প্রতিহিংসার শিকার তরুন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ বাহাউদ্দিন সাদী
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
গত ২৩ আগস্ট ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ভুয়া এফডিআরে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। ২০১৩ সালের ১১ই নভেম্বর নরসিংদী মডেল থানায় দায়েরকৃত দুদকের একটি মামলায় তাকে আটক করা হয় বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য ।
আশ্চর্যের বিষয় হলো যে মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলো সে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন বাহাউদ্দিন সাদী। তাহলে কেন এই গ্রেফতার? এ প্রশ্ন এখন সবার। বিশেষ করে ঢাকা-১৮ আসনের সকল নেতাকর্মী ও সাধারন জনতার মুখে মুখে এখন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
এক অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে বাহাউদ্দিন সাদীর ষড়যন্ত্র মুলক গ্রেফতারের পিছনের কারন। জানা গেছে বাহাউদ্দিন সাদী একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুন ব্যবসায়ী ও প্রতিভাধর রাজনীতিবিদ। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে কখনোই তিনি আগ্রাসী বা হিংস্র নন। তার বিরুদ্ধে কোন সন্ত্রাস, চরমপন্থা কে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার কোন অভিযোগ নেই। শান্তি প্রিয় নেতা হিসাবে ঢাকা-১৮ আসনে দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে যথেষ্ট সুনামের অধিকারী এই নেতা। দলের কথা বাদ দিলেও তার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত, সমর্থক।
একজন মাঠের নেতা হিসাবে, সংগ্রামী নেতা হিসাবে ইতিমধ্যে তিনি দলের কাছে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। সরকারী দলের কাছে এই নেতা মূর্তিমান আতঙ্ক। কেননা বিপদে-আপদে তার ডাকে সাড়া দেয় হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। তরুন এই নেতার হাত ধরে এগিয়ে চলছে বর্তমানের ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি।
বাহাউদ্দিন সাদীর এই বিপুল জনপ্রিয়তাই তার গ্রেফতারির মূল কারন বলে মনে করছেন অনেকেই। ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি কিছুদিন আগে পর্যন্ত গুটি কয়েক নেতার হাতে জিম্মি হয়ে পরেছিল। তাদের স্বার্থ উদ্ধার ও কমিটিতে আত্মীয়করণের কারনে বিগত আন্দোলনে ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন গুলো ছিলো নিরব-নিথর। সেই অবস্থা থেকে বাহাউদ্দিন সাদীর জাদুর ছোঁয়াতে বদলে যায় ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন গুলো।
সেখান থেকেই শুরু হয় তার বিরুদ্ধে নিজ দলের কিছু ষড়যন্ত্র, নানা ভাবে তাকে ঢাকা-১৮ আসনের রাজনৈতিক মাঠ বিতারিত করার চেস্টা করা হয়। বারে বারে হামলা করা হয় তাকে এবং তার অনুসারী নেতাকর্মীদের উপর। তাই অনেকেই মনে করেন, তাদের প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের আগুন দুদক কে দিয়ে মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করিয়ে নেভানোর একটা চেস্টা মাত্র।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উওর বিএনপির সহ-সাধারন সম্পাদক হেলাল তালুকদার বলেন, রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করা উচিত, সরকারী দলের সাথে আতাত করে নিজ দলের কাউকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার নামে কুৎসা রটানোর নাম আর কিছু যাই হোক সুস্থ রাজনীতি হতে পারেনা। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে, এইটা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিযোগিতার নামে নিজের দলের মানুষের নামে নোংরামি, ব্যক্তিগত আক্রমণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। একটি বিশেষ মহলের ইন্দনে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং বাহাউদ্দিন সাদী ভাই এর বিরুদ্ধে করা এই মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
জানা যায়, অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার জন্য সিংঙ্গাপুর যাওয়ার পথে তরুন ব্যবসায়ী ও স্বচ্ছ ইমেজের রাজনীতিবিদ মো: বাহাউদ্দিন সাদীকে এজাহারে নাম না থাকা সত্বেও গ্রেফতার করেছে দুদক।