বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও
বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও
গ্রাস ও গ্রহন
ডা. আওলাদ হোসেন
হাল আতা আলাল ইনসানি হিনুম মিনাদদাহর, লাম ইয়াকুন শাইয়াম মাজ্কুরা-বিজ্ঞান। আল্লাহর অস্তিত্ব সার্বজনীনভাবে প্রমাণিত আর নদনদীর অস্তিত্ব, হারানো বাঙালির ভাগ্যের পরিহাস। অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়ন করতে স্রষ্টাকে এক পয়সাও খরচ করতে হয়নি, একটুও বিদ্যা বা বুদ্ধির প্রয়োজন হয়নি, অন্য কোন চিন্তা ভাবনাও করা হয়নি, ফলে মানুষ শুধু সৃষ্টির ব্যতিক্রম মাত্র এবং আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানকে শুধু কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে একটি বাগানের সংগে তুলনা করা যায় মাত্র যা মানুষ আলাদা এবং একক ভাবে ভোগ করে থাকে এবং এই শক্তিকে খুঁজে পাওয়া এবং কাজে লাগানোই বড় কথা। রাষ্ট্র পরিচালনায় আমরা রাষ্ট্রের সংজ্ঞা নিরুপন করে থাকি। সরকার বা আমল একটি অংঙ্গঁ এই পদ্ধতিকে বলা হয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অর্থাৎ জনগণ ভোট দিয়ে সরকার গঠন করে। পৃথিবীর সকল দেশেই এই শক্তিকে মাসলম্যান বলা হয়ে থাকে কারণ তার গায়ে যদি শক্তি না থাকে তাহলে সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে এবং অযোগ্যতার পরিচয় দিয়ে থাকে।
এখানে মানুষ ২ ভাগে বিভক্ত। রাষ্ট্রিয় আইন এবং জনগণের আইন। এই শক্তি আবার ২ ভাগে বিভক্ত একটি আল্লাহর আইন অপরটি জনগণের আইন। এখানে অন্তর্বর্তি শক্তি হচ্ছে এক রাষ্ট্রের সংগে অপর রাষ্ট্রের সম্পর্ক যেমন শক্তিধর রাষ্ট্র ও দুর্বল রাষ্ট্র বা ধনী দেশ ও গরিব দেশ। মুসলমানেরা এক কালে ধনী দেশ ছিল, বর্তমানে অবস্থা খুবই খারাপ এবং এদের কাজ হচ্ছে গরীবের পরিবারে যদি বিশ্ব সুন্দরীর জন্ম হয়ে থাকে প্রাচীন কাল থেকেই কেন যে হঠাৎ সেই বিশ্ব সুন্দরীকে পাওয়ার জন্য যুদ্ধ বিগ্রহ শুরু হয়ে যায় এবং কবি ও সাহিত্যিক দের ভাষায় বীরদর্পে সেই দেশের সেই বিশ্ব সুন্দরীকে জয় করে তবেই ক্ষ্যান্ত হয় । অথচ বিশ্ব সুন্দরী বলে কিছু নেই সর্ব কালে সর্ব যুগে স্রষ্টা যে বাগান তৈরী করেছেন সেখানে সুন্দরীর কোন অভাব নেই। যত রাজা তত রাণী। তাহলে বিশ্ব সুন্দরী কে ? তার পৃথক বৈশিষ্ট্য কি আছে? আমিতো মনে করি যৌবন থাকাটাই বড় কথা গরীব টিকে থাকে তার বয়সের কারনে রূপ যৌবন ঐখানেই বাসা বাঁধে রাষ্ট্র হিসেবে কোন রাষ্ট্রের মহিলা বেশী সুন্দরী ?
উন্নত দেশের মেয়েরা জন্ম সূত্রে এই সুখ ভোগ করে থাকে। অনুন্নত দেশে ব্যাতিক্রম দেখা যায়, যা পত্র পত্রিকায় অহরহ প্রকাশিত হচ্ছে প্রেমিক প্রেমিকার ফটো সহ। আমরা দাবী করি সভ্য জাতি হিসেবে কিন্তু স্রষ্টাকে ভুলে আছি নাস্তিক হিসেবে, বহুতলা বিশিষ্ট দালানের মালিক হিসেবে তবে মৃত্যুকে অস্বীকার করতে পারি না তা ঐ পর্যন্তই কিন্তু “কিরূপে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী করছ? অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন তার পর তিনি প্রাণ দান করেছেন তোমাদের আবার তিনিই তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন এবং পুনরায় তিনিই তোমাদের জীবন দান করবেন। পরিনামে তারই সমীপে তোমরা উপস্থাপিত হবে (২ঃ৩ঃ২৮)।” এই একটি আয়াত যথেষ্ট মানুষকে মানুষ হওয়ার জন্য, পশু থেকে নিজেকে পৃথক করার জন্য। উন্নত দেশে গণতন্ত্র দিয়ে সভ্যতা প্রকাশিত ও প্রচারিত হয় কিন্তু মাসলম্যান না হলে হয় না। অন্য ধর্মের তুলনা সাম্প্রদায়িকতা, শুধু মুসলমানেরা ভোগ দখল করার জন্য পূর্ববর্তী রাজাদের মত রাজ্য জয়ই বড় কথা ছিল না, ছিল আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করার জন্য, যদি তাই না হয় তাহলে এই বৈশাখে একটি দিনের জন্য মেলা বসিয়ে পূজা পার্বনের মত বাঘ ভাল্লুক আঁকিয়ে আমরা রাস্তায় নেমে পড়তাম না। পান্তা ইলিশ খাওয়া ভাল কথা। আমরা সেই সে জাতি…………. ভাল কথা কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর নির্দেশ জানতাম তাহলে আমাদেরকে কঠিন জীবন যাপন করতে হতো। তা আর হবার নয়। সব রকম পরীক্ষায় আমরা ফেল মেরেছি, আল-কুরআন অর্থসহ পড়তে রাজী না, এটা মৌলভী বা মুন্সির কাজ। আল-কুরআনের অপর একটি উদাহরণ হচেছ জালুত-তালুত-তোমাদের পরীক্ষা নদী পার হওয়ার সময় আঁজলা ভরে সামান্য পান করলে তার তেমন কোন দোষ হবে না। কিন্তু অধিকাংশ পানি পান করল ফলে তারা যুদ্ধ করার শক্তি হারিয়ে ফেলল (২৪৯ঃ৩৩ঃ২)।” মানব জাতি কতককে যদি কতকের দ্বারা আল্লাহ প্রতিহত না করতেন তাহলে গোটা পৃথিবী বিপর্যন্ত হয়ে যেত……. ২৫১ঃ৩৩ঃ২। অপর একটি উদাহরণ হচ্ছে “ফেরেস্তা বল্লঃ হে লূত….. আপনি রাতের কোন এক সময়ে আপনার লোকজন নিয়ে বাইরে চলে যান এবং আপনাদের মধ্য থেকে কেউ যেন পিছনে ফিরে না তাকায়……. ৮১ঃ৭ঃ১১” -এটাও একটি শর্ত যার কারণ আল্লাহ্ ভাল জানেন। “অবশেষে যখন আমার আদেশ এসে গেল, তখন আমি সে জনপদকে উল্টিয়ে দিলাম এবং তার উপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম কাঁকর, পাথর-”। এভাবে মানুষ নিশ্চিহ্ন হয় আবার নতুন জনপদ গড়ে ওঠে। কিন্তু কিছু কাল পড়ে পূরোনো খেলাই চলতে থাকে, মানুষ কেন যে প্রকৃতির কাছে হার মানে অথচ প্রকৃতিকে যিনি বানিয়েছেন তার বন্দনা করতে চায় না। মানুষ আল্লাহকে আসলেই ভয় পায়, জীবন ছায়াহ্নে নত জানু, দৃষ্টিহীন অথর্ব জড় পদার্থ, প্রাণহীন দেহের মত, অনেকেই হজ্ব পালন করেন, কেউ পীর ফকিরের দরবারে উপস্থিত হয়ে দীক্ষা নেন তার পর স্বাধের পৃথিবী ত্যাগ করে। এই যে নিয়ম, এর হাত থেকে রক্ষা নেই। মৃত্যুর পর অনন্ত জীবন, অনন্ত যৌবন, হুরদের অবস্থান অনন্ত আনন্দের অফুরন্ত ভান্ডার। তখনকার পাওয়াকে আমরা ভুলে আছি। আমরা ছিলাম না, আমরা থাকবো না, আবার জন্ম নেব কথাটি কেন যে হারিয়ে গেল তা বোঝা যায় না। অথচ আজকে যে চন্দ্র সূর্য আগামী দিনের যে রূপ নিয়ে আবির্ভূত হবে এটাতো স্বাভাবিক কিন্তু সময় গেলে সাধন হবে না। এই বিশ্বাস টুকু নিয়ে মৃত্যু বরণ করলেও শান্তির আশা করা যায়। আজকের পত্রিকায় ২টি দলেরই প্রশ্ন দেশটি কে চালায়? কি সাংঘাতিক কথা। তার পর তিস্তার যে চিত্র ভাবতেই অবাক লাগে। সম্পাদকীয়তে নদীর প্রতি উদার হওয়ার জন্য করুনা করতে উপদেশ দেয়া হয়েছে। এখানেও মাসলম্যানের কান্ড। জোর যার মুল্লুকতার। একজনের মৃত্যুতে অপরজন দাঁড়িয়ে যায়। নদী নিয়ে গবেষনা শুরু হয়ে গেছে, ডান পন্থী আর বাম পন্থী সমান, কত হাজার কোটি টাকা যে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তা পরিবেশবাদী আর অর্থনীতিবিদরা হিসাব কষে বের করতে পারবে না। কোন শোষণ নেই, কোন নির্যাতন নেই, প্রতিবাদ নেই, প্রতিরোধ নেই কারণ প্রকান্ড বৃক্ষের নিচে ক্ষুদ্র বৃক্ষের অস্তিত্ব স্বীকার্য নয়। ওষুধে মৃত্যু থামিয়েছে, কিন্তু আয়ূ বাড়ায়নি। কৃষি নির্ভর জাতিকে শিল্প নির্ভর জাতিতে পরিণত করবে আশার কথা, কিন্তু যে জাতি সক্রিয়তা হারায় তাকে রক্ষা করবে কে? স্রষ্টাকে পাওয়াও যায় না, দেখাও যায় না, পরকালে পাওয়াও যাবে দেখাও যাবে। কিন্তু পৃথিবীতে যে সর্বস্ব খোয়ায় পরকালে তাকে স্বর্ণের পাহাড়, রৌপ্যের পাহাড়, সহস্র জোনাকির আলো, চক্ষু ধাধানোর আলোকরস্মী সময় অপরূপা সুন্দরীদের দ্বারা বরণ করে নেওয়ার জন্য কোন কিছু অপেক্ষা করবে না বরং কপালে দু:খ ভর করে কি যে অপেক্ষা করছে তাই চিন্তার বিষয়। চোর খেদালে ডাকাত আসে-প্রবাদ বাক্যসম কিন্তু পরবর্তীটি টিকে থাকার জন্য খোদা প্রদত্ত শক্তি ও জ্ঞান এসে ভর করে। কেউ কারো বোঝা বহন করে না। চীন ও ভারত পাশা-পাশি দুটি রাষ্ট্র সমশক্তি, সমমর্যাদার। এটা স্রষ্টার খেলা প্রকৃতি বৈরী কখন যে বিরাট ভূমিকম্প বিরাট প্রতিশোধ নিয়ে বসে আমাদের লোভ, লালসা, পাপ অন্যায়-অবিচার সৌরজগত ঘূর্ণনের মত সদা জাগ্রত অবস্থায় ঘুরছে যা বাগানের মত গড়ে ওঠা জাত বেজাত কাহিনীর মত হঠাত এসে লন্ডভন্ড করে দেবে। পৃথিবীর ইতিহাস আল-কুরআনে চৌদ্দশ বছর পূর্বে উদাহরণসহ অহীযোগে সাবধান করে দেয়া হয়েছে, ভয়ের কিছু নেই, ধৈর্যধারণ মাত্র। উদাহরণ টেনে শেষ করা যাবে না। সুললিত কণ্ঠে পড়া সূরা সমূহ দিনের পর দিন শুনে যেতে হবে আর হাতে বাংলা অনুবাদ পড়তে হবে অন্যথায় বৈশাখী ঝড়ে সব অর্জন ঝরে যাবে। আগামী প্রজন্মকে প্রশ্নোত্তর আকারে স্রষ্টা ও সৃষ্টি সম্বন্ধে প্রাথমিক জ্ঞান দিতে হবে। যেমন সৃষ্টি কি? সৃষ্টির উৎস কি? বিজ্ঞান তার উপকরণ পায় কোথায়? বিজ্ঞান স্রষ্টাকে খুঁজে পায়না কেন ইত্যাদি। তার পর জ্যোতিরবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, গতিশক্তি, আলোকশক্তি, মানুষ পৃথিবীতে বিষ্ময়কর সৃষ্টি কেন? আত্মা, বিবেক, মন, নৌতিকতা, ধারাবাহিকতা, একটি নিজে ঘুরে অপরটি অপরকে ঘুরায় কেন এবং কিভাবে। মধ্যাকর্ষ, মহাকর্ষ, জোয়ার-ভাটা কি? কোটি কোটি মাইলের হিসাব কি? একমাত্র প্রাণী হিসেবে মানুষ কিভাবে বেচে থাকে। পৃথিবীকে মানুষের জন্য কে মাত্র উপযোগী কেন করা হয়েছে? এই গৃহের বাইরে কেন মানুষ অচল? পৃথিবীতে মানুষ হারিয়ে যায় কোথায়? পৃথিবীতে কেন এক শক্তি অপর শক্তিকে গ্রাস করে? এখানে কোন আপোষ হয়না কেন? গোত্রভেদ ভৌগলিক আঞ্চলিকতা কোথা হতে এলো ইত্যাদি। প্রতিটি লেখারই একটি মূল চিন্তা চেতনা থাকে। দু’টি কৃত্রিম জিনিস একটি গণতন্ত্রকে আটকিয়ে দেয়া অপরটি নদনদী শুকিয়ে যাওয়া। গণতন্ত্র রাজনৈতিক যা ব্যক্তি লাভক্ষতি নির্ভর কৃত্রিম বাঁধ অপরটি নদনদীর বাঁধ যা রাষ্ট্রের ক্ষতি। হঠাৎ করে একটি পত্রিকায় নদীর ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অবাক হওয়ার মত এবং অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। সাধারণের জন্য ধারাবাহিক শিরোনাম উল্লেখ করা হলো। অপরাপর পত্রিকার অবদানও অনস্বীকার্য। বাঙালি সবই পারে যদি পরিচালক ভাল হয়। কোন বাধই যে টিকবে না বা প্রকৃতি গ্রহণ করবে না তা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যা স্রষ্টার বিধান। তবে শয়তান আল্লাহ পাকের দেওয়া যার রহস্য ভেদ করা সম্ভব না এবং বেহেস্ত ও দোযখ, মিজান এ জন্যেই সৃষ্টি এবং আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করার জন্য আরও একটি আয়াত উল্লেখ করছি- হা-মীম, তানজীলুল কিতাবী মিনাল্লাহিল আজিজুল হাকীম। অর্থাৎ আল্লাহর নিকট থেকে এই কিতাব ননাযিল হয়েছে যিনি পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ।
এখন বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিবেদন ধারাবাহিক চলবেই, শুধু শিরোনাম নেয়া হয়েছে (১) ২৩-৩-১৮ এই খানে এক নদী ছিল-কুড়িগ্রামের ১৬ নদী পানি শূন্য-ধরলার বুক চিরে ধুধু বালু চর, পুনর্ভবা নদীর মাঠে খেলছে শিশু কিশোররা। (২) ২৫-৩-১৮ পায়ে হেটেই নদী পার-লাল মনির হাটে সেতুর নিচে নেই পানি-কুষ্টিয়া নদী শুকিয়ে বালু চর-জয়পুর হাটের চিরি নদীর করুন অবস্থা। (৩) ২৬-৩-১৮ মরন দশায় এক সময়ের খরস্রোতা নদী পঞ্চগড়ের অধিকাংশ নদী এখন মরা খাল সেই ভয়াল ভৈরবের মরণ দশা-হেটে পাড়ি ব্রহ্মপুত্র যমুনা। (৪) ২৭-৩-১৮ নদীর কান্না শুনছে না কেউ-খরস্রোতা পিয়াইন ধুধু বালুচর বগুড়ার নদীতে ভবন নির্মাণ চলছে, শুকিয়ে করুন ব্রহ্মপুত্র। (৫) ২৮-৩-২০১৮ হারিয়ে গেল সেসব নদী। শুকিয়ে যাচ্ছে বেতনা নদী-চাষাবাদ হচ্ছে মানিকগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীতে-নাটোর নদীর করুন হাল। (৬) ৩০-৩-১৮ ভৈরবের বুকে চলছে চাষাবাদ। চিত্রার বিস্তীর্ণ এলাকার ধান ক্ষেত। (৭) ০১-৪-১৮ কাজলা নদী শুকিয়ে মাঠে ঘাষ খাচ্ছে গরু। (৮) ৫-৪-১৮ চাটমোহর বড়াল নদী-পাবনার সব নদী হারিয়েছে। (৯) ৬-৪-১৮ রাজনীতির গ্যাড়াকলে তিস্তার পানি। (১০) ৭-৪-১৮ টাঙ্গাইলের নদী-লৌহজং মৃতপ্রায়- (১১) ০৩-০৪-১৮ বরিশালের নদীগুলোয় ভয়াবহ নাব্য সঙ্কট। মেহেন্দিগঞ্জের মাসকাটা নদীতে জেগেছে বিশাল চর।
অনেকেই তাদের লেখায় সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা ও পথ নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিঃ দ্রঃ যারা নদ-নদীর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারা দেশ ও জাতির গর্বিত সন্তান যা কোন দিন শেষ হবে না। এই কৃতিত্ব তাদের প্রাপ্য-আমি মফস্বলের অপরিচিত কলামিষ্ট। আমাদের পাঠক কম ও লেখাও মুল্যহীন।
সাপ্তাহিক রোববার থেকে -নদী (শিরোনাম)- রিপোর্ট আকারে প্রকাশিত তথ্যবহুল এবং দিক নির্দেশনা মূলক
১। ১-৪-১৮ মাথাভাঙ্গা নদী এখন মৃত প্রায়।
২। ১৪-১-১৮ পদ্মা সেতু নির্মাণে জটিলতা চীনা প্রকৌশলী-সুফল বয়ে আনবে।
৩। ৪-২-১৮ ক্রমশ ম্লান হতে যাচ্ছে। নদীমাতৃক দেশের ইতিহাস। নদী বাঁচলে পরিবেশ বাঁচবে, পরিবেশ বাঁচলে মানুষ বাঁচবে।
৪। ১২-৩-১৭ পদ্মা-যমুনার চরে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।
৫। ৫-৩-১৭ পদ্মার পানি সঙ্কট।
৬। ২৯-১-১৭ গোমতী-কুমিল্লায় মাটি কাটার মহোৎসব।
৭। ২৬-০৩-১৭ পানি শূন্য হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
৮। ১১-১২-১৬ ভোলা নদী রক্ষা ও মোংলা খাসিয়াখালী সুরক্ষা।
৯। ২৭-১১-১৬ মরা খালে পরিনত হয়েছে কুমার নদ (সংক্ষেপিত)
এখন দেখা যায় মানুষ জন্মগ্রহণ করার পর একটি পরিণতির দিকে যেতে থাকে এবং তা উদ্দেশ্য মূলক। আকাশের ঐ পারেই আল্লাহ পাকের ঠিকানা। কখন যে কার সময় শেষ হয়ে যায় কেউ বলতে পারে না। যদি আকাশের ঠিকানায় পৌঁছে যান তাহলে স্বর্ণের চামচ দিয়ে মুখে খাবার পাওয়া যাবে আর যদি ঠিকানাহীন হয়ে যান তাহলে খবর হয়ে যাবে, সেই বিপদ থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। আল্লাহর অস্তিত্ব ধর্মীয অবগুণ্ঠন উন্মোচন, কৃত্রিম বাঁধে অস্তিত্ব গণতন্ত্রে উত্তরনের ও নদনদীর মরুকরন কেউ না কেউ কোন না কোনভাবে উত্তরণ ঘটাবে সময়ের অপেক্ষা।
মানুষ আল্লাহর ভয়ে অনেকে পীর ফকীরের দরবারে গিয়ে আত্মসমর্পন করেন ও বায়াত গ্রহণ করেন কিন্তু প্রতি ওয়াক্তে নামাজে আমরা বলিঃ রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লামতাগফিরলানা ওয়াতারহামনা লানা কুনান্না মিনাল খাছিরিন। অর্থাৎ তারা উভয়ে বল্লঃ হে আমাদের রব। আমরা আমাদের উপর জুলুম করেছি, যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবো। (২৩ঃ২ঃ৭)। আছেন কি কোন ব্যক্তি যিনি এই ওয়াদা অস্বীকার করতে চান। আল্লাহর গর্বের কাছে ভাল-মন্দ, ধনী গরীব, জ্ঞানী-মুর্খ, পাপী-নিষ্পাপ সবাইকে আল্লাহর অহংকারের একমাত্র চাদর থেকে নিজেকে রক্ষা করার বানী নিয়ে রাসূলে পাক (দ:) সে বার্তাই দিয়েছেন এবং ৪ খলিফা পর্যন্ত তাই ছিল। তার পর রাজতন্ত্র কায়েম হয়। অসংখ অসত্যের ভীরে একটিমাত্র সত্য বিরাজিত থাকে। আমরা চাইবো বাংলার ভাগ্যাকাশে আর কোন দূর্যোগের ঘনঘটা না হয়ÑÑÑ বন্ধুজন, ষোল কোটি বাঙালি আমাদের সঙ্গে আছেন। মইনুল হোসেন লিখেছেন “মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তির কথা বলতে হবে” জনগণের ম্যান্ডেট প্রাপ্ত ৬ দফাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীতটিই হচ্ছে। এখন গণতন্ত্র সংকটে, মানুষের মুক্তি সংকটে, বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় স্থায়ী ভাবে থাকার বিপ্লবী যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা……… সাপ্তাহিক রোববার ………….. ৮-৪-১৮ খ্রিঃ বিস্তারিত লেখা আছে। দুইটি বিষয় এখানে নদীর কথা যা বাঁধ দিয়ে আটকিয়ে দিয়েছে তার করুন দশা লিখেছি, অপরটি গণতন্ত্র আমার লেখায় অনুপস্থিত, অপারগ ছিল যা নদীর মত গণতন্ত্র বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ভাষায় হাতে মহিলারা পড়ে থাকেন, যা বাংলার মানুষ সবই জানে এবং এখানে আমার মতে কলামিষ্টরা স্বাধীন, লিখে শেষ দিয়েছেন, মইনুল হোসেনের লেখাটির পর আমার চামচাগিরি/মোসাহেবী মানায়না। প্রকাশনার অযোগ্য বা To be scrapped.