বর্তমান সরকারের আমলেই মাছ উৎপাদনে সবচেয়ে বড় সফলতা এসেছে : প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে ইলিশে প্রথম, মুক্ত জলাশয়ের আহরণে তৃতীয়, তেলাপিয়ায় চতুর্থ এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছে ৫ম স্থানের অধিকারী। স্বাধীনতার ৪৬ বছরের মধ্যে বর্তমান সরকারের আমলেই প্রথম এসব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
১৭ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৭তম ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯’ এর প্রথম দিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
তিনি আরো জানান, খাদ্য ও গোশতের পাশাপাশি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রথমবার মাছের উৎপাদনেও দেশ স্বয়ম্ভরতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি দুষ্প্রাপ্যপ্রায় ইলিশের উৎপাদনেও এ সরকার রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদিত হলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার টনে।
মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মো: রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো জানান যে, ইলিশসম্পদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে জেলেদের সঞ্চয়ী করার পাশাপাশি তাদের আপদকালীন জীবীকা নির্বাহের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার একটি ‘ইলিশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ তহবিল’ গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার সমুদ্র সম্পদকে যথাযভাবে কাজে লাগাতে নিজস্ব গবেষণা ও জরিপ জাহাজ আরভিমীন সন্ধানীর মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে ৪৩০টি প্রজাতির মৎস্যসম্পদের সন্ধান পেয়েছে। এরমধ্যে ৩৬০ প্রজাতির মাছ, ৩৩ প্রজাতির চিংড়ি, ২১ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ১২ প্রজাতির মোলাস্কা রয়েছে। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের জন্য ১০টি লং লাইনার এবং ৭টি পার্স সেইনার ফিশিং লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের মজুদ ও জীববৈচিত্র্যকে অধিকতর সমৃদ্ধ করতে সরকার গত ২৬ জুন নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ সংলগ্ন ৩ হাজার ১ শত ৮৮ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকাকে প্রথমবার ‘সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা (এমপিএ)’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
দেশীয় পাবদা, গুলশা, টেঙরা, মহাশোলসহ বিলুপ্তপ্রায় ২০টি প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সরকার কৃত্রিম প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করায় এসব মাছের প্রাপ্যতা বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিলুপ্তপ্রায় সকল মাছ পুনরুদ্ধারেও গবেষণা জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মৎস্য ভবন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।