পাবনায় কৃষকলীগ নেতা তোফাজ্জল হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
সৈয়দ আকতারুজ্জামান রুমী,পাবনা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পাবনায় চাঞ্চল্যকর কৃষকলীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন (৫২) হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুস্তম আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন-সদর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের আকবার প্রামানিকের ছেলে আমজাদ হোসেন, মজি প্রামানিকের ছেলে তজির উদ্দিন, নুর ইসলামের ছেলে ইকরাম হোসেন খোরশেদ আলী মন্ডলের ছেলে আকাই মন্ডল, এরশাদ আলীর ছেলে আসকান আলী, লবিন উদ্দিনের ছেলে জীবন হোসেন ও জামাত আলীর ছেলে জাফর আলী।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শাহজাহান আলী জানান, ২০১০ সালের ৩ অক্টোবর রাতে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন (৫২) কে নিজ বাড়িতে র্যাবের পরিচয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আসামীরা। এলাকায় হত্যাকারীদের নানা অপকর্ম ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয় বলে দাবি পরিবারের।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আব্দুল মালেক বাদি হয়ে পরদিন ৪ অক্টোর’২০১০ তারিখে উল্লেখিত ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিভিন্ন সময় মামলার সব আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন আসামীরা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১২ মে ওই সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সোমবার (১৬ জুলাই) উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আসামী ও তাদের স্বজনদের কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডেেভাকেট শাহজাহান আলী। আসামীপক্ষের আইনজীবি ছিলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ।