বথুয়া শাকের পুষ্টি গুণ
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বথুয়া আগাছা হিসেবে পরিচিত হলেও খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ শীতকালীন সুস্বাদু শাক। বথুয়া শাক বিভিন্ন রোগ সারাতে ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দামে খুব সস্তা। বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। অন্যান্য প্রচলিত শাকের চেয়ে বথুয়া শাকে ভিটামিন ‘এ’ বেশি থাকে। ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণও বেশি থেকে। যেমন- ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কলমিশাক, পুঁইশাক, পাটশাক, ডাঁটাশাক, মুলাশাক ও পালংশাকের চেয়ে বেশি থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, নিম্নে প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী বথুয়া শাকের পুষ্টিমাণ দেয়া হলো:
জলীয় অংশ ৮৯.৬ গ্রাম
মোট খনিজ পদার্থ ২.৬ গ্রাম
আঁশ ০.৮ গ্রাম
খাদ্যশক্তি ৩০ কিলোক্যালরি
প্রোটিন ৩.৭ গ্রাম
চর্বি ০.৪ গ্রাম
শর্করা ২.৯ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম
আয়রন ৪.২ মিলিয়াম
ক্যারোটিন (ভিটামিন এ) ১৭৪০ মাইক্রাগ্রাম
ভিটামিন বি১ ০.০১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি২ ০.১৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি ৩৫ মিলিগ্রাম
তবে এই পুষ্টিমান বথুয়া শাকের জাত ও উৎপাদনের স্থানের জন্য কিছুটা তরতম্য হতে পারে।
আয়ুর্বেদ মতে, বথুয়া শাকে রয়েছে প্রচুর ভেষজ গুণ। এই শাক সহজে হজম হয়। খিদে বাড়ায়। লঘু, শুক্র ও মল বৃদ্ধি করে, মল নিষ্কাশন করে, লিভারের অসুখ, রক্তপিণ্ড, কৃমি, অর্শ, বাত, পিত্ত ও কফ নাশ করে। দেহের ব্যথা সারায়। এই শাক ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত গম ক্ষেত, কপি ক্ষেত ও পিঁয়াজসহ বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেতে আগাছা হিসেবে জন্মায়।