মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, বিক্রি শুরু
মাংস ব্যবসায়ীদের চার দফা দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে সরকার। একইসঙ্গে সরকার গাবতলীতে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল হকের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে মাংস ব্যববসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম জানান, ক্রেতাদের গলা কেটে টাকা আদায় করতে আমাদের ইচ্ছে করে না। কিন্তু হুণ্ডি ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও ইজারাদারদের কারণে আমাদের তা করতে হচ্ছে।
তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা, গাবতলী গরুহাটের ইজারাদার ও সন্ত্রাসী কালা মইজ্জা বাহিনী ব্যবসায়ীদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। এই অবস্থা দূর করে গাবতীলতে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে এবং সীমান্ত থেকে গাবতলী পর্যন্ত চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। তাহলে, ৩শ’ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব হবে।
এ সময় তিনি দাবি করেন, প্রতিবছর ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আনতে হাজার হাজার কোটি টাকা হুণ্ডির মাধ্যমে পাচার হচ্ছে। এই টাকার কমিশন দিয়ে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরু প্রতি ছয় থেকে আট হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এই অবস্থার অবসানের জন্য ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার থেকে বৈধপথে গরু আমদানি চালুরও উদ্যোগ নিতে হবে। একইসঙ্গে সাভার চামড়া পল্লীর বিষয়েও সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।
রবিউল আলম জানান, কেবল চাঁদাবাজির কারণে মাংসের দাম কমানো যাচ্ছে না। ভারতে যেখানে ১শ’ ৬০ টাকায় গরুর গোশত এবং ২শ’ ৫০ টাকায় খাসির গোশত পাওয়া যায়, সেখানে বাংলাদেশে ৫শ’ ও ৮শ’ টাকায় মাংস বিক্রি করেও পুঁজি বাচানো যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীদের এসব দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলে বৈঠকে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল আলম।
তিনি বলেন, সরকার চায় জনগণ কম দামে তার পুষ্টি চাহিদা পূরণ করুক। এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।