প্রকৃত জ্ঞানীর কাজই স্রষ্টাকে খুঁজে পাওয়া
প্রকৃত জ্ঞানীর কাজই স্রষ্টাকে খুঁজে পাওয়া
আওলাদ হোসেন
পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
আমি বাংলা সাহিত্যে আল-কুরআনের জ্ঞানের অফুরন্ত ভান্ডার থেকে বিভিন্ন আয়াত প্রয়োগ করেছি এবং অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছি যাতে প্রকৃত জ্ঞান ফুটে উঠেছে যা আমার পূর্বের সাহিত্যিকগণ করেননি। ফলে একটি কাজ আমিই শুধু করতে পেরেছি। দীর্ঘ সাধনার ফসল হিসেবে আল্লাহকে বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্টিত করেছি এটা আমার চ্যালেঞ্জ যা আমার জীবনকে ধন্য করবে। রাজধানীর রাজনীতির অশান্ত হানা-হানি ব্যস্ততায় সাপ্তাহিক ইনতিজার এর মাধ্যমেই বৎসরের অধিক কাল সকলের অজান্তে, অগোচরে বাংলা সাহিত্যে এই ধারা প্রবর্তনের কাজটি সমাপ্ত করছি কেউ স্বীকৃতি দিক বা না দিক। আল্লাহ পাক যে কত বড়, কত মহান সূচ পরিমান অগ্রভাগ স্থানের জ্ঞানও মানুষের নেই। পৃথিবীর সমান বিরাট গোলাকার মাথাটি যদি দেয়া হতো তবুও মানুষের অবস্থান একই রূপ থাকতো। পৃথিবীতে কে কত বড় মানুষের জ্ঞান এই পর্যন্তই আমাদের ধান্দা বা অন্ধ চক্রও তাই কিন্তু স্রষ্টার সৃষ্টির কোন শেষ নাই। শত সহস্র ডারউইন কবরে শায়িত কেউ তাদের ঘুম ভাঙ্গাতে পারে না। পাঁচ হাজার বৎসর পূর্বের পিরামিড বাসীদের জীবনই আমরা জানিনা, পাঁচ হাজার বৎসর পরে আমাদের অবস্থানও কেউ জানবে না কিন্তু কত লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি বৎসর পার হয়ে গেছে তা সূরা দাহর পড়লেই উপলব্ধি করা যায়। সূরা রূম পড়লেই বিশ্বের জাতিসত্ত্বার চিত্র বিচিত্র পরিচয়ে পাওয়া যায়। যিনি চযুংরপং এর পন্ডিত তিনি ঈযবসরংঃৎু বুঝেন না, যিনি এলোপ্যাথ তিনি হোমিওপ্যাথি অস্বীকার করেন অথচ মানুষ এক আল্লাহ ছাড়া আর সব কিছুকেই ভয় পায়, আত্মা সমর্পন করে যা শিরক ও হারাম। অথচ সূচকে পৃথিবীর মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া অথবা পৃথিবীকে সূচের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া একই কথা। এর ব্যাখ্যা বুঝে নিতে হবে যা একাধিক উদাহরণ দিয়ে বুঝানো যায় অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্যের অবয়ব সমান। সব না বরং তার সম্বন্ধে সামান্যতম চিন্তা ভাবনাও করা যায় না এবং নিষেধ।
আমার লেখা রাজনৈতিক বা স্বার্থবাদী শক্তির গুণগান করার জন্য নয়। এখানে শুধু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেশের ও জনগণের স্বার্থে ১৬ কোটি বাঙালির মঙ্গল কামনা, যাতে দিকভ্রান্ত না হয়, আল-কুরআনের আয়াত সমূহ ভুলে না যায় ইত্যাদি বলিষ্ঠ কণ্ঠে ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুসলমান যে বাংলা, বিহার, উরিষ্যার নবাব ছিল তাকেই তুলে ধরা হয়েছে। অনেক সত্যকে মিথ্যার আবরণে চালাকির সগে উপস্থাপন করা হয়েছে নিজেকে ও জাতিকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সে হিসেবে অনেক লেখা অনেক পাঠক বুঝতে পারবেন না বা ভুল বুঝবেন। আসলে সাহিত্যিক নিজেই জানেনা কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা কারণ পত্রিকা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, সত্য প্রকাশ করছে না। বিশ্বের যে পরিস্থিতি তা থেকে পিছিয়ে আসার কোন উপায় নেই। ক্রমেই অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। এই অবস্থা নিজেদের অস্তিত্বকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহর পথকে চিনে নিতে হবে। মানবতাবোধ জাগ্রত করতে হবে। বাঙালির জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে অত্যন্ত ধার্মিক এবং ধর্মভীরু, সব মসজিদ পাকা পোক্তা, কিন্তু রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে প্রধান ৩/৪ টি দল, অথবা ১৫/২০জন রাজনীতিবিদ ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি করেন না। চায়ের স্টল ঠিক একথাই প্রমাণ করে। উপরন্ত গ্রামে গ্রামে, ঘরে ঘরে এখন ইন্টারনেট চালু হয়েছে, ফলে গ্রাম আর শহর প্রায় কাছাকাছি। সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাংলার মানুষ একই দলকে ৫ বৎসরের বেশি ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ধৈর্য্য ধারণ করলে দেখা যাবে যে ৫ বৎসর পর ক্ষমতার পালা বদলে গেছে অথচ আমরা তার উল্টাটা মনে করি আর এর ফল যে ভাল হয় নাই তা সবাই জানে এবং মানে। কোন দলেই ব্যতিক্রম কিছু নেই ব্যাতিক্রম শুধু জনগণ। এখানে কোন লজিক কাজ করে বলে মনে হয় না। বাংলার মানুষ মৃত্যুকে ভয় পায়, আল্লাহকে ভায় পায়, দাড়ি-টুপিকে সম্মান করে। বৃদ্ধ বয়সে মসজিদমুখী হয় এবং আল্লাহর রাস্তায় নামার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। টাকা পয়সা বাৎসরিক ধর্ম সভায় ব্যয় করে। অনেক ধর্মদ্রোহীকে মৃত্যুর সময় ধর্মের কান্ডারী হতে দেখা যায়, কিন্তু তখন তার সময় শেষ, তার কথা কেউ শোনেনা, অচল মাল, কোন ব্যাটাই তাকে ধরা দেয় না অনেক সময় পাশ কাটিয়ে যায় এবং মাথা খারাপ বলে গালি দেয়। একেই বলা হয়েছে যৌবনে দাও রাজটীকা আর কে গায় ঐ মধুময় পৃথিবী তখন অভিশপ্ত পৃথিবী বলে মনে হয়্ আমরা সবাই একই পথের পথিক ২ দিন আগে আর পরে। পৃথিবীতে সম্পদের সমবন্টন হচ্ছে না, এটা নিয়ে কোন কথা নেই, কোন আন্দোলন নেই, গরীবের হক আদায় করার কোন কথা নেই, কিন্তু এক রাজ্য অন্য রাজ্যকে গ্রাস করার জন্য যত অস্ত্রের মহড়া চলে, বৃহৎ শক্তির খেলা। পৃথিবীকে নানান ভাবে বিভক্ত করে রাখা হযেছে, নেংটি সভ্যতার কাছে সবাই হার মেনেছে পরকীয়া, প্রকাশ্যে যৌন অত্যাচার, স্বাধীনতার নামে উলঙ্গপনা, অপহরণ আর খুন ধর্ষিত হচ্ছে পৃথিবী আর দিনের পর দিন তা বেড়েই চলছে। হটকারিতা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা এর মূলে। সাময়িক যৌন উত্তেজনার কারনে যে সংঘাত চলছে তাতে একাধিক পরিবার নি:স্ব হচ্ছে এবং অকারণে অকাতরে জীবন বিসর্জন দিচ্ছে। একটি অন্যায় থেকে ১০০টি অন্যায় জন্ম নিচ্ছে। রাষ্ট্রশক্তি ক্রমেই দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। এইবার ধর্মের কথায় আসতে হবে, ভুলে আছি (ক) ফাগুলেবু হুনালেকা ওয়ান কালাবু ছাগেরীন সুতরাং তারা সেখানে পরাজিত হল এবং তারা নিতান্ত অপদস্থ হল (৭:১১৯)্ (খ) আলমালু ওয়াল বানু না জীনাতুল হায়াতেদ দুনিয়া, বাকিয়াতুছ ছালেহাতু খায়রু ইন্দারাব্বিকা ছাওয়াবায় ওয়া খায়রুন আমিলান ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি পার্থিব জীবনের শোভা, এবং স্থায়ী নেককার আপনার রবের নিকট সওয়াবের দিক দিয়েও শ্রেয় এবং আপনার দিক দিয়েও উৎকৃষ্ট-১৮:৪৬ ফাছুবহানাল্লাজি বেইয়াদেহী মালাকুতু কুল্লু শাইয়েন ওয়া ইলায়হে তুরজাউন-অতএব পবিত্র মহান তিনি, যার হাতে রয়েছে সর্ব বিষয়ের সর্বময় ক্ষমতা এবং তারই সমীপে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। (৩৬:৮৩)
(ঘ) হা-মীম তানজিলুল কিতাবী মিনাল্লাহেল আজীজুল আলীম-হা-মীম একিতাব নাযিল হয়েছে পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর তরফ থেকে ৪০:১-২।
(ঙ) …… আনতুম আনহুমগাফেলুন-তোমরা তার থেকে অমনোযোগী হবে। এসমস্ত আয়াতে আল্লাহ পাকের সার্বভৌম এবং সর্বময় ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। তবে এখানে সূরা ইয়াসীনকে সব সময় পাঠ করতে মনে স্থান দিতে হবে, কারণ এখানে সংক্ষেপে যা বলা হয়েছে তা অবশ্যই স্মরণ রাখার মত। যেমন মুহাম্মদ (দ:) আল্লাহর রাসূলদের মধ্যে একজন। আল্লাহর নিকট হতে নাজিলকৃত। অদৃশ্য আল্লাহকে ভয় করতে হবে। নিশ্চই মৃতকে জীবীত করব। চন্দ্র সূর্য একই নিয়মে ঘুরছে যা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি। মানুষকে ঘুম থেকে জাগ্রত করা হবে, তখন তারা বলবে হায় আমাদেরকে ঘুম হতে কে উঠালো। এক ফোঁটা শুক্রবিন্দু থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি সব রকমের সৃষ্টি জ্ঞাত। এই সূরায় মানুষের অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে বিশেষ করে পুনরায় সৃষ্টি প্রথম বারের সৃষ্টির চেয়ে সহজ এবং আল্লাহ পাকের কাছে আমাদের ফিরে যেতে হবে। এইভাবে ধীরে ধীরে বৎসরের পর বৎসর আয়াত সমূহ পাঠ করলে সত্যের সন্ধান পাওয়া যাবে, স্রষ্টা ও সৃষ্টির পার্থক্য বুঝা যাবে। জাগতিক ফ্যাকরা ফাসাদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তবে আল্লাহকে দেখা যাবে না, এই শক্তি তিনি কাউকে দেন নাই কারণ স্রষ্টা ও সৃষ্টি সম্পূর্ণ পৃথক। তারা যা বলে তাতে দু:খিত হবেন না। বর্তমানেও বলে থাকে যা ধৈর্য ধরার কথা। স্রষ্টা ইচ্ছা করলে সবই করতেন বা করতে দিতেন কিন্তু তিনি নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। মানুষের গণনায় যা কোটি কোটি সংখ্যা কোটি কোটি মাইল বা কোটি কোটি বৎসর, স্রষ্টার কাছে তা এক সেকেন্ডওনা। স্রষ্টাকে নিয়ে চিন্তা করা নিষেধ, তার কর্মকে নিয়ে চিন্তা করতে বলা হয়েছে। ইংরেজিতে যদি জানার আগ্রহ থেকে থাকে বা বিদেশীরা কিছু জানতে চান তাদের সুবিধার্থে সূরা ইয়া-সীন থেকে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।
- Thou art indeed one of the messengers,
- On a Straight Way
- It is a Revelation sent down by (Him), the Exalted in Might, Most Merciful.
- Thou canst but admonish such a one as follows the Message and fears the (Lord) Most Gracious, unseen: give such a one, therefore, good tidings, of Forgiveness and a Reward most generous.
- Verily We shall give life to the dead, and We record that which they send before and that which they leave behind, and of all things have We taken account in a clear Book (of evidence).
- They will say: “Ah! Woe unto us! Who hath raised us up from our beds of repose?”… (A voice will say:) “This is what (Allah) Most Gracious had promised. And true was the word of the messengers!”
- And if it had been Our Will, We could have transformed them (to remain) in their places; then should they have been unable to move about, nor could they have returned (after error).
- And he makes comparisons for Us, and forgets his own (origin and) Creation: He says, “Who can give life to (dry) bones and decomposed ones (at that)?”
- Say, “He will give them life Who created them for the first time! for He is Well-versed in every kind of creation!-
- Verily, when He intends a thing, His Command is, “be”, and it is!
প্রসঙ্গক্রমে বলা হচ্ছে যে, চরিত্রের দৃঢ়তা এবং রূঢ়তা মুসলমানকে অনেক কটুকথা শুনতে হয়্ অথচ মুসলমানরা দিনে ৫ বার হাত মুখ মন্ডল ধৌত করে যা স্বাস্থ্য বিধি সম্মত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য্ তার পরও যদি তারা অপরিচ্ছন্ন থাকে এ সুযোগকে কাজে না লাগায় তাহলে আল্লাহ পাক আর কি দিতে পারেন। অসুখ বিসুখের বিরাট প্রতিরক্ষা দেহ এবং আত্মার পরিশুদ্ধতা ও পবিত্রতা তো আছেই। পবিত্রতা আল্লাহ পাককে পাওয়ার পূর্ব শর্ত।
কিন্তু মানুষের তুলনায় পৃথিবীটা অনেক বড় পৃথিবীর তুলনায় মহাশূন্য অনেক বড় হাতের কাছে কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেই, তাই যা ইচ্ছা তাই করা যায়, বাঁধা দেয়ার কেউ নেই। স্রষ্টা এই সুযোগ স্বাধীনতা কেন দিলেন? আমি হঠাৎ করে ইনতিজারে ধারাবাহিক আলকুরআন থেকে উদ্বৃতি দিয়ে যে প্রবন্ধ রচনা করেছি এই জ্ঞান না থাকার কারনে অনেক লেখকই এই টেকনিক গ্রহণ করতে পারেন নি। প্রশ্ন করতে পারেন এতে আমার লাভ কি? এখানে ২টি লাভ। একটি হচ্ছে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ভাষায় জীবন দর্শন আমার একটি ক্ষুদ্র বই এর নাম এখানে বাংলায় সাহিত্যের ভাষায় আরবিসহ নতুন ধারার প্রবন্ধ চালু করেছি যা আগে ছিল না। দ্বিতীয়ত: আমি আল কুরআন থেকে কাহিনী তুলে ধরেছি যারা আরবি জানেন না পড়তে পারেননা তাদেরকে সহজ সরল নান্দনিক ভাষায় কঠোর পরিশ্রম করে সাধারণ পাঠকের সম্মুখে তুলে ধরেছি। অনেক ইতিহাস, ভুগোল, মানুষ সৃষ্টির রহস্য, স্রষ্টা ও সৃষ্টির সম্পর্ক ইত্যাদি। সকলের অজান্তে দীর্ঘ ২ বৎসর এক টানা সাপ্তাহিক ইনতিজারে লিখে শেষ দিয়েছি। অধ:পতিত বাঙালি জাতির জাগরণের জন্য অনেক উপমা কলামিষ্টদের লেখাকে মূখ্য করে গণতন্ত্রের জন্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করেছি যাতে পুনরায় মীর জাফর না হতে হয়। এজগতে কোন আজুরা নেই আশা করি আমার আজুরা নবী-রাসূলদের সংগে পেয়ে যাব।
মানুষকে ২টি বিষয় মনে রাখতে হবে (১) মানুষের দেহের ভিতর এত সমস্ত কলকব্জা কাজ করছে একটু টেরও পাওয়া যায় না, অসুখে বিসুখে বুঝা যায়। (২) যে জ্ঞান আদাম (আ:) কে দেয়া হয়েছিল সেই জ্ঞানই মানুষের আবিস্কার ও উদ্ভাবনের মূল চাবিকাঠি, এতে স্রষ্টাকে খুঁজে পেতেই আনন্দ উল্লাস মনকে সদা জাগ্রত রাখে, মৃত্যুতে তার পরিসমাপ্তি ঘটে। কোন যুবতীকে নিয়ে প্রেমে বিভোর থাকা আর বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাকে নিয়ে বিগত দিনের স্মৃতিচারণ কোনটাই স্থায়ী না। এ জীবনে অতৃপ্ত আত্মা পরকালে সবই পাবে এটাই জীবন দর্শন। (৩) আমি মনে করি যে কোন লেখা আল-কুরআন থেকে নেওয়া এবং মিশ্রিত রসে সিক্ত করা কারণ আগের সাহিত্যে এই মিশ্রণ পাওয়া যায় না অথচ এই জ্ঞান যে কতটা জরুরী তা না পড়লে বুঝা যাবে না।
(৪) পাঠ্য পুস্তকে পঞ্চম শ্রেণী থেকে স্নাতক শ্রেণি পর্যন্ত এই জ্ঞানের স্বীকৃতি দেয়া এবং পাঠের অন্তর্ভুক্ত করা। অন্যথায় আমরা সাধারণ জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হব। মৃত্যুর পর পুন: জন্ম এবং অনন্ত জীবন লাভ ইত্যাদির জ্ঞানকে কেন যে মন মগজ থেকে সরিয়ে ফেলেছে তা যে মুর্খতা তা জানতে হবে, শিখতে হবে, মানতে হবে ইত্যাদি। মূল বিদ্যা যা জীবনের একটি অংশ। হঠাৎ করেই পৃথিবীতে এলাম আর হঠাৎ করেই মৃত্যু বরণ করলাম তা হতে পারে না।
ঈমানের দৃঢ়তা এবং জ্ঞানের গভীরতা মৌলবাদী মুসলমানেরা একত্ববাদ ও শিরক এর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অনড়, অটল। অথচ এ থেকে বাঙালিরা কেন যেন দ্রত সরে যাচ্ছে। শেষে বলতেই হচ্ছে আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন আমি এত সুন্দর করে লিখি কিভাবে এটা যে বিষয়ে লেখা তার উপর পরিপূর্ণতা লাভ এবং এটা ভাবের উদয় হওয়া যা বিভিন্ন জ্ঞানের সংমিস্রণ বলা যেতে পারে। লেখা প্রকাশিত হওয়া এবং পাঠকের নিকট তা গ্রহনীয় হওয়াও বিরাট ধৈর্য ও সাধনার প্রয়োজন। স্বীকৃতিই ভাল লেখার প্রধান উৎস যা লেখক নিজেও বুঝতে পারে না।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।
কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।