“নগর জীবন”
“নগর জীবন”
-মোল্লা মো: জমির উদ্দিন
ঢাকায় এসেছি ১৯৯২ সালে তখন ঢাকা ছিল আজকের চার ভাগের এক ভাগ মাত্র আমার অনুমান, অনেক উন্নতি হয়েছে আয়োতন বেড়েছে সাথে লোকের ঘনত্ব বেড়েছে তার ও বেশী একিভুত মহানগর উত্তর দক্ষিণ বিভক্ত হয়েছে সবই সময়ের প্রয়োজনে হয়েছে যা বললাম তা নগরের উন্নয়ন।
নগরের মানুষের উন্নতি হয়েছে কারো কারো তো গগনচুম্বী উন্নতি হয়েছে বলার অপেক্ষা রাখেনা, তবে অসাধু আয়ের কথা নাই বা বলি শোষিত মানুষের অবস্থার কোন উন্নতি হয়েছে সেটা ম্যাগ্নিফাইং গ্লাসে দেখা যেতে পারে হয়তো বা। গত ৩১ বছরে শোষিত মানুষের অবস্থা বুঝা যায় বাসে উঠলে বুঝবেন লক্কর ঝক্কর বাস ছিটে বসলে অনেক কস্ট করে হয় বসবার সময় না হয় উঠে যাবার সময় নিতম্বের মাংস অথবা প্যান্টের অংশবিশেষ রেখে নেমে যাবেন আবার নামবার সময় মাঝে মাঝে বাসের হ্যান্ডেলে আপনার হাতের চামড়া ক্ষইয়ে বাসায় ফিরে যাবেন। এদের মালিক কারা তাতো সবারই জানা, এই গস্টি অনেক বড় কারন ৫২ বছরে যতবার সরকার বদল ততবারই নতুন নতুন মালিকানা তৈরি, শোষক শ্রেণির পরিধি বিস্তৃত হওয়া তবে মানুষ আশায় বুক বাধতে ক্ষতি কি? রাস্তাঘাটের যে উন্নতি সাধিত হয়েছে। নগরে যারা আমরা প্রবেশ করি খামটি ধরে মাটি কামরে থেকে যেতে চাই কারন সময় সাপেক্ষ যাতায়াত, যারাই সরকারে থাকুন আগামীর আশা এটাই বাড়ি থেকে এসে কাজ করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশা তাতে প্রিয় এই শহরের চাপ যদি একটু কমে যায় শহরটা ভালো থাকে। হাজারো সমস্যার সমাধানে যার মুখ্যভুমিকা তিনি হচ্ছেন নগরপিতা, যে ক’জন নগরের সেবক নিয়জিত হয়েছেন শহরের উন্নয়নে তাদের সবারই ভুমিকা ভালো তবে তাদের নিজের এবং পরিবারের উন্নতি চিরস্থায়ী হয়েছে বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে মানবিক নগর পিতা খুব একটা খুঁজে পাওয়া মুস্কিল সভ্যতার যতগুলো উদাহরণ পাওয়া যায় তার মধ্যে দেখা যায় যাদের সংস্কৃতি যত উন্নত জাতী হিসেবে তারা তত উন্নত কাজেই শাসক বা সেবক তিনি কতটা সংস্কৃতিবান তার উপরই নির্বর করে সে সমাজ বা নগর কতটা মানবিক জনবান্ধব। এযাবৎকালে যে ক’জন নগর পিতা এসেছেন জনাব আনিসুল হকের কথা মানুষ মনে রাখবে তিনি একাধারে ব্যবসায়ী এবং সংস্কৃতির সকল শাখায় বিচরন করা এবং তিল তিল করে গড়ে তোলা একজন সাহিত্য সংস্কৃতির সেবক মানবিক মানুষ ছিলেন তিনি। তার পরিকল্পনা এবং দেখানো পথেই হাটবার চেস্টা করছেন উত্তরের মেওর জনাব আতিকুল হক তিনি অনেকটা সংস্কৃতির পথে হাটেন বুঝা যায় তবে মানবিক নগর পিতা এটা বলবার সুজোগ কোথায় তিনি ধনীক শ্রেণির মানুষের সেবক রাস্তা ঘাট তার এলাকায় ভালো কারণ ধনী মানুষের কস্ট তিনি সইতে পারেন না বুঝবেন কিভাবে রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা দেখে, আপনি সিড়িতে পা রাখবেন আর সয়ংক্রীয়ভাবে আপনি ওপারে চলে যাবেন, যাদেরকে এত যত্ন করেন তারা আবার ভালো সময়ে দেশে থাকেন কারণ বুক পকেটে ভিসা পাসপোর্ট থাকে কোন রকম খারাপ সময় তাদের স্পর্শ করে না এরা হচ্ছে তারা তবে সে সংখ্যা কিন্তু কম নয়। আপনি ভাবছেন কি বলতে চাই শুনুন অবহেলিত মানুষের কথা বলতে চাই যাদের পকেটে ভিসা পাসপোর্ট নাই তাদের কথা ভোট হলে যারা প্রকৃত ভোটার যাদের ভোট আপনি পান বা পাবেন তাদের কথা যারা অসুস্থ হয়ে সারা দেশ থেকে আসে এখানে চিকিৎসা নেয়। গণভবনের পর শহীদ সহরোয়ারদী হাসপাতাল থেকে কল্যাণ পুর কতগুলো হাসপাতাল আছে গুনে বের করতে হবে সেখানে যাতায়াতের জন্য কমপক্ষে পাঁচটি রাস্তা পারাপার আছে কিন্তু খুব কস্ট করে ক্র্যাচে ভর করে ওভার পাচে উঠে চলেন সেটা আপনি একবার দেখবেন আপনার কেমন লাগে অনুভব করবেন, উচুকরে ডিভাইডার বানালেন ভালো গাড়ি শান্তিতে চলুক অসুবিধা নাই তবে একবার পরখ করার জন্য এক পায়ে লাফিয়ে ঊঠবেন কেমন লাগে দেখবেন, গড়িব এবং সাধারণ মানুষ নিচক অবহেলার স্বীকার ভেবে দেখবেন। হাজারো সমস্যার অন্তনাই আমি মুগধা এলাকায় থাকি এখানে রাস্তায় হাটলে এলাকায় নতুন হলে তো কথাই নাই দু’বার হোচট খেয়ে পরবেন আবার সেখানে একটি বড় হাসপাতাল আছে যাহোক বাদ দেন, হাসপাতালের গেট বরাবর রাস্তার পশ্চিম পাশে রাস্তা পারাপার এবং সাথেই রেলস্টেশন পেড়িয়ে যাবার সেতু রয়েছে, রাস্তা থেকে ফুটওভার ব্রিজে উঠার আগেই আপনার পা ফেলবেন পায়খানা প্রসাব্বে সি সি এমন পরিবেশ বিপর্জয় বর্ননা করার মত না মেওর সাহেবরা মাশার কাছে আত্নসমর্পণ করেছেন বুঝলাম উত্তরের মেওর সাহেব অনেক চেষ্টা করেন মানুষ বলে কিন্তু এখানে কি রাস্তার উপর মশা হয়না? পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ বিপন্ন মানুষের কথা ভেবে লিখলাম পরিছন্ন মানবিক” নগর জীবনের” প্রত্যাশায় সবার জন্য শুভকামনা।