রমযানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি ঘাটাইলবাসীর
এম.এস.এস.সৌরভ, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পবিত্র মাহে রমযানে নির্বিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছে ঘাটাইলের সাধারন জনগন। যাবতীয় কালে ভয়াবহ লোডশোডিংয়ের কবলে সমস্ত ঘাটাইল। গ্রীষ্মের এই তাপদাহে পৌরসভা থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ লোডশোডিংয়ে অতিষ্ঠ। এরই মাঝে চলে এসেছে মুসলিম জাহানের অত্যন্ত পবিত্রতার মাস মাহে রমযান।
গ্রীষ্মের এই রৌদ্রজ্জল দিনে রোযা রেখে ক্লান্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। সারাদিন রোযা রেখে ইফতারের সময় স্বস্তিবোধের জন্য দরকার একটু কৃত্বিম হাওয়া এবং এই গরমে তারাবীহ নামাযের সময় ও সেহেরির সময় প্রয়োজন বিদ্যুৎ। সেজন্য সরকার প্রথম রমযান থেকেই বিদ্যুতের যাবতীয় সকল সমস্যা সমাধান করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদানের ঘোষনা দেন। তবে এই রমযানের প্রথম দিনেই তারাবীহ নামাযের সময় ছিল সমস্ত ঘাটাইল অন্ধকারচ্ছন্ন। ঘাটাইলের কোথাও ছিল না বিদ্যুৎ। এমতবস্থায় বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, লোডশোডিংটা টাঙ্গাইল থেকে করা হয়েছে এতে তাদের হাত নেই। তারপর ঐদিনই রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক ভাবে ঘাটাইলে চালু করা হয়। তবে সেদিন কোনো কারন ছারাই সংযোগ বন্ধ রাখা হয় ঘাটাইলের সবচেয়ে বড় পাহাড়ি অঞ্চলের লাইন। তারপর সকাল ৯টার দিকে পাহাড়ি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।
এ নিয়ে সাধারন জনগনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, কোনো কারন ছারাই যেমন ঝড় বৃষ্টি বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগ ছারাই অতিরুক্ত লোডশোডিং দেয়া হয়। এছারাও নিয়মিত লোডশোডিংয়ে জনমনে অস্বস্তি বিরাজ করছে। এই গরমে সারাদিন শ্রম ঝড়িয়ে রাতে যেমন ঘুমাতে পারে না শ্রমজীবী মানুষ তেমনি ছাত্রছাত্রীরাও গরমে পড়তে পারে না। সন্ধ্যার পর থেকেই লোডশোডিংয়ের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোনো কোনো স্থানে প্রতিদিন লোডশোডিং থাকে। বিদ্যুতের এমন আচরনে ক্ষুদ্ধ জিবিজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ ছাত্র সংসদের নেতারাও। জিবিজি কলেজ শাখা ছাত্র সংসদের এজিএস রঞ্জু আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, চলতি সময় জিবিজি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি পরিক্ষা চলছে কিন্তু অতিরুক্ত লোডশোডিংয়ে পরিক্ষার্থীদের পরিক্ষা দিতে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে, সেজন্য যেন দ্রুত বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। নয়তো আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। এই ভয়াবহ লোডশোডিংয়ের জন্য ঘাটাইল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তারপর এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন কে অবহিত করলে তিনি সকলকে ধৈর্যধারন করতে বলেন এবং খুব শীগ্রই সমাধান করা হবে বলে জানান।
ঘাটাইলের সাধারন জনগন সহ বিভিন্ন সংগঠনের দাবি যেন এই পবিত্র রমযান মাসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদান করে জনমনে স্বস্থি ফিরিয়ে আনা হয়।
- কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।