চিরিরবন্দর ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্ত হলো দুই কিশোরী।।
ভূপেন্দ্র নাথ রায়, দিনাজপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা প্রশাাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল দুই কিশোরী।
গোপন সংবাদে ভিত্তিতে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম রব্বানী চিরিরবন্দর থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাৎক্ষণিক উপস্থিত হয়ে বন্ধ করেন বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠান।
প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, ইসবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণনগর গ্রামের মোকলেছুর রহমানের মেয়ে পুরান বিন্যাকুড়ি দারুল ফালাহ্ আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী মলিকা আকতার (১৪) এর সাথে আব্দুলপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের মাহমুদুল হকের ছেলে মাজেদুল হকের এবং আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে নুরজাহান (১৩) এর সঙ্গে একই ইউনিয়নের চিরিরবন্দর ঘুঘরাতলী এলাকার চেন্দু মোহাম্মদের ছেলে এন্তাজুল হকের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক করা হয়।
গত ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তাদের বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়ে ছিলো। উভয় বিয়েতে আত্মীয়-স্বজনের আমন্ত্রণও করা হয়। কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম রব্বানী থানা পুলিশসহ বিকেল ৪টায় মিমির বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশের খবর জানতে পেরে বিয়েতে আসা সকল আত্মীয়-স্বজন সহ মিমির পরিবারের লোকজন তৎক্ষনাত পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে। এ সময় মিমির নানা মাহাবুর রহমান (৬৫) ও মিমির ভগ্নিপতি ফজলুর রহমানকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে ইসবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়দার লিটনের উপস্থিতে মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে দেবে না বলে মিমির পিতামাতা অঙ্গীকার করে মুচলেকায় দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
অপরদিকে বিকেল সাড়ে ৫টায় আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে মোছা: নুরজাহান (১৩) এর বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে মেয়ের বাল্যবিয়ে দেবে না অঙ্গীকরে পিতা মাতার কাছে মুচলেকায় স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে মলিকা ও নুরজাহান উভয়ে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পান।
চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম রব্বানী বলেন, খবর পেয়েই ঘটস্থলে পৌঁছে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাল্যবিয়ের ব্যাপারে কোনো প্রকার আপোস করা হবে না এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।