শাহিন মামুন এর কবিতা- নিশিরাতের যাত্রী
নিশিরাতের যাত্রী
-শাহিন মামুন
ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সকাল ৯ টা।
সেই যে জীবিকার তাগিদে অফিসে ঢোকা!
নির্ধারীত অফিস শেষ হবে ঠিক বিকাল ৫ টায়
মাঝে তবুও বের হবার কোনো সুযোগ নেই।
কারন, অফিসে যে প্রায় দিনই কাজের ভীষণ চাপ থাকে
তাই শরীরকে চালাতে হয় জীবিকার তাগিদেই।
অবশেষে ঘড়ির কাঁটায় রাত ৮ টা।
বড় বাবুর কক্ষ থেকে ছুটির বেল বেজে উঠলো
কাগজপত্র ঘুছিয়ে বের হতেই রাত ৮:৩০ মিনিট।
অতপর কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছাতেই রাত ৯ টা।
রাতের শেষ ট্রেনটি প্লাটফর্মে অপেক্ষমান
আমার মতো রাতের শেষ হাজারো কর্মজীবি যাত্রীকে
তাদের গন্তব্যের শহরে পৌঁছে দেয়ার জন্য।
অতপর ট্রেনের যাত্রা শুরু হলো।
প্রায় দু’ঘন্টা পর! তখন রাত প্রায় ১১ টা বাজে।
ট্রেন এসে পৌঁছল আমার গন্তব্যের স্টেশনের প্লাটফর্মে।
চারদিকে রেল পুলিশের হুইসেল
আর শেয়াল-কুকুরের হাক ছাড়া
যেনো আর কিছুই শোনা যাচ্ছিল না।
স্টেশনের বারান্দায় ঘুমিয়ে আছে
কতিপয় কিছু পথ শিশু, টোকাই আর কুলির দল।
ওরাই যেনো আমার প্রতিদিন
সকাল আর রাতের যাত্রার নিশ্চুপ সাক্ষী
কারন, রেল স্টেশনের ফ্লাটফর্মে ঘুমায় যারা
তারাই শুধু জানে রাতের শেষ ট্রেনে বাড়ি ফিরে কারা