পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা, ঘৃনা ও প্রতিবাদ
পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা, ঘৃনা ও প্রতিবাদ
মুকুল চৌধুরী
সভাপতি
টাঙ্গাইল জেলা যুব সমিতি, ঢাকা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় কৃষি মন্ত্রী পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, মাটি ও মানুষের নেতা বারবার নির্বাচিত এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক সাহেবকে নিয়ে বিব্রতকর ও অশালীন মন্তব্য করে সোস্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বৈচিত্র্যময় নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট অঞ্চলের গোয়াইনঘাট উপজেলার রাতারগুল জলাভূমি ভ্রমনের করেন। এই পারিবারিক নৌকা ভ্রমণের একটি ছবি নিয়ে কিছু অর্বাচীন ও নিন্দুকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মতলববাজি পোষ্ট , বিব্রতকর ও অশালীন মন্তব্য করে সোস্যাল মিডিয়ায় কৃষিমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। এসব দেখে সকল শ্রেনীর লোকজন অত্যন্ত মর্মাহত ও বিস্মিত হয়েছে এবং এ ধরণের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়। আর তাতেই বিপত্তি ! তিনি তো একটা আস্ত বিমান কিংবা ট্রেন ভাড়া করে নিয়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হন নাই !! একটা নৌকা নিয়ে বের হয়েছেন পরিবার পরিজনদেরকে নিয়ে। আমাদের এখানে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তি ঘুরতে আসলে কিংবা একটু নেমে দেখা করে যাবেন শুনলে অনেক কাছের মানুষ কিংবা নেতা কর্মীরা কতকিছুই না আয়োজন করে থাকেন। সেখানে একজন মন্ত্রী মহোদয় নৌকায় ঘুরতে বের হবেন শুনে কেউ একজন উনার অজান্তেই নৌকায় সোফা তুলে দিয়েছেন। এইটা নিয়ে এত বাড়াবাড়ি হাস্যকর। এমনতো নয় যে দেশে দূর্ভিক্ষ লেগেছে আর উনি নৌকায় সোফা তুলে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন। ড. আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের সততা নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই। যারা উনার ব্যাপার জানেন না তারাই কেবল এমন একটা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সমালোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে কৃষি মন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক পরিবারের সকলকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যেতেই পারেন । এই ভ্রমণের কিছু সময় হাওড়ের রাতারগুলের প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য মন্ত্রী মহোদয়ের পরিবারের বসার জন্য এলাকাবাসি নৌকায় দুটি সোফা দিয়েছিলেন। আর এতেই যেন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেল, নিন্দুকেরা মন্ত্রী কেন সোফায় বসবে বলে চিৎকার চেচামেচি আরাম্ভ করে দিলো। এ ভ্রমণ লাসভেগাস, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যন্ডে নয়। কোন প্রমোদ তরীতেও নয়, কোন নৌবহর নিয়েও না।
ওনার ছোট ছেলে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরী করেন। বড় ছেলে বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করার পর বাংলাদেশে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে যাচ্ছে। ওনার স্ত্রী একটি কলেজের প্রিন্সিপাল। ড. রাজ্জাক তার সততা, কর্মনিষ্ঠা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দ্বারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
বাংলাদেশের সচেতন জনগণ ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি কে চেনেন ও জানেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশ বরেণ্য কৃষিবিদ । নিজ নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে পরপর চারবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত এমপি, কৃষি মন্ত্রী, সাবেক সফল খাদ্যমন্ত্রী এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেক, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) আ’ লীগের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক সহ দশম জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড,স্হানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড ও সভাপতিমন্ডলীর অন্যতম সদস্য।
ফেসবুকে মতলববাজি পোষ্ট ও কটু মন্তব্য লিখে অপপ্রচার করে ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির ইমেজকে কিছুতেই কলুষিত করা যায় না বা যাবে না। আমরা এ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঘৃনা ও প্রতিবাদ জানাই। এসব অপপ্রচারণা জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সামাজিক ভাবে বয়কট করার আহবান জানাচ্ছি।
• প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।