মোহাম্মদ ইসমাইল এর কবিতা – বন্ধুত্বের বাধন
বন্ধুত্বের বাধন
মোহাম্মদ ইসমাইল
প্রিয় রাশেদ- মনির কেমন আছিস ভালো ?
তোদের ছাড়া বিষন্ন একা জীবন আধার কালো ।
কতদিন কেটে গেলো নেই কোন দেখা,
সঙ্গী বিহীন দূরন্ত পথে হাটছি একা একা ।
ভেবে কী হবে তিন জনায় তো আছি ত্রি-রেখায়,
যদিও মায়ার টানে কোন একদিন মিলবো একি শাখায় ।
রাখিস না কোন যোগাযোগ নিজেই পায় না কোন বুঝ,
তোরা বলবি আমার দোষ, আমি কী একাই রাখবো খোজ ।
জানিস দিন দিন ভুলে যায় অনেক কথায়,
যা লিখা ছিলো স্মৃতির পাতায় ।
কে যেন বেধে দিয়েছে জীবন ঘড়িটা রেল গাড়ির চাকায়,
এভাবে কী মোদের ফুরিয়ে যাবে দিন – রয়ে যাবো কী তিনজনা ত্রি- রেখার মাথায় ।
এবার কাজের কথায় আসি বল কেমন আছিস ?
আমি আছি বেশ শান্ত শিষ্ট মাঝে মাঝে একটু খোজ নিস ।
মনির তো বেশ ভালোই আছে চাকরী করে চট্টগ্রাম,
তবে বেচারা এখনো সরকারী চাকরীতে উঠাতে পারেনি নাম ।
সেই থেকে যে চাকরীর পিছু ছুটছে যবে থেকে হলো হাতে খড়ি,
তার সবকিছু থেকেও নেই কিছু আজ- তোর সাফল্য কামনা করি ।
রাশেদ তো বেশ সুখি মানুষ সাম্রাজ্যের অধিপতি ,
লেখাপড়ার ফাঁকে চাকরীতে আছিস – শুন নিজের পায়ে দাড়ানোতে নেই কোন ক্ষতি ।
মনির তো মাঝে এসেছিলো কক্সবাজার,
আর তো আসার নাম নেই সেই যে এসেছিলো একবার ।
বড্ড ভালোই কেটেছিলো সেইদিন খানা,
আসবি কবে তুইও একবার নেই তা জানা ।
সমুদ্রের পাশে বিজিবি ক্যাম্পস্টলে জমিয়ে আড্ডা দিলাম বেশ,
ঝিনুক মার্কেট – হিমছড়ি আরো কত কী দেখা হলো যা বললে হবে না শেষ ।
রাশেদ জানিস, মনির তো কিছুটা পাল্টেছে আজকাল,
মেয়ে দেখলেই উঁকি- ঝুকি, সমান্যতেই শীস কাটে আর হয়েছে বেশ চঞ্চল ।
তোর সাথে বহু আগে হয়েছিলো দেখা,
এর মাঝে কতগুলো দিন হয়ে গেলো ফাঁকা,
কেন জানি মনে হয় জীবন হলো রেললাইনের চাকা ।
আমার কথা কী আর বলবো জানিস তো সবি,
পাড়া গাঁয়ের সেই আলসে আমি এখনো আছে সেই আলসে স্বভাবী ।
তবে এখন আর অল্পতেই হয় না রাগ- ধৈর্যের নেই অভাব ,
এছাড়া আর পাল্টেনি কিছুই রয়ে গেছে পুরনো সব স্বভাব ।
দিন যায় বেশ হতাশায় কাটেনা তো এর রেশ ,
দিন যায় দিনের মতো চিন্তায় রাত শেষ।
কী আর লিখবো আমার তো সবি ব্যর্থতারি চিত্র,
এতই আমি দুঃখী যে” তাই সুখের সাথে হয়না কোন মিত্র ।
কবিতার ছন্দে লিখলাম চিঠি উত্তর দিতে যেনো ভুলিস না,
যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস , যদি কোন ভুল হয় মনে কিছু রাখিস না ।।