পাবনায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় অবশেষে ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৫১ জনের নামে থানা হত্যা মামলা দায়ের
সৈয়দ আকতারুজ্জামান রুমী, পাবনা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের হামলায় জোড়া খুনের ঘটনায় (আজ) হয়েছে। দায়েরকৃত অভিযোগ অবশেষে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। পাবনা সদর থানার ২১ নং এ মামলাটি (৬ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে দায়ের করা হয়েছে।
পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান সহ ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে চাঞ্চল্যকর এই জোড়া খুনের মামলাটি দায়ের করা হয়।
১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩০২/৩৮০/৪২৭/৫০৬/৩৪ ধারা দন্ড বিধিতে এ মামলার বাদী হলেন আওয়ামীলীগ নেতা নিহত লস্কর খানের ছেলে সুলতান মাহমুদ খান। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন পাবনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারায় আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান এবং জাসদ থেকে যোগদানকারী আওয়ামীলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ খানের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে । গত সোমবার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান সমর্থক গ্রুপ প্রতিপক্ষের উপর উপর্যুপরি হামলা চালায়। এতে ঘটনায় মামলার অভিযোগ দায়ের কারী সুলতানের বাবা মহসীন খান লস্কর (৬৮) ও প্রতিবেশী আব্দুল মালেক (৪০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় দুই নারী সহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ আহত হয় ।
নিহত মহসীন খান লস্করের ছেলে সুলতান মাহমুদ খানের অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, হামলাকারীরা তার বাবা ও প্রতিবেশীকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করার পর তাদের বাড়িতে ব্যাপক লুটতরাজ করে। এ সময় হামলাকারীরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
দায়ের করা মামলায়, এই জোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় সদরের ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সাঈদ খান কে ১ নম্বর আসামি করে তিনি সহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে গত বুধবার সন্ধ্যায় দায়ের করা অভিযোগটি যাচাই বাছাই সম্পন্ন হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে মামলার এজাহার ভুক্ত করা হয় বলে জানান পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক ।