নিউইয়র্কে ফাহিম সালেহর দাফন সম্পন্ন
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
নিউইয়র্কে নিহত বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠায়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানিয়েছেন তার স্বজনেরা।
স্থানীয় সময় রোববার নিউইয়র্ক উইন্ডসর শহরে নূর মুসলিম কবরস্থানে সামাজিক দূরত্ব মেনে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সেখানে ফাহিমের পরিবারের লোকজন ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। প্রিয় বন্ধুকে বিদায় দিতে গিয়ে কান্নায় ভাঙায় পড়েন সহপাঠীরা।
করোনা পরিস্থিতিতে আধাঘণ্টার মধ্যে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। পুলিশি পাহারায় দুপুর সাড়ে ১২টায় লাশবাহী গাড়ি করে ফাহিম সালেহকে আনা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতেই তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের নিজস্ব অ্যাপার্টমন্ট থেকে ফাহিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিউইয়র্ক পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ডেইলি নিউজ এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, ফাহিমের খোঁজ না পেয়ে তার বোন হেল্পলাইন ৯১১-এ ফোন করলে পুলিশ ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে ফাহিমের খণ্ডিত লাশ পায়। লাশের পাশে একটি বৈদ্যুতিক করাতও পাওয়া গেছে।
নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট কার্লোস নিভেস জানান, লাশের মাথা, দুই হাত, দুই পা- সব শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।
নিউইয়র্ক পুলিশ জানায়, যে অ্যাপার্টমেন্টে ফাহিমের লাশ পাওয়া গেছে তা গত বছর সাড়ে ২২ লাখ ডলারে কিনেছিলেন তিনি।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লিফটের নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। সেখানে গত সোমবার ফাহিমকে লিফটে উঠতে দেখা গেছে। তিনি লিফটে ওঠার পরপরই তাকে অনুসরণ করে স্যুট পরিহিত আরেকজনকেও উঠতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক ও মাথায় হ্যাট ছিল।
ফুটেজে আরও দেখা গেছে, নিজের ফ্লোরে উঠে লিফট থেকে নামার পরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফাহিম।
পুলিশের ধারণা, সম্ভবত তাকে গুলি বা অন্য কোনোভাবে আঘাত করা হয়েছিল। হামলাকারীর হাতে একটি স্যুটকেস ছিল। সে ছিল অত্যন্ত পেশাদার।
ফাহিম সালেহর জন্ম ১৯৮৬ সালে। তার বাবা সালেহ উদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামে। ফাহিম পড়ালেখা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে। তিনি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা।
২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ফাহিম। পরবর্তীতে নাইজেরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে রাইড শেয়ারিং ব্যবসা শুরু করেন।