নগর নির্বাচন ও নগর সরকার প্রসঙ্গ

নগর নির্বাচন ও নগর সরকার প্রসঙ্গ
নিতাই চন্দ্র রায়
সাবেক মহাব্যস্থাপক (কৃষি)
নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস লি.
নাটোর ।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩০ জুলাই, অনুষ্ঠিত হবে প্রতীক্ষিত রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। প্রার্থীরা এখন ভীষণ ব্যস্ত। তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন। নানা রকম প্রতিশ্রুতির প্রদানের মাধ্যমে তাদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন ।

প্রতিশ্রুতির প্লাবনে ভাসছে নগরীয় ভোটারদের দোদুল্যমান মন। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনী প্রচারণায় ভোলা থেকে বরিশালে গ্যাস সরবরাহ করার মতো প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন কোন কোন মেয়র প্রার্থী। বরিশাল হবে শিক্ষা নগরী, বরিশালে স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো হবে, ভরাট দখল হওয়া খাল উদ্ধার করা হবে, নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করা হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরী গড়ে তোলা হবে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রাচ্যের ভেনিসখ্যাত বরিশালকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলা হবে। এসব প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি ছিটাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীরা। মেয়র প্রার্থীরা ভালোভাবেই জানেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় তাদের এসব প্রতিশ্রুতি নির্বাচিত মেয়রগণের দ্বারা কোনদিনই পূরণ করা সম্ভব হবে না। এছাড়া সিটি করপেরেশনগুলোরও সে ধরনের সক্ষমতা নেই। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়ারবাত সাদিক আবদুল্লাহ কোন নির্বাচনী ইশতেহার বা কোন প্রতিশ্রুতি না দিয়ে যেখানে যে সমস্যার কথা শুনছেন তা সমাধান করবেন বলে অঙ্গীকার করছেন। প্রচার-প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়িতে পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। কোন কাউন্সিলর প্রার্থী বলছেন, শিশুদের জন্য পার্ক করে দেবেন, কেউ বলছেন জয়ী হলে রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করবেন, বস্তিতে স্বাস্থ্য-শিক্ষা নিশ্চিত করবেন। অপরদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের গণমঞ্চ ও গণসংহতি আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ মহানগরের সাহেব বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারের কনফারেন্স রুমে ‘পরিবর্তন সম্ভব ও পরিবর্তন চাই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন উন্নয়নসহ ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনার ইশতেহার ঘোষণা করেন। বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন বুলবুল এখনও তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেননি। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ১৫ দফার ৮২ প্রতিশ্রুতির নির্বাচনী ইশতেহার ইতোমধ্যে নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ও আশাবাদী করে তুলেছে। ইশেতেহার হলো এক ধরনের প্রার্থিতা যোগ্যতার মাপকাঠি। এটির মাধ্যমে একজন প্রার্থীর যোগ্যতা ফুটে ওঠে। তার উন্নয়ন ভাবনা প্রকাশ পায়। প্রকাশ পায় তার প্রতিশ্রুতি পূরণের সক্ষমতা। আবার নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র তার ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি কতটুকু পূরণ করলেন তাও বুঝতে পারেন সাধারণ ভোটরগণ। ভোটারদের কথা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের এ নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের মধ্যে। তাই এই দুই প্রার্থীর ইশতেহার নিয়েই ভোটারদের বেশি আগ্রহ ও জল্পনা-কল্পনা। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল মনোনীত একমাত্র মেয়ে মেয়র প্রার্থী ডা. মনিষা চক্রবর্তী ২০০ মাটির ব্যাংক সরবরাহ করেছেন দলের কর্মী-সমর্থক, শ্রমিক, রিকশা-গ্যারেজ ও হোটেল-রেস্তোরাঁ এবং সমমনাদের বাসা-বাড়িতে। এসব মাটির ব্যাংকে জমা হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। ওই টাকা দিয়েই তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সমন্বয় সভায় অধিকাংশ সেবা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকেন না। সভায় কর্মকর্তাদের প্রতিনিধি হিসেবে যাদের পাঠানো হয়, তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার রাখেন না। অনেক সময় তারা মতামত বা আলোচনায়ও অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এতে সভাগুলো ফলপ্রসূ হয় না। গত মে মাসে এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে এসব কথা জানিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তার অভিযোগ, ডিএসসিসির আহ্বানে যতগুলো সমন্বয় সভা করা হয়েছে তার প্রতিটিতেই অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এতে সিটি করপোরেশন এলাকায় সব সেবা সংস্থাকে নিয়ে সমন্বয় যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ সেবা সংস্থাগুলো সমন্বয় করে কাজ করার সরকারি আদেশ রয়েছে। রাজধানী ঢাকার ৫২টি সরকারি প্রতিষ্ঠান নগরবাসীর সেবা প্রদানের কাজে নিয়োজিত। সংস্থাগুলো ২০টি মন্ত্রণালয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে। নাগরিক সেবা বাড়াতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর আয়তনও দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে সরকারের কোন উদ্যোগই কাজে আসছে না। সেবার মানও বাড়ছে না। নগরবাসী দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আমাদের নগরকে যত ভাগেই ভাগ করা হোক না কেন, কাজের সমন্বয় না থকলে কিংবা নগর সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হলে তা কোন কাজেই আসবে না। উন্নত দেশের নগর এলাকায় ‘নগর সেবা’ বা সিটি সার্ভিস বলতে যা বোঝায় তার নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটিই থাকে। ফলে কাজের সমন্বয় নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয় না। সেসব নগরে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন, পরিবেশ সংরক্ষণ, নগর উন্নয়ন, সড়ক ও জনপথ, জননিরাপত্তা (পুলিশ), স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহন ও আবাসন ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সেবার নিয়ন্ত্রণ থাকে সিটি করপোরেশনের হাতে; নগর সরকার ব্যবস্থার আওতায়। এগুলো আমার কথা নয়, এসব লিখা হয়েছে দেশের স্বনামধন্য একটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকীয় কলামের গত ২২ জুলাই সংখ্যায়। পত্রিকাটির নাম হলো ‘সংবাদ’। অবশ্য এর আগে কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, বণিক বার্তা ও ভোরের কাগজ পত্রিকায় এ বিষয়ে বেশকিছু প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। আমারা বহুদিন ধরে সেন্টার ফল ডেমোক্র্যাটিক লোকাল গভর্নেন্স (সিডিএলজি) এর পক্ষ থেকে বলে আসছি- কেন্দ্রীয় সরকারের মতো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই কাঠামোতে গড়ে তুলতে হবে। স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরের সঙ্গে সরকার শব্দটি যুক্ত করে- প্রজাতান্ত্রিক রূপ দিতে হবে। যেমন জেলায়, জেলা সরকার ইউনিয়নে, ইউনিয়ন সরকার ও প্রতিটি নগরে একরূপ নগর সরকার। নগর সংসদ, নগর নির্বাহী বিভাগ ও নগরবিচারিক বিভাগের সমন্বয়ে নগর সরকার গঠন করতে হবে। নগর সংসদের কাজ হবে অনেকটা জাতীয় সংসদের মতো। নগর সংসদের গৃহীত সিদ্ধান্ত নগর নির্বাহী বিভাগ বাস্তবায়ন করবে। নগরে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একজন পুরুষ ও একজন নারী কাউন্সিলর নগরবাসীর সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। তাদের মধ্য থেকেই নগর সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হবেন। নগর সংসদের সভাপতির কাজ হবে জাতীয় সংসদের স্পিকারের মতো। অন্যদিকে মেয়র নগর সরকারে প্রধান ও নগর নির্বাহী বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন। তিনিও নগরবাসীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। নগর সরকারের এক ছাতার নিচে নগরের সব সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে আসতে হবে। সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ পদোন্নতি ও বরখাস্তসহ সব ক্ষমতা থাকবে নগর সরকারের হাতে। তা হলে নগরের বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব হবে না। সেবার মান বাড়বে। সময় বাঁচবে। তদারকি জোরদার হবে। নগরবাসীর ভোগান্তি অনেকটা দূর হবে। এছাড়া নগরবাসীদের অভিযোগ-অনুযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি নগরে একজন ন্যায়পাল থাকবেন। তিনি নগরবাসীদের সরাসরি ভোটে অথবা কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। সব স্থানীয় কাজ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই সুসম্পন্ন করতে হবে। স্থানীয় কাজ দূরবর্তী কর্তৃপক্ষের তদারকিতে কোন দিনই ভালোভাবে সম্পন্ন হয় না এবং এলাকাবাসীর আশা-আকাক্সক্ষারও প্রতিফলন ঘটে না তাতে। বেশকিছু দিন আগে বলা হয়েছিল- পরীক্ষামূলকভাবে গাজীপুর, রংপুর ও কুমিল্লায় নগর সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং সব সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নগর সরকারের অধীনে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু কোন কারণে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরকার পিছিয়ে গেলÑ তা আমাদের জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনার এক জনসভায় বলেছেন আওয়ামী লীগ আবার নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গেলেÑ গ্রামের প্রতিটি জনগোষ্ঠীকে শহরের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। প্রত্যেকটি গ্রামকে পর্যাক্রমে শহরে; নগরে রূপান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর- এ ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে দ্রুত নগরায়নের বাস্তবতাকে সামনে রেখে একটি সঠিক ও যুগপোযোগী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিদেশের মতো করে নয়; আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নকে সামনে রেখে প্রতিটি নগরে স্বশাসিত, স্বনির্ভর ও গণতান্ত্রিক নগর সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। না হলে বিদ্যমান পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত নগরায়ন, যানজট, জলাবদ্ধতা ও আবর্জনার দুর্গন্ধ মুক্ত সবুজ নগর গড়ে তোলা কোন দিনই সম্ভব হবে না। সেই সঙ্গে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে- কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কিছু গুরুত্বপূরর্ণ কাজ রেখে বাকি কাজগুলো জেলা সরকারের কাছে ছেড়ে দিতে হবে। জেলা সরকারের কাজকে প্রাদেশিক সরকারের মতো করে সাজাতে হবে, যাতে জেলাবাসীকে অযথা তাদের সব কাজের জন্য রাজধানী ঢাকায় ভিড় না করেন। জেলা সরকার এক হাতে গ্রামীণ স্থানীয় সরকার- উপজেলা, ইউনিয়ন সরকার ও অন্যহাতে নগর সরকারগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে। আর কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে জেলা সরকারের কাজ। জেলা সরকারকে হতে হবে আরও গণতান্ত্রিক ও জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অর্থাৎ জেলা সরকারের প্রধান ও জেলা সংসদের সদস্যগণকে নির্বাচিত হতে হবে জেলাবাসীদের সরাসরি ভোটে।

বর্তমান সরকারের জনবান্ধব সিদ্ধান্তের ফলে মাথাপিচু বার্ষিক আয়, শিক্ষার হার, গড় আয়ু ও জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। দারিদ্র্য, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ অনেক প্রতিবেশী দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে দূরন্ত-দুর্বার বেগে। আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে- পরিকল্পিত নগরায়ন, সবুজ শিল্পায়ন ও নগর সরকারের কোন বিকল্প নেই। বিকল্প নেই ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণেরও। অন্যথায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস দমন, বাল্যবিয়ে ও যৌন হয়রানি রোধের মতো জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব হবে না। সম্ভব হবে না ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করে জাতির জনকের আজীবনের লালিত স্বপ্ন- শোষণহীন, সুখী ও সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা নির্মাণ করা।


প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।


কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!