পাবনায় সাদুল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস মুন্সীর বাড়ির আঙিনা থেকে ৬৩৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার, আটক-১
পাবনা, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পাবনায় সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মুন্সী এর বাড়ির আঙিনা থেকে পাইভেট কারসহ ৬৩৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে রাজশাহী র্যাবের একটি বিশেষ অভিযানিক দল। সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আব্দুল কুদ্দুস মুন্সীর বাড়ির আঙিনা থেকে এই বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় মো. শামীম (২৫) নামে এক যুবককে আটক করে রাজশাহী র্যাব। আটক শামীম শালগাড়িয়া সর্দারপাড়ার আব্দুর রহমান এর ছেলে। এসময় চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুন্সীর ছেলে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা আমির সোহেল মিলন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আতাইকুলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, রাজশাহী র্যাবের একটি বিশেষ অভিযানিক দল, সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আব্দুল কুদ্দুস মুন্সীর বাড়ির আঙিনা থেকে একটি প্রাইভেট কারসহ এই বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এসময় শামীম এর কাছ থেকে অবৈধ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্যসহ ৬৩৮ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে আটক করা হয়।
সংবাদ সংগ্রহকালে এলাকাবাসী এই প্রতিবেদকের কাছে চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুন্সী ও তার ছেলে আমির সোহেল মিলন বাহিনীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, অস্ত্র ব্যবসা, সালিশি বাণিজ্য, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনেন।
এর পূর্বে সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গ্রাম কমিটি করার সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর হামলার কারণে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২৪ শে অক্টোবর চেয়ারম্যান পুত্র পাবনা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির সোহেল মিলনকে বহিষ্কার করে।
এছাড়াও পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগে নেতৃবৃন্দ সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে মিলন ও তার বাবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করে।