নতুন সিইসি সম্পর্কে নোমানের চাঞ্চল্যকর তথ্য
“কিন্তু সেটা করা হয়নি। তা না হওয়ার কারণ হচ্ছে একটিই- বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকা ও ক্ষমতা না ছাড়া।”
মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা নূরুল হুদার মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জাসদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল। ১৯৭৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সরকারি কর্মকমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ওই বছরের ৩০ জুলাই প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেন।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পর ইসি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটি দলগুলোর কাছে তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের যে নাম চায়, তাতে কোনো একটি ছোট দল থেকে নুরুল হুদার নাম প্রস্তাব করা হয় বলে কমিশন গঠিত হওয়ার পর জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। তবে সেই ছোট রাজনৈতিক দলটির নাম বলেননি তিনি।
সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ জন থেকে সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ সদস্যের যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন তাতে সিইসি নূরুল হুদার সঙ্গে কমিশনার হিসেবে আছেন সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।
এই চার কমিশনারের মধ্যে কবিতা খানমকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দেওয়া তালিকা এবং মাহবুব তালুকদারকে বিএনপির দেওয়া তালিকা থেকে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
নতুন সিইসির ব্যাপারে আপত্তি প্রকাশ করে ইচ্ছেমত নিজের ভোট দিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে হবে বলে আলোচনা সভায় মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা নোমান।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, যে কথা আমরা জনগণকে বলছি- আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এটার ভিত্তিতে আমাদেরকে নতুন করে আন্দোলন করতে হবে।
“সেই আন্দোলন রাস্তায় করতে না পারি, সেই আন্দোলন টেলিভিশনে করব, সেই আন্দোলন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে করব, সেই আন্দোলনে ১০ জনকে নিয়ে সত্য কথাটা বলব। এই সত্য কথা বলার অভাব আজকে অনুভব করছি।”
এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।
পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ। ‘ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬০ বছর পূর্তিতে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর গুরুত্বপূর্ণ চিঠি ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনের সভাপতি পেশাজীবী নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জসিমউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু, ছড়াকার আবু সালেহ, ডিএলর সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি বক্তব্য রাখেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতেই প্রশ্নবিদ্ধ লোকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার।