বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, ঈশ্বরদী শাখা আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ভূমিমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ভাষাসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এম.পি. বলেছেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ রয়েছে ব্রড গেজ রেলওয়ে লাইন স্থাপনে। শেখ হাসিনা সরকার সারাদেশে ব্রড গেজ লাইন স্থাপন করছে। পর্যায়ক্রমে সকল মিটারগ্রেজের পাশাপাশি ব্রড গেজ লাইন স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী লোকোসেডে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ ঈশ্বরদী শাখার নবনির্মিত অফিস ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও পাকশী আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ আরও বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের গৌরবজনক ইতিহাস রয়েছে। এদেশের মুজলুম নেতা মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক রেল শ্রমিক লীগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫০ সালের পর থেকে ভাষা আন্দোলন পেরিয়ে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথম নির্বাচন শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিয়াম সাধনার পাশাপাশি দেশের কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে সরকারকে আবার জয়যুক্ত করুন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এদেশকে সোনার বাংলা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ, জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন একটি উন্নত জাতি আমাদের উপহার দিতে যাচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, একসময় বিএনপি-জামাত সরকার রেল সম্পদকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। রেল বিক্রি করার চক্রান্ত হয়েছিল। যাত্রীসেবা ও সড়ক পরিবহণ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। তিনি আরও বলেন, একসময় রেলওয়ে শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা ছিল, এখন রেলওয়ে শ্রমিকদের জীবনমান অধিকতর উন্নত হয়েছে। মন্ত্রী নতুন ভবনের প্রাঙ্গণে দুটি গাছের চারা রোপণ করেন। পরে মন্ত্রী পাকশী আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগ দেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নায়েব আলী বিশ^াস, ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারমান মখলেছুর রহমান মিন্টু, জাতীয় শ্রমিক লীগ ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদসমূহের চেয়ারম্যানসহ তিন হাজার মুসল্লী ইফতারে যোগ দেন।