নীরবে কাঁদে পুরুষ দেখার কেউ নেই।
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘নীরবে কাঁদে পুরুষ দেখার কেউ নেই, পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ আইন চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জানানো হয়, পুরুষ শাসিত এই সমাজে সব সময়ই নারী নির্যাতনের খবর শোনা যায়। তবে সংসারে কি শুধু নারীরাই স্বামীদের দ্বারা নির্যাতিত হন? পুরুষরাও কিন্তু নারীদের দ্বারা নির্যাতিত হন। সমাজে অনেক পুরুষই বউয়ের যন্ত্রণায় নিরবে কাঁদেন। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে চোখ মোছেন।
পুরুষ নির্যাতনের প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি শেখ খায়রুল আলম বলেন, আমরা নারী নির্যাতনের কথা বলি, আন্দোলন করি। অনেক পুরুষ বউয়ের যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদেন, পুরুষদের বিষয়টি দেখার কেউ নেই। বিষয়টি হয়তো হাস্যরসের সৃষ্টি করছে। কিন্তু বিষয়টি প্রচারে না আসলেও সত্য। অনেক পুরুষ চক্ষুলজ্জায় বিষয়টি গোপন রাখে।
তিনি বলেন, নারীদের সামান্য কিছু বললেই যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দেয়। পুরুষরা নির্যাতিত হয়েও কিছু বলতে পারে না। তবে পুরুষরা শুধু বাড়ীতে নয়, বাইরেও নানাভাবে নির্যাতনের শিকার। পুরুষরা তাদের আত্মসম্মানের জন্যই লুকিয়ে কাঁদেন। দিনের পর দিন বালিশ ভেজান।
খায়রুল আলম আরও বলেন, ‘দেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে অনেক আইন থাকলেও পুরুষ নির্যাতন রোধে কোন আইন নেই। স্বামীকে সামান্য অপরাধে শায়েস্তা করতে স্ত্রীরা যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দিচ্ছেন। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সভায় বক্তারা বলেন, আমরা নারী বিদ্বেষী নই। তবে নির্যাতিত পুরুষদের জন্য পুরুষ নির্যাতন দমন আইন চাই। আইনটি বাস্তবায়ন হলে পুরুষরা নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাবেন। যেসব নারীরা নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার করছেন তারা সাবধান হবেন।