বন্ধুকে মেরে নিজ ঘরে পুঁতে রাখল ৫৭ দিন
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
সুজানগরে অপহরণের ১ মাস ২৭ দিন পর রবিউল ইসলাম (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিউল উপজেলার উলাট গ্রামের আব্দুল মালেক শেখের ছেলে এবং স্থানীয় মালিফা সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গতকাল শুক্রবার একই গ্রামে রবিউলের বন্ধু মামুন হোসেনের (২০) দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার ঘরের মেঝে খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুল হক জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে কলেজ ছাত্র রবিউল বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর ওইদিন সকাল ১১টার দিকে এক ব্যক্তি মোবাইল থেকে রবিউলের বড় ভাই নজরুল ইসলামকে ফোন দিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে রবিউলকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
তবে পরিবারের লোকজন প্রথমে ওই ফোনের গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু পরের দিন অপহরণকারীরা রবিউলের ফোন থেকে তার আরেক ভাই নবীকে ফোন দিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তখন পরিবারের লোকজন অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এ ব্যাপারে নজরুল বাদী হয়ে গত ৫ অক্টোবর থানায় একটি অপহরণ মামলা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল হোসেন জানান, মামলার পর মোবাইলে কথোপকথনের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক শেখের ছেলে মামুনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, রবিউলকে অপহরণের পর খুন করে লাশ তার শয়ন ঘরের মেঝে খুঁড়ে পুঁতে রাখা হয়েছে।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ওই ঘর খুঁড়ে রবিউলের গলিত পচা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইবনে মিজান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (প্রবি) সালমা সুলতানা আলম, সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুল হক, ডিবির ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম ও সুজানগর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র-ইত্তেফাক।