প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর থেকে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করব -কর্ণেল (অব.) মির্জা হারুন-অর-রশিদ বীর প্রতীক
মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও ভুয়াপুর আসনে আওয়ামীলীগ হতে মনোনয়ন প্রত্যাশী কর্ণেল (অব.) মির্জা হারুন-অর- রশিদ বীর প্রতীক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়তে আর বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর থেকে বাকিটা জীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে দেশ ও জাতির উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাবো। সে লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের গোপালপুর-ভূঞাপুরের আপামর জনগণের সেবক হয়ে বাকিটা জীবন কাজ করতে চাই।
জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে সংসদীয় আসন ১৩৪, টাঙ্গাইল-২, গোপালপুর-ভূঞাপুরের জন্য নৌকার মাঝি হিসেবে যোগ্য মনে করে মনোনীত করেন, তাহলে আল্লাহর রহমত এবং আপনাদের ভোটে আমি বিজয়ী হবো, ইনশাল্লাহ।’
তিনি শুক্রবার দিনব্যাপী ভুঞাপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পানিবন্ধী মানুষদের ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি অসহায় মানুষদের জন্য সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পাঁচ শতাধিক ত্রাণের প্যাকেট বিতরণ করেন। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি লবন, প্রয়োজনীয় প্যারাসিটামল ও খাবার স্যালাইন।
এসব ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন ভুঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আশরাফ হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নূরুজ্জামান বাবলু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মো. আনোয়ার হোসেন (ভিপি) মিন্টু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য কাজী রাশেদুল ইসলাম, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অসহায় পানিবন্ধী মানুষ।
গোপালপুর উপজেলার বেলুয়া গ্রামের এ কৃতিসন্তান বাকী জীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে উক্ত আসনের একজন প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে জনগনের নিকট আত্ম প্রকাশ করেছেন এবং গোপালপুর ও ভুঞাপুর এলাকার আপামর জনসাধারণসহ সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, পরিচিতি সভা, গণসংযোগ ও জনসমাবেশে বক্তব্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানাচ্ছেন।
সমাজ ও দেশের প্রয়োজনে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করার আগ্রহ মির্জা হারুন অর রশিদের সহজাত প্রভৃত্তি। তার পিতা মির্জা হাতেম আলীও ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক সজ্জন ব্যক্তি। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে একজন ডাক্তার হয়েও শিক্ষকতার মতো মহান পেশা গ্রহণ করেন এবং স্বীয় এলাকার নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য আজীবন সচেষ্ট ছিলেন। তার শিক্ষা প্রীতিকে শ্রদ্ধা জানানো এবং স্মৃতিকে অম্লান করতে “ মির্জা হাতেম আলী শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্ট” নামে একটি সংস্থা গঠন করে মির্জা হারুন গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা খরচ নির্বাহে সহায়তা করছেন। তাছাড়া গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ ও ইবতেদায়ী মাদরাসার পূনঃস্থাপন ও সংস্কার কাজে আর্থিক সহায়তা, বেলুয়াতে পাঠাগার ও হেলথ চেকআপ সেন্টার- এ ব্যবস্থাপত্র প্রদান ও চিকিৎসা সেবা এবং কালিহাতী উপজেলার দুস্থদের চিকিৎসা কার্যক্রমে আর্থিক ভাবে সহায়তা করেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতির চর্চা ও অনুশীলনে তিনি পিতার সান্যিধ্যে থেকে শিখেছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া দূর দৃষ্টি সম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঝান্ডা সমুন্নত রাখতে তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। মির্জা হারুন অর রশিদ, বীর প্রতিক একজন প্রতিভাবান, কর্মঠ, সজ্জন, উদ্দ্যোমী, পরোপকারী ও ধর্মভীরু ব্যক্তি। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা- কর্মজীবনের একজন সফল সেনা কর্মকর্তা, রাজীনিতির অঙ্গণেও একজন সফল রাজনীতিক হিসেবে তার মেধা, প্রজ্ঞা ও সাংগঠনিক কর্মকুশলতার দ্বারা তিনি হবেন রাজনৈতিক দিগন্তে একটি উজ্জল নক্ষত্র।
- কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।