পলিন হত্যা : দুই মেজরের আপিলের রায় সোমবার
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
প্রায় ১ যুগ আগে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শার্মিলা শাহরিন পলিন হত্যার অভিযোগে বিচারিক আদালতে মেজর নাজমুলসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে দেওয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুই মেজরের আপিল আবেদনের রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার এ সংক্রান্ত আপিল আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রায়ের এ দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে নিহত পলিনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে ৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত রুল খারিজ করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমম্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলবে বলে রায় দেন।
গত বছরের ১ জুন আসামিপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পলিন হত্যা মামলার বিচার ৬ মাস স্থগিত রেখে রুল জারি করেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শর্মিলা শাহরিন পলিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিনই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন কলেজের প্রিন্সিপাল খাদেমুল ইসলাম।
পরে একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পলিনের বাবা আবুল বাশার পাটোয়ারি ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে কারো নাম উল্লেখ না করে দ্বায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত হত্যার ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
পরে ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলামিন ২০১৩ সালের ২২ মে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৩ মার্চ ময়মনসিংহের জজ আদালত মেজর নাজমুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অন্য চার অভিযুক্ত হলেন-ক্যাডেট কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন, নন কমিশন্ড অফিসার মো. নওশেরুজ্জামান, হোস্টেলের আয়া হেনা বেগম ও মেজর মনির আহমেদ চৌধুরী।
৫ আসামির মধ্যে মেজর নাজমুলসহ ৪ জন জামিনে রয়েছেন। এ ছাড়া মামলার অন্য আসামি মেজর মনির এখনও পলাতক আছেন।