নীলফামারীতে যুবলীগের আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন
এস কে রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
কিশোরগঞ্জে আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও দপ্তর সম্পাদক আনিস মন্ডলের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৩ জানুয়ারী) দুপুরে কিশোরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের ব্যানারে প্রেসক্লাব চত্ত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধনে মিলিত হয়। নির্বাচিত বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত না করে নতুন করে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করার প্রতিবাদে এবং ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।
প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ফণি ভূষণ মজুমদার, সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাবু,সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী চৌধুরী বিপুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ রায় সিংহ, কোষাধ্যক্ষ রশিদুল ইসলাম বাবু, রণচন্ডি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি রোকুনুজ্জামান মিতু, বড়ভিটা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও মাগুড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান প্রমূখ ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকার পরেও কমিটি বাতিল বা স্থগিত না করে অবৈধ পন্থায় অ-গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলটকে আহবায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। ওই পত্রে পুর্বের কমিটি বাতিল বা স্থগিত করা হয়নি। যা সম্পুর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে দাবী করেন বক্তারা।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ফণিভূষণ মজুমদার দাবি করে বলেন, পুর্ণাঙ্গ কমিটি থাকা সত্বেও কেন্দ্র অর্থের বিনিময়ে এখানে যে আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করেছে আমরা এই অবৈধ কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি এবং তা দ্রুত বাতিল করার দাবী জানাচ্ছি। ওই কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ঘোষিত আহবায়ক কমিটিতে জামায়াত-বিএনপি পরিবারের সদস্যদের স্থান দেয়া হয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী চৌধুরী বলেন, জেলা কমিটির নির্দেশে আমরা উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের কাউন্সিল সম্পন্ন করেছি। এখন উপজেলা কমিটির কাউন্সিলের প্রস্তুতি চলছে। এ অবস্থায় কিভাবে এখানে আহবায়ক কমিটি দেওয়া হলো তা আমাদের বোধগম্য না।
এ বিষয়ে কথা বলতে নবগঠিত কিশোরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলটের সঙ্গে তার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এদিকে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যুবলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। জেলার নির্দেশে তারা ইতিমধ্যে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের কমিটি করেছে। সেখানে নতুন আহবায়ক কমিটি দেওয়া কিংবা উপজেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে আমাদের জানানো হয়নি। এ বিষয়ে আমরা জেলা কমিটি কিছুই জানি না।
সব শেষে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও দপ্তর সম্পাদক আনিস মন্ডলের কুশপুত্তলিকা পোড়ান বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।