১০০ দিন ধরে কিং কোবরার ডিমের পাহারায় তারা ৩ জন!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ভারতের কেরালার কান্নুরের এক পাহাড়ি গ্রাম। সেখানে তিন ব্যক্তি নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন এক জায়গায়! ওখানে রয়েছে মারাত্মক বিষধর কিং কোবরার কয়েকটি ডিম। ওই ডিমগুলোকেই তারা পাহারা দিচ্ছেন ১০০ দিরেরও বেশি সময় ধরে। ডিম ফুটে বাচ্চা সাপগুলো না বেরোনো পর্যন্ত এভাবেই পাহারা চলতে থাকবে। নিজেরা তো আছেনই, স্থানীয়দেরও আগ্রহী করে তুলেছেন তারা। সবাই এখন ডিমগুলো রক্ষায় মরিয়া।
রাজ্যের বন বিভাগের সদস্য এবং এমপি চন্দ্রন গত এপ্রিলের ২২ তারিখে হঠাৎ করেই জরুরি টেলিফোন পান। কোট্টিয়রে একটি কোবরার দেখা মিলেছে। চন্দনের সঙ্গে তখন ভিজে নীলাকান্ত আর গৌরি শঙ্কর ছিলেন। তারা চলে যান কোবরার বাড়িতে, যেখানে ডিম পেড়ে রয়েছে সাপটি। হবু মা কোবরাটি হয়তো কোনো কারণে জীবন বাঁচাতে ডিমগুলো ফেলে পালিয়ে গেছে।
কিন্তু এই ডিমগুলো কোনো অবস্থাতেই নষ্ট করা যায় না, বললেন নীলাকান্ত।
সেই দিন থেকেই স্থানীয়দের বোঝালেন তারা। নিজেরাও লেগে পড়লেন এগুলো বাঁচাতে। তারা পাহারা দিতে থাকলেন বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপের বংশ রক্ষায়। এদের কামড়েই কিন্তু ভারতে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটে।
এই তিন পরিবেশবাদী ব্যক্তি যেখানে থাকেন সেখান থেকে কোবরার বাসা ৯০ কিলোমিটার দূরে। ডিমগুলো ফুটতে ৮০-১০৫ দিন সময় নেয়। তারা প্রতিদিন এত দূর এসে ডিমগুলো পাহাড়া দিচ্ছেন। ৭২ দিনের মাথায় তারা ঘড়ি ধরে পাহাড়া দিতেন। তারও ৩০ দিন পর ডিমগুলো ফোটার লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে।
তবে ডিমগুলো কবে ফুটবে সে বিষয়ে তারা তথ্য প্রকাশ করেননি। এতে স্থানীয়দের মাঝে ভয় ছড়িয়ে পড়বে। হাজার হলেও জন্ম নেবে আরো কয়েকটি কিং কোবরা। ফোটার পর এদের বনের গভীরে ছেড়ে আসা হবে বলে জানান তারা।
তবে স্থানীয়দের কিছুটা হলেও যে বোঝানো গিয়েছে এ নিয়ে খুশি তিন পাহারাদার।
সূত্র : এনডিটিভি।