তবে লিটনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে লিটনকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন তার স্ত্রীকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এমনকি অভিযানের সময় লিটনের সেজ ভাই খাজা নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে গাড়িতে তুললেও পরে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যরা লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তাদের অভিযোগ প্রদান করেন। ভুক্তভোগী পরিবার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। যদিও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মীরা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তেঁতুলিয়া থানার প্রেমচরনজোত এলাকার মৃত মোখলেসুর রহমানের পুত্র চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মো: নুজিমুদ্দিন লিটনের বসতবাড়িতে মাদক নিয়ন্ত্রণ দপ্তর অভিযান পরিচালনা করেন। এই সময় একটি সচল আগ্নেয়াস্ত্রসহ (পিস্তল) পলাতক নুজিমুদ্দিন লিটনের স্ত্রী ঝরনা বানুকে (২৭) আটক করা হয়। পুলিশের চার সদস্য এই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরে ঝর্নাকে তার এক বছরের শিশু সন্তানসহ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
ভুক্তভোগিরা জানান, লিটন ও তার মা দুজনই অসুস্থতায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে রবিবার বাড়ি ফিরেন। সোমবার আকস্মিক এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় লিটন বাসায় উপস্থিত ছিলেন না।
মঙ্গলবার গ্রেপ্তার ঝর্না বেগমকে তার এক বছরের মেয়েসহ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। নিরাপরাধ শিশুটিকে মায়ের সাথে কারাবাসে থাকতে হবে।
পঞ্চগড় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মান্নান বলেন, লিটন তালিকাভুক্ত আসামি। লিটনের বাসায় অভিযানের সময় তাকে না পেয়ে ওই মহিলাকে পাওয়া গেছে, এজন্য তাকেই আটক করা হয়েছে।