খানসামার পাকেরহাটে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ না থাকায় দূর্ভোগে এলাকাবাসী ও ক্রেতা-বিক্রেতা
ভূপেন্দ্র নাথ রায়, খানসামা(দিনাজপুর) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
খানসামার পাকেরহাটে পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। রাস্তাগুলো হয়ে যায় চলাচলের অনুপযোগী। সপ্তাহে দু’দিন, শনিবার ও মঙ্গলবার পাকেরহাট বসে। এলাকার মানুষের অন্যতম ব্যবসায়িক কেন্দ্র এই পাকেরহাটে প্রায় সবকিছুই ক্রয় বিক্রয় হয়। বিভিন্ন ধরণের দ্রব্য বিভিন্ন খানে বিক্রয় হয়। বাংলাদেশের রসূনখ্যাত কাচিনিয়া বাজারের পর অন্যতম হাট পাকেরহাট। জমিরউদ্দীন শাহ গার্লস স্কুল কলেজ এর সামনে মাঠে এ রসূনের বাজার বসে। কিন্তু বৃষ্টি হলে মাঠটি পানিতে পূর্ণ হয় এবং রসূন বিক্রি করতে ক্রেতা- বিক্রেতার প্রচুর অসুবিধা হয়।
অন্যদিকে ধানের হাট বসে গ্রোয়াস মার্কেট সংলগ্ন নিচু মাঠে। সেখানে একটু পানি হলেই কাদা কিংবা পানি জমে থাকে। ফলে ধানের বস্তা ভিজে যায়।
পাটের মৌসূমে আঙ্গার পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত পাট বিক্রি হয়। ফলে যানবাহনসহ চলাচলের ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
সরকার প্রতিবছর এই হাট থেকে হাজার হাজার টাকা রাজস্ব আয় করছে। তবুও পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অল্প পানিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে অচল হয়ে পরে হাটের ধান হাটি, রসুন হাটি,শাপলা চত্বর, বেলতলী মার্কেটসহ হাটের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। বৃষ্টির সময় পানি ও কাদার মধ্যে ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালিয়ে আসতে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। চলতি বছরে প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকায় এই হাট ইজারা দেয়া হয়েছে।
হাটের ব্যবসায়ী আমিনুল, সামিউলসহ আরো অনেকে জানান, বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার কারণে ব্যবসার কাজকর্ম করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে এবং চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
দোকান মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক দীপক চন্দ চন্দ জানান, খানসামা তথা দিনাজপুরের অন্যতম বড় হাট এবং গ্রামীন শহর এই পাকের হাট। এখানে আমরা প্রতিবছর লক্ষ্লক্ষ টাকা সরকারকে কর দিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের এবং সাধারণ ক্রেতাদের বেচা বিক্রি ও চলাচলের জন্য পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যাবস্থা নেই।
আংগারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা শাহ জানান, ব্যাপারটা আমার অবগত। উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান শাহের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাননীয় মন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।