নগ্ন ছবি প্রকাশ করে প্রসংশিত ও সমালোচিত বাংলাদেশের প্রিয়তি
পুরো নাম মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। বিমানের প্রশিক্ষক পাইলট হিসেবেও তার একটা অতিরিক্ত পরিচয় রয়েছে। মাত্র ১৩ বছরের প্রবাস জীবনে তিনি অনেকটাই আধুনিক হয়েছেন। এতোদিন যে প্রিয়তিকে নিয়ে একজন বাংলাদেশি হিসেবে যারা গর্ব করেছেন, সেই প্রিয়তীকে নিয়েই এখন বেশ আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে নেট দুনিয়ায়। কিন্তু কেন?
তার একমাত্র কারণ হলো সম্পতি তিনি সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে বডি পেইন্টিং করে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন। যা করতে খরচ হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। নগ্ন শরীরে চিত্রকর্ম এর আগেও তিনি আঁকিয়েছেন। তবে এবার একটু ব্যতিক্রমই হয়েছে বটে। শরীরে চিত্রকর্মের পাশাপাশি হলিউড থেকে আনা হয়েছিল জামা। বিশেষ এই ফটোশুটটি করেছেন আইরিশ সেলিব্রিটি স্থপতি আলফ্রেড কোচরেন ও তার টিম। আর ছবিটি তুলেছেন নোলেন এবং এডি। বডি পেইন্টিংয়ের আর্টিস্ট ছিলেন জার্মানির বিয়াঙ্কা।
ছবি প্রকাশ করে যে আলোচনা- সমালোচনা’র জন্ম দিয়েছেন তা কিন্তু প্রিয়তীর কান পর্যন্ত গিয়েছে। আর এই ছবি প্রকাশ করে তিনি প্রায় কয়েকটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। প্রথম স্ট্যাটাসটিতে তিনি বলেন, ‘আমার সব কাজের মধ্যে যেগুলো ব্যতিক্রমধর্মী কাজ আছে , তার জন্য আমি বলবো আমি সত্যি ভাগ্যবান ও সম্মানিত এবং বিধাতার কাছে কৃতজ্ঞ। কেননা , কাজগুলো এমন নয় যে, আমি চাইলাম আর আমাকে cast করলো বা কাজ করার সুযোগ পেলাম। স্বজনপ্রীতি আয়ারল্যান্ড এ চলে না। এতো আইরিশ সেলিব্রিটিদের মধ্যে আমার মতো একজন এশিয়ান মডেলকে সিলেক্ট/ কাস্ট করা এবং তাদের ভিড়ে একা নিজের অবস্থান শক্ত/ পোক্ত করা কোন দুধ-ভাত খাওয়া নয়। অবশ্যই ব্যতিক্রমকে ভালোবাসি । আর যা ভালোবাসি তাই করি। বাংলাদেশের মিডিয়াতে আলোচনায় / সমালোচনায় আসা না আসা নিয়ে আমার কিছু আসে যায় না , কেননা, আমি বাংলাদেশের মিডিয়ার কেউ নই, আমার কর্মস্থলও নয়। কৃতজ্ঞ বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি , যারা আমার কাজগুলকে ইতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করেছেন , দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রশংসা করেছেন। দেশের বাইরে থাকার পরও দেশ ও দেশের মানুষের কাছে রেখেছেন। (Re-Post)। বিঃদ্রঃ যাদের কাছে আমার কাজ নোংরামি মনে হয়, Simply আমার প্রোফাইল ভিজিট করা বন্ধ করে দিন। আপনাদের মন রক্ষার্থে আমার কাজ বন্ধ হবে না । End of the day, you will not gonna pay my bill.
উপরোক্ত স্ট্যাটাসটি দিয়ে তিনি নতুন ছবি পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লিখেন, শরীর দেখানো আসলে কোন সাহসীকতা নয় বরং তা জোড়াল আত্মবিশ্বাস, নিজের শরীরের প্রতি। শরীর দেখানোর মতো শরীর থাকতে হয় এবং সেই শরীর দেখার জন্য চার দেয়ালের বাইরের পৃথিবীতে দৃষ্টি ও থাকতে হয়। গর্ব ও তখন হয় যখন আত্মবিশ্বাস থাকে তার প্রধান শাখা। দুঃখজনকভাবে মূর্খ আর প্রতিহিংসা পরায়ণ জীবের এই কথাগুলো বোঝার আওতায় আসবে না।