শ্রীপুরে ফিডারের দুধে বিষ মিশিয়ে শিশু হত্যা
আইন–আদালত ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চকপাড়া এলাকায় ফিডারের (বোতলের) দুধে বিষ মিশিয়ে আট মাসের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার মায়ের বিরুদ্ধে।
নিহত শিশু আদনান লাবিব সাদ’র মা সামিয়া আক্তার বিথিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিথি স্থানীয় মো. হারুন অর রশিদের স্ত্রী।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক নিহতের বাবার বরাত দিয়ে জানান, আড়াই বছর আগে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার করিম মিয়ার মেয়ে বিথির সাথে বিয়ে হয় শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চকপাড়া এলাকার হারুনের। বিয়ের পর ভালই কাটছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। সন্তান গর্ভধারণের কিছু পর থেকেই হারুন-বিথি দম্পতির মধ্যে পারিবারিক নানা বিষয়াদি নিয়ে মাঝে-মধ্যেই কলহ হচ্ছিল।
বুধবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্বামী হারুন স্ত্রী-সন্তান রেখে নিজ ঘর থেকে বের হয়ে তার মায়ের ঘরে ঘুমোতে চলে যায়। কিছুক্ষণ অবস্থানের পর হারুনের মা হামিদা বেগম তাকে বুঝিয়ে আবার তার (ছেলের) ঘরেই পাঠিয়ে দেয়। এ সময় হারুন ঘরে গিয়ে দেখতে পান তার শিশু পুত্র বমি করছে এবং তার শরীর ও হাত-পা অনেকটা নীল বর্ণ ধারণ করেছে। এ দৃশ্য দেখে বাবা হারুন ডাক চিৎকার শুরু করে। এ সময় আশ-পাশের লোকজন ছুটে আসে এবং হাসপাতালে নেয়ার আগেই শিশুটি মারা যায়।
বিথির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বিথি খুবই খিটখিটে ও বদমেজাজ স্বভাবের। বুধবার রাতে ঝগড়ার পর স্বামী ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে বিথি রাত ১১টার দিকে ঘরে থাকা কীট নাশক দুধের ফিডারে মিশিয়ে সাদকে খাইয়ে দেয়। এর কিছু সময় পরই সাদ বমি করে ও মারা গেছে। কিন্তু সাদ এত দ্রুত মারা যাবে এটা মা বুঝতে পারেননি বলেন বিথি।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই শিশুর লাশ উদ্ধার ও তার মা বিথিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিথি দুধে বিষ মিশিয়ে তার সন্তানকে হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সাদের বাবা মো. হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক বিথিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।