দুই দিনব্যাপী শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র’র ১৩২ তম শুভাবির্ভাব মহা মহোৎসব শুরু
সৈয়দ আকতারুজ্জামান রুমী, পাবনা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পাবনায় দুই দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র’র ১৩২ তম শুভাবির্ভাব মহা মহোৎসব সহ ৫২ তম বার্ষিক গঙ্গা স্নানোৎসব ও ২৪ তম ঋত্বিক অধিবেশন শুরু হয়েছে। সৎসঙ্গ বাংলাদেশ এর আয়োজনে এ উপলক্ষে দইদিন ব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার পাবনা শহরের সিটি কলেজ মাঠে সকালে ঠাকুর পূজা, সন্ধ্যায় প্রার্থনা শেষে বিশেষ ধর্মালোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামীকাল সোমবার শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র’র পুণ্যতীর্থ ভূমি হিমাইতপুরস্থ সম্বলপুর ঘাটে গঙ্গা স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল রোববার শহরের সিটি কলেজ মাঠে সন্ধ্যায় প্রার্থনা শেষে বিশেষ ধর্মালোচনা সভায় সৎসঙ্গ বাংলাদেশ’র সভাপতি শ্রী কুঞ্জবিহারী আদিত্য’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল রহিম লাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীমা আকতার, সৎসঙ্গভারতের অচিন্ত চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সৎসঙ্গ বাংলাদেশ’র সম্পাদক শ্রী ধৃতব্রত আদিত্য। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সৎসঙ্গ বাংলাদেশ’র তপন সরকার হরি।
উৎসব মুখোর পরিবেশে সৎসঙ্গ বাংলাদেশ’র এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র’র ভক্ত হাজার হাজার নারী ও পুরুষ সমবেত হয়েছেন। তাঁরা সকলেই তাদের সৎসঙ্গ’র প্রতিষ্ঠাতা যুগ পুরুষোত্তম পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র’র ঠাকুরের পুণ্যতীর্থ হিমাইতপুর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র’র শুভাবির্ভাব মহা মহোৎসব, বার্ষিক গঙ্গা স্নানোৎসব ও ঋত্বিক অধিবেশন এবং মাতৃ সম্মেলন এর পাশাপাশি হিমাইতপুরস্থ বিশ্ববিজ্ঞান কেন্দ্র প্রাঙ্গনে ভোরে উষাকীতর্ত্তন ও বিভিন্ন ধর্ম্মগ্রন্থাদি পাঠ, শ্রী শ্রী ঠাকুরের শুভ জন্মলগ্ন ঘোষণা, সমবেত বিনতি প্রার্থনা এবং শহরের মুনসেফ বাবু রোডের ঠাকুর বাড়িতে ঋত্বিক অধিবেশন সহ দুপুরে আনন্দ বাজারে প্রসাদ বিতরণ, বিভিন্ন ধর্ম্মগ্রন্থাদি পাঠপর্ব ও সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশ নেবেন। আয়োজক’রা বলছেন, প্রতিবারের ন্যয় এবারেও শহরের গোপালপুর ঠাকুর বাড়িতে ঋত্বিক সম্মেলন ও মাতৃ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ঠাকুর ভক্তদের আবাসন স্থল হিসেবে শহরের গোপালপুর মুনসেফ বাবু সড়কের ঠাকুর বাড়ি সহ ১১টি স্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে খাবারের স্থান হিসেবে কাচারীপাড়া জিসি আই স্কুল নির্ধারন করা হয়েছে। সৎসঙ্গ বাংলাদেশ এর আয়োজনে দুদিন ব্যাপি নানা কর্মসূচিকে ঘিরে পাবনার সর্বত্র উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।