স্বামীকে হাসপাতালে রেখে অন্য রোগীর সঙ্গে পালালো স্ত্রী!
বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
অসুস্থ স্বামীর সেবা করতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন স্ত্রী। সেখানে পাশের কেবিনে থাকা রোগীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। অল্প সময়ের মধ্যেই বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। এরপর অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালে রেখেই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান ওই নারী।
জানা গেছে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর দেখাশুনার জন্য স্ত্রী বন্যাকে এনেছিলেন শাহ আলম। তাদের রয়েছে এক ছেলে সন্তান। কিন্তু, বন্যা হাসপাতালে অন্য এক রোগীর সঙ্গে প্রেমে মজে তার হাত ধরে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শাহ আলম শাহবাগ থানায় একটি জিডি দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শাহ আলমের বাড়ি গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাগানবাড়িতে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিসের লাইন ঠিক করতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ২ মার্চ তাকে ভর্তি করা হয় ঢামেকের বার্ন ইউনিটে। ঢামকে শাহ আলম তার দেখাশুনার জন্য স্ত্রী বন্যাকে আনেন।
একই ইউনিটে পল্লী বিদ্যুতের তার ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন যশোরের মনিরামপুর থানার মনিরুল ইসলাম। চিকিৎসাধীন মনিরুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বন্যা। গত ১৩ এপ্রিল একইসঙ্গে তাদের রিলিজ দিয়ে ২০ এপ্রিল ফলোআপের জন্য হাসপাতালে আসতে বলা হয়। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার তারা উভয়ই হাসপাতালে আসেন। এদিন বন্যা তার স্বামী শাহ আলমকে হাসপাতালে রেখে মনিরুলের হাত ধরে পালিয়ে যান।
এদিকে দীর্ঘ সময় স্ত্রীকে না দেখে অনেক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বামী। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী মনিরুলের সঙ্গে চলে গেছে।
এ ঘটনায় তিনি শাহবাগ থানায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জিডি করেন। জিডি নম্বর ১২৩৬।
শাহ আলমের অভিযোগ, হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী মনিরুলের সঙ্গে দেখা করতেন। মনিরুলকে রোগী ভেবে তিনি বিষয়টি স্বাভাবিক মনে করেন। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে আসার পর তার স্ত্রীকে পাননি। তার সন্দেহ, তার স্ত্রী মনিরুলের সঙ্গেই পালিয়েছে।
শাহবাগ থানার এসআই মোতালেব জানান, জিডি হওয়ার পর তিনি বার্ন ইউনিটে ঘটনার তদন্তে যান। সেখানে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছেন, বন্যা ও মনিরুলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ধারণা, মনিরুলের হাত ধরেই পালিয়েছেন ওই নারী।