নৃশংসভাবে শিশু তুহিনকে হত্যা : পরিবারের সদস্যরাই ‘খুনি’!
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শিশু তুহিন হাসানকে (৫) নৃশংসভাবে হত্যার পেছনে তার পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দিরাই থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।
সোমবার সকালে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রাম থেকে কান ও যৌনাঙ্গ কাটা অবস্থায় তুহিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার পেটে দু’টি ছুরি ঢোকানো ছিল।
এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, স্বজন ও প্রতিবেশীসহ ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, রবিবার রাতে তুহিনের সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন তার বাবা। মধ্যরাতে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তিনি লক্ষ্য করেন তুহিন বিছানায় নেই। এসময় ঘরের দরজাও খোলা ছিল। পরে বাছির স্বজন ও প্রতিবেশীদের ডেকে তুহিনকে খুঁজতে থাকেন। এর একপর্যায়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় রক্তের দাগ দেখতে পান তিনি। ওই রক্তের দাগ ধরে এগিয়ে যেতেই গ্রামের পাশে একটি কদম গাছে ছেলের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার পেটে দু’টি ছুরি ঢোকানো অবস্থায় ছিল। এছাড়া তুহিনের দুটি কান ও যৌনাঙ্গ কেটে ফেলে হত্যাকারীরা।