পর্নো ওয়েবসাইট নির্মাতা ও ব্যবসায়ী ফুয়াদ গ্রেফতার

 

 

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

দেশের একমাত্র বাণিজ্যিক পর্নো ওয়েবসাইট নির্মাতা ফুয়াদ বিন সুলতানকে উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফুয়াদ বাংলাদেশি নারী-পুরুষের অবৈধ মেলামেশার ভিডিও ফুটেজ ৮টি পর্নো ওয়েবসাইটে প্রচার করতো। মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরে ফুয়াদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ফুয়াদের বাবা সুলতান আহমেদ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি। ফুয়াদের কাছ থেকে পাইরেটেড সিডি ও পর্নোগ্রাফি বিস্তারের কাজে ব্যবহৃত ১টি ল্যাপটপ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ফুয়াদকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ২০১১ সালে কমিশনের বিনিময়ে বাসা ভাড়া করে দেয়ার ব্যবসা শুরু করে এবং বিভিন্ন ওয়েব সাইটে এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেয়। ফুয়াদ বৈধ পন্থায় দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের গুলশান ও উত্তরায় বিভিন্ন বাসা ভাড়া দিয়ে কমিশন নিত। ২০১৪ সালের দিকে তিনি ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করেন। এ সময়ে তিনি বিভিন্ন পর্নোসাইট এ বিচরণ করেন এবং তার নেশাকে (মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা) পেশায় পরিণত করার চিন্তা ভাবনা করেন। দুটি বৈধ ব্যবসার অন্তরালে তিনি ২টি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে তিনি পর্নোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করেন। এই দুটি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে তিনি বিভিন্নভাবে সংগৃহিত মেয়েদের আপত্তিকর ছবি, মোবাইল নম্বর এবং দৈহিক মিলনের বিনিময়ে নির্ধারিত মূল্য উল্লেখ করে বিভিন্ন জনকে আকৃষ্ট করতেন।

ফ্ল্যাটে দেহ ব্যবসা পরিচালনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে ফুয়াদ বলেন, পুরো বাড়িটি তাদের নিজেদের। বাড়ির দুইটি ফ্ল্যাটে ব্যবসা করার কারণে প্রতিমাসে মাসে ৪৫ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। উক্ত ফ্ল্যাট দুটিতে টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য ভাড়া দিতেন। বিভিন্ন মেয়ে সরবরাহ করতেন। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া ছেলে-মেয়েদের দৃশ্য গোপন ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করেন। পরে ব্ল্যাক মেইলিং করে আরো শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন। ওই সব ভিডিও ফুটেজ তিনি তার পর্নো ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিতেন।

ওই ফ্ল্যাট হতে অশালীন অবস্থায় মেয়েদের পাশে বসিয়ে নিজে মুখোশ পরিহিতাবস্থায় ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করত যা অপ্রাপ্ত বয়স্কসহ অনেক লোক প্রত্যক্ষ করতেন। ফুয়াদ আরো জানান, ৮টি ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন। এছাড়াও বিভিন্ন যুবকদের নিকট হতে গোপনে ধারণনকৃত অশ্লীল ভিডিও কিনে নিতেন। পরে তা তার সাইটে উপস্থাপন করতেন। তার এই সাইটগুলো থেকে ভিডিও বিদেশি অনেক পর্নোগ্রাফি সাইটে উচ্চমূল্যে বিক্রয় হত। বিদেশি এমন লক্ষাধিক পর্নো সাইট থাকলেও বাংলাদেশে ফুয়াদই প্রথম বাণিজ্যিক আকারে নিজেকে এই পেশায় নিয়োজিত করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান।

উৎস-ইত্তেফাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!