নৈতিক অবক্ষয়
নৈতিক অবক্ষয় শুধু কি পরিবার, সমাজ না সমগ্র জাতির? আমরা দিন দিন কোন দিকে ধাবিত হচ্ছি। আর সময় নেই বসে থাকার, বিশেষ করে মা বাবা কে সচেতন হতে হবে যে তাদের সন্তানরা কি করছে, কোথায় যাচ্ছে? বিকৃত মানুষিকতা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের সকলকেই খেয়াল রাখতে হবে হয়তো এই ধরনের বিকৃত ছেলে মেয়েদের একটা অংশই জঙ্গি কানেকশনে চলে যাচ্ছে।
ফেসবুকে কোরবানির পশুর নিষ্ঠুর ছবি প্রকাশ। এসব হতে বিরত থাকতে হবে কারন আমাদের ধর্মে কোন জীব জন্তুর ছবি অনুমোদন করে না কিন্তু গতকাল থেকে সোশাল মিডিয়ায় বেশকিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার পশু কোরবানিতে জবাইকৃত পশুর সঙ্গে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এই ছবিতে কোরবানি হওয়া পশুর সাথে হাস্যরসের ছবি দেওয়া হয়েছে। যারা এসব ছবি তুলেছেন এবং ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছেন তারা খুব বেশি বয়সের নন। এদের মধ্যে টিনএজার রয়েছেন। আর দু-একজনের বয়স ২২ পর্যন্ত হতে পারে।তবে বয়স যাই হোক, এই ধরনের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ হয়ে গেলে ভাইরাল হয়ে যায়। আর সমালোচনার চেয়ে অশ্লীল বাক্যবাণেই জর্জরিত হন ভিকটিম। ছবিতে যেমন নৃশংসতা প্রকাশ পেয়েছে তেমনি প্রকাশ পেয়েছে ওইসব তরুণ-তরুণীর ইনম্যাচিওরিটি। আদতে তারা সেভাবে ম্যাচিওরডও নন। এ ক্ষেত্রে ওইসব তরুণ-তরুণীদের এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত হবার শিক্ষাটা দিতে হবে পরিবার থেকে। বোঝাতে হবে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। বোঝাতে হবে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়টা। এ ক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়ায় আলোচনায় এলে দায়িত্বটা পড়ে যায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের ওপর। অনেকেই মন্তব্য করে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে এটা ফেসবুক, এটা একটা পাবলিক প্ল্যাটফরম। এখানে আপনার ইনম্যাচিওরিটি প্রকাশ করা ঠিক না। এটা যেমন ঠিক তেমনই ঠিক নিজের মন থেকে লালন করা সঠিক এবং বেঠিক কাজগুলো।
Mukul Chowdhury তার ফেজবুক পোস্ট এ লিখেছেন,
১। কোরবানি করা পশুর সাথে সাথে নিজের মনের ভিতরের পশুকেও কোরবানি করতে হয় কিন্তু কিছু পশুবৃত্তি মানুষদের ছবি দেখলে কি বলবো তাদের? জানোয়ার ? পশু? ইবলিশ শয়তান?
২।এদের কে কি বলবো? এদের মা -বাবা কি শিক্ষা দিয়েছে?
এখানে কয়েক জনের কমেন্টস দেয়া হল-
Kawsar Ahmed পরিবার থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু শিখতে পাড়ে নাই।
এর পর Mukul Chowdhury আরেক টি পোস্ট করেছেন যা ভালবাসার অসাধারন দৃশ্য-
প্রিয় জিনিষ কোরবানি দিলে ভালো। এই গরুটিকে লালন পালন করে বিক্রি করে চলে যেতে কি কষ্ট তার প্রমান পশু ও মানুষের চোখে অশ্রু। হয়তো এ মানুষটি কোরবানি দিতে পারে নাই কিন্তু প্রিয় জিনিষটিকে বিসর্জন দিলেন । এটাকে কি বলবো?
লেখক- মাহবুব এইচ শাহীন/প্রকাশক ও সম্পাদক/কাগজ২৪