বন্যা-দুর্গতি আর কতো কাল?
বন্যা-দুর্গতি আর কতো কাল?
রনেশ মৈত্র
সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ
মনে পড়ে, সেই বাল্যকাল থেকে , অর্থাৎ বন্যা সমস্যার সমাধাান চাই বলে হাজারো মিছিল, সমাবেশ, জনসভা করেছি। চল্লিশের দশকের শেষ দিক থেকে। তৎকালীন পূর্ববাংলার যে কোন আন্দোলনে নামতে গেলেই বন্যা সমস্যায় ইস্যুটাকে যুক্ত করে নেওয়া হতো কারণ লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে প্রতি বছর বন্যা ভয়াবহ দুর্গতি বয়ে আনতো। আর যুক্ত হতে “রাজবন্দীদের মুক্তি চাই,“বিনা বিচারে গ্রেফতারের কালো আইন বাতিল কর” ইত্যাদি।
মনে পড়ে. পাবনার ইছামতি নদীতে বন্যা দেখা দিতো বছরে দু’বার। আসতো পদ্মা নদীর ঘোলা জলের স্রোতে আবার আসতো যমুনার কালো জলে। পাবনা শহরের গোটাটাই প্রায় তলিয়ে যেত দু’বার করে। গ্রামাঞ্চলে? ফসলের খেত নদীর দু’পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে তলিয়ে যেত ক্ষতি হতো ফসলের। বহু স্কুল বন্ধ ঘোষিত হতো, হাট-বাজার তলিয়ে যেত-মানুষের দুর্ভোগের অন্ত থাকতো না। তাই জন জীবনের এই বাৎসরিক সমস্যার সমাধানের দাবীটি অন্যতম প্রধান জাতীয় দাবীতে পরিণত হয়েছিল। এমন কি, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে হক, ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন যুক্ত ফ্রন্টের ঐতিহাসিক একুশ দফা কর্মসূচীতেও এই দাবীটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে স্থান পেয়েছিল।
এমন কোন নেতা ( তা তিনি যে দলেরই হোন না কেন) ছিলেন না, যিনি পূর্ববাংলার কোথাও জনসভা করতে গিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রনের দাবীর সমর্থনে বা তার সমাধানের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা না করে বক্তৃতা করেছেন। এহেন পরিস্থিতি আমার সচক্ষে দেখা প্রায় সত্তর বছর আগে থেকে। পাবনা জেলাতে তখন বন্যায় যে ক্ষয়-ক্ষতি হতো তার চাইতে অনেক বেশী হতো রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল প্রভৃতি জেলাগুলিতে। আংশিকভাবে ক্ষাতিগ্রস্ত হতো আরও অনেকগুলি জেলা। পাবনা সেগুলির মধ্যে অন্যতম।
ঐ পঞ্চাশের দশকে যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচনে জিতে পূর্ববাংলায় শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে সরকার গঠন করলেও ঐ সরকারকে মুসলিম লীগ নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার আদৌ কাজ করতে দেয় নি। স্বপথ গ্রহণের মাত্র দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গভর্নরী শাসন কায়েম করে। ঐ সরকার তো বাংলার মানুষের স্বার্থে কোন কাজই করতো না। বরং সদা-সর্বদা বাঙালিদের শোষণ নির্য্যাতন করাই ছিল পাকিস্তানী শাসকদের জীবনের একমাত্র ব্রত আর ঐ শাসকদের দলটি বরাবরই মুসলিম লীগ ও সময় নায়কেরা।
তাই বহু দাবী নিয়েই বাঙালিকে লড়াই সগ্রাম করতে হয়ে।ে পাকিস্তানের জন্ম লগ্ন থেকেই। ১৯৫৭ এর আগষ্টে পাকিস্তান হলো। বাংলার মুসলিম সমাজ একযোগে ভোট দিয়ে পাকিস্তান আনলেন। কিন্তু সেই মুসলিম সমাজই পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামলেন ১৯৪৮ এর মার্চে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবীতে। অত:পর দীর্ঘ ২৩টি বছর ধরেই চলতে থাকলো ধারাবাহিক আন্দোলন এবং এর প্রায় প্রতিটি আন্দোলনেরই, আগেই বলেছি, অন্যতম ইস্যু ছিল বন্যা নিয়ন্ত্রণ।
১৯৭২ এ পাকিস্তান গেল ২৩ বছল পর। এলো স্বাধীন বাংলাদেশ।
পাকিস্তান আমলের সর্বজন গ্রহীত প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দাবীই তো ছিলো বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে মূল কারণ। তাই এই দেশ বন্যা নিয়ন্ত্রনে অঙ্গীকারবদ্ধ তা নানা সময়ে যখন যিনিই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন না কেন।
সেই বাংলাদেশের বয়স হতে চললো ৪৬ বছর বছর। কিন্তু বন্যায় বাঙালির পীড়ন যন্ত্রণার নূন্যতম অবসান ঘটলো না। কতকাল আমলে সৃষ্ট বড় বড় নদীর দুধারে মাটির বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলি কবেই না তলিয়ে গেছে আমরা কেউই তার কোন হিসেবই রাখি না। বন্যার তোড়ও আগের মত বন্যায় প্রদুর্ভাব ঘটে এমনটি আজ আর সত্য নয়। এ কারণেই কি বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথাবার্তার পরিমাণ এতটাই কমে গেল হ্রাস পেল?
কিন্তু আমাদের ভুলে যাওয়াতো উচিত নয়-আগের চেয়েও ভয়াবহ ধরণের বন্যার প্রাদুর্ভাব ঘটার অজ¯্র কারণ বিরাজ করছে বাংলাদেশে। তার মধ্যে সম্ভবত: বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তন অন্যতম প্রধান কারণ। এটি পূর করতে প্রকৃতির যে সকল পরিচর্য্যা অপরিহার্য তার মধ্যে বৃক্ষ বপন ব্যাপকভাবে চালু করা এবং বৃক্ষ নিধন সাধ্যমত বন্ধ করা। এ দুটিতেই আমাদের কার্য্যক্রম সর্বত্র প্রশ্নবিধ।
তদুপরি অপর প্রধান ( হয়তো বা প্রধানতম) কারণটি হলো, আমাদের নদ-নদী-খাল-বিল সব কিছু ব্যাপকভাবে মজে যাওয়া। সব কিছুর গভীরতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়া। কোথাও কোন নদী খনন বা ট্রেজিং এর ব্যবস্থা নেই। নদ-নদীর আদৌ-কোন পরিচর্য্যা নেই। উল্টো সর্বত্র চলছে বালুকেটে চুরি ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীরা দেশব্যাপী যুক্ত। আইনের হাত তাদের প্রতি প্রসারিত হয় না। তদুপরি নদী – দখলের মহোৎসব তো সকলে প্রতিদিনই লক্ষ্য করা যাচ্ছে ঐ একই মহলের দ্বারা। শহরগুলিতে অতীতের অসংখ্য পুকুর আজ আর নেই। বিলগুলির অবস্থা তথৈবচ। সব দখল সর্বত্র ভূমি গ্রাসীদের অবাধ তৎপরতা এবং তাদেরই পক্ষে ছুটছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীরা এবং তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ।
একদিকে বালি উত্তোলন করে নদী স্বাভাবিক স্থিতি বিনষ্ট করা-অপরদিকে নদীর উপরে বিপুল ব্যয়ে নির্মিত সেতুগুলিকে দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হয়েছে। ফলে যে নদীগুলো ছিল বাঙালী জীবনের প্রাণ-তার অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের প্রতীক সেগুলি আজ বাঙালী জীবনের সার্বিক বিপর্য্যয়ের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। দেশ রুক্ষ্ম মরুভূমিতে রূপান্তরিত হতে চলেছে বললেও ভূল হয় না।
অপরদিকে নদ-নদীর উৎসস্থল পাহাড়গুলিও ঐ একই মহল কেটে তা থেকে অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছে। এমনকি, সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিন্দুমাত্র পরওয়াও তারা করে না। কারণ তারা জানে হাইকোর্টের হাতে কোন পুলিশ-ম্যাজিষ্ট্রেট নেই তাই আদালত নিজ থেকে কোন ব্যবস্থা নিতে অক্ষম। পুলিশ ম্যাজেিস্ট্রটদেরকেই বরং নির্দেশ দিতে হয় আদালতের আদেশ কার্য্যকর করার জন্যে। আর সেই পুলিশ-ম্যাজিষ্ট্রেটসহ সমগ্র প্রশাসন যন্ত্রই তো পূরোদস্তর সরকারী দলের নিয়ন্ত্রণে। সুতরাং মাভৈঃ।
এভাবেই বাংলাদেশের কোটি কোটি সহজ-সরল নর-নারী, তাদের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ, বন-পাহাড়, নদী-নালা-খাল-বিল-পুকুর-পুস্করিনী ক্রমে ক্রমে উধাও হতে হতে আজ তার প্রায় শেষ পর্য্যায়েএসে পৌঁছেছে। এখন, তার পরিণতিতে বাংলাদেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাকৃতিক বিবেচনায়, একটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ দেশে এবং তা এমনই এক পর্য্যায়ে যে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেও পরিপূর্ণভবে তা আর পূণরূদ্ধারও করাও হয়তো সম্ভবপর হবে না।
বর্ষাকালে যে বাড়তি জল আকাশ থেকে পড়ে তা যত বেশীই হোক তা আমাদের পথ-ঘট-বাড়ী-ঘর নর্দমা যতই ডুবিয়ে দিক – যতই তা নানাস্থাসে ডধঃবৎষড়মমরহম এর সৃষ্টি করুক ঐ বাড়তি জলকে আমরা রীতিমত সম্পদে পরিণত করতে পারি জল স্বল্পতায় রূগ্ন এই দেশে।
তেমনই বন্যায় এবং প্লাবনে যত গ্রাম-শহর , নদী-নালা, ফসলের ক্ষেত বাড়ীঘর, রাস্তা-ঘাট, বন-জঙ্গল প্রকৃতি ডুবিয়ে দিক-বৈজ্ঞানিকভাবে আজ ঐ বন্যার জল উপযুক্তভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব, তা দেশ, বিদেশের কৃষি, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন (যুফৎড়-বষবপঃৎরপরঃু) প্রভৃতি অতি প্রয়োজনীয় কাজে এবং জাতীয় স্বার্থে অতীব প্রয়োজনীয় এবং কল্যাণকর হওয়া সত্বেও আজতক সে পথে আমরা পা বাড়াচ্ছি না।
সর্বপেক্ষা জরুরী যে বিষয়টি বারংবার গণদাবীতে উচ্চারিত হয়ে আসছে অর্ধশতাব্দীরও বেশী কাল যাবত তা হলো আমাদের নদীগুলির গভীরতা বৃদ্ধিকল্পে অতিশয় দ্রুততার সাথে সেগুলি ড্রেজিং, খনন, পুন:খনন প্রভৃতির ব্যবস্থা গ্রহণ। অপরদিকে নদীর উভয় পাড় বে-আইনী দখল মুক্ত করা ও ঐ দখলকারীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ-করে তাদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদান করে দেশবাসীর সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। লক্ষ রাখতে হবে যাতে নদীর প্রশস্ততা অতীতের ঈ.ঝ খতিয়ান অনুযায়ী পুন:নির্ধারিত হয় তার জন্য তড়িৎ গতিতে তাবৎ ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা।
একথা সত্য যে এবার বন্যার প্রকোপটা বেশী হয়েছে। ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেশী। কারণ এই ক্ষয়ক্ষতি যে ঘটবে তার কোন পূর্বাভাষ সময় থাকতে কাউকে দেওয়া হয় নি। ফলে মূল উৎপাদক কৃষক সমাজ নিশ্চিন্তমনে তাঁদের পূর্ব অভ্যাসমত ফসল বুনেছেন। কিন্তু অকস্মাৎ যেন সব কিছু তছনছ হয়ে গেল। যতই চেষ্টা করা হোক, কৃষি ক্ষেত্রে যে অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে তার অর্ধেকটাও পূরণ করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
আমি একটা অংক এক্ষেত্রে কোন ভাবেই মেলাতে পারছি না। বছরের পর বছর ধরে দিবারাত্র শুনে আসছি খাদ্য উৎপাদনে আমরা উদ্বৃত্ত উৎপাদক। প্রতি বছর প্রতিটি মৌসুমেই আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অনেক বেশী পরিমাণে খাদ্য উৎপাদিত হচ্ছে। এ দাবীর সত্যতা এতকাল যাচাই করা সম্ভব হয় নি। কিন্তু একটি মাত্র ফসল উৎপাদন ব্যহত হতে না হতেই খাদ্য পণ্যের বাজারে আগুন। সরকারী দাবী নস্যাত হলো মুহুর্তেই বাড়তে থাকলো চালের দাম হু হু করে।
আবার দেখি ভিয়েতনাম, ভারত ও অন্যান্য দেশ থেকে চাল আমদানীর হিড়িক। কী একটা তেলেসমাতিই না ঘটে গেল আকস্মাৎ। একটি মাত্র ফসল হানি ঘটতে না ঘটতেই বাজারে খাদ্য ঘাটতি? এবং তা এতটাই যে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণে খাদ্য আমদানী করেও খাদ্যের বাজারের সে আগুন নেভানো যাচ্ছে না। ফলে মানুষ বহুমুখী ক্ষাতির সম্মুখীন হলো।
আমাদের রাস্তাঘাট সম্পর্কেই বা কি বলবো? সরকারকে বলি গত আট বছরে প্রতিটি ঈদের মওশুমে হাইওয়েগুলি সংস্কারের বাবদ বছর বছর কত পরিমাণ টাকা খরচ হয়? যে ধরণের মেরামত হয় তা কি আমাদের যানবাহন চলাচল সহ অপরাপর প্রয়োজন মিটিয়ে মানুষের চলাচল মসৃণ ও নির্বিঘœ হওয়ার মত বলা যায় বৈজ্ঞানিক বিচারে? যদি তা হয় তবে প্রতি ঈদেই মেরামতের প্রয়োজন হয় কেন এবং কী মেরামত হয়? মজবুতভাবে হাইওয়ে সমূহ মেরামত করে একনাগাড়ে পাঁচ বছর চলার মত করে কেন করা হচ্ছে না? এখানে বাঁহাতি কারবার কী পরিমাণে ঘটছে? মানুষ আর কত লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা এ বাবদে বহন করবে এবং তার ফলাফলই বা কি?
যে বিষয়টা আমরা বোধ হয় ভাবতেই চাই না-বন্যা ও বৃষ্টি যতই হোক তা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রভূত কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চয়ই হবে কিন্তু তা নেহায়েতই সামান্য এবং অনুল্লেখযোগ্য। তাই নি¤œলিখিত পদক্ষেপগুলি জরুরী ভিত্তিতে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করছি।
এক. স্থায়ীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা দ্রুতই নেওয়া হোক;
দুই. বন্যা ও বৃষ্টির উদ্বৃত্ত পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে গ্রহণ করা হোক;
তিন. সকল নদ-নদী-খাল বিল ড্রেজিং খনন ও পুন:খনন করে তার গভীরতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হোক;
চার. নদীর উভয় পাড়ে বে-আইনী দখল করে নির্মিত সকল ষ্ট্রাকচার ভেঙ্গে সরকারী দখলে আনতে হবে ও বে-আইনী দখলদারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
পাঁচ. সংরক্ষিত পানি এবং গভীরতা প্রাপ্ত নদ-নদী-বিলের পানি শুস্ক মওসুমে খাবার। কৃষি কাজ ও প্রয়োজনীয় নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা এবং পানীয় জলের চাহিদা ও অব্যান্য সকল চাহিদাও বহুলাংশে মেটানোর ব্যবস্থা করা হোক;
ছয়. সকল হাইওয়ে, নগর ও মফ:স্বলের (জেলা-ইপজেলা শহরগুলির) সড়ক সমূহ দ্রুত মজবুত সংস্কার ও নির্মাণের ব্যবস্থা করা হোক;
সাত. অবিলম্বে যমুনা নদীর উপরে দ্বিতীয় সেতু (রেল সংযোগসহ) পাটুরিয়া কাজীরহাট ঘাটে নির্মাণ করা হোক। এতে কমপক্ষে উভয় ও দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ-ছয়টি জেলার ঢাকা যাতায়াতের দূরত্ব বহুলাংশে হ্রাস পাবে এবং যাতায়তের সময় ও ব্যয় অন্তত: অর্ধেকে নেমে আসবে।
এই পদক্ষেপগুলি নিতে কেউই রাতারাতি পারবেন না এটা যেমন সত্য তেমনই আবার পরিকল্পিতভাবে পদক্ষেপগুলি গ্রহণে বিলম্ব বা এতদিনের মত এখনও অব্যাহতভাবে অবহেলা করতে থাকলে সামান্য বৃষ্টি-বন্যাতেই দেশ আরও বেশী পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। আর সেই সুযোগে আর্থিক সুযোগ-সন্ধানীরা নানা টুনকো প্রকল্প নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর কমিয়ে নিতে সক্ষম হবে মাত্র। তাই কাল বিলম্ব না করে সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়ে উন্মুক্ত প্রকল্প গ্রহণ করে আগামী অর্থ বছরের সুরু থেকেই ধাপে ধাপে সেগুলি কার্য্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
- কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।