নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে শুরু হল বুড়ি তিস্তা খনন
নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহিত নদী বুড়ি তিস্তা খনন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এই খনন কাজ শুরু হয়। ভারতে উৎপত্তি হয়ে এই নদী বাংলাদেশে প্রায় ২৪ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়েছে। গত এক যুগ আগে এই নদী গভীর এবং স্রোতস্বিনী ছিলো।
ওই এলাকার কৃষি এবং দেশি মাছ উৎপাদনে বুড়ি তিস্তার ব্যাপক অবদান থাকলেও বিগত বছরগুলোতে নদীটি সংকীর্ণ হতে থাকে। গভীরতা কমে যায়। বর্ষা মৌসুম ব্যতীত সারা বছর নদীটি প্রায় মৃত নদীতে পরিণত হয়।
সম্প্রতি সরকার সারা দেশে নদী খননের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করলে এই নদী খননের প্রস্তাবনা দেয় পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ৬৪ জেলায় ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনর্খনন প্রকল্পের ৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে বছরব্যাপী সেচ সুবিধা বৃদ্ধির ফলে কৃষি উৎপাদনও বাড়বে। ভারত থেকে আসা নদীটি বাংলাদেশে ২৪ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে দেবীগঞ্জে করতোয়া নদীতে মিশেছে।
সীমান্ত এলাকা হওয়ায় চার কিলোমিটার খনন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান নাহিদ জানান, খনন কাজের ফলে বুড়ি তিস্তা নাব্যতা ফিরে পাবে। এর ফলে বর্ষায় আগাম ঢল থেকে রক্ষা পাবে নদীর পার্শ্ববর্তী ফসলের জমি। একই সাথে শুষ্ক মৌসুমে বুড়ি তিস্তার পানি চাষীদের সেচ ব্যয় কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্থানীয় জীব বৈচিত্র্য রক্ষা পাবে।
নদীটির ২০ মিটার প্রশস্ত এবং ৬ ফিট গভীর খনন করা হবে। খননের পর নদীটির উভয় পাড় সুরক্ষিত এবং লোক চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। খনন কাজ শুরুর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী উসমান গণি, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ, উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি খাদেমুল ইসলাম জনি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা নদী খনন শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।