বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শরীয়তপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রী ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামে তার নানার বাড়ি থাকত। একই গ্রামের শাহ্ আলম ফকিরের ছেলে খোরশেদ ফকিরের (২১) সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর প্রথমে বন্ধুত্ব হয়। পরে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
গত ২৮ জুলাই শুক্রবার রাতে নানা বাড়ির বারান্দায় একা ঘুমিয়ে ছিল ওই মেয়েটি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে খোরশেদ ফকির তার বন্ধু জুয়েল কাজি, দিপু হাওলাদার, রাশেদ ছৈয়ালকে নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মুখ চেঁপে ধরে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পাশের হীরা ব্রিকস ফিল্ড নামে একটি ইটেভাটায় নিয়ে বন্ধুদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে কয়েকবার ধর্ষণ করে খোরশেদ ফকির।
পরে রাতেই মেয়েটিকে তার নানা বাড়ি অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায় তারা। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রোববার মেয়েটির মামা পালং মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর নানি বেগম জান বলেন, সেদিন রাতে আমার নাতনি বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিল আর আমি ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। বারান্দা থেকে আমার নাতনিকে ইটের ভাটায় নিয়ে খোরশেদ খারাপ কাজ করেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী বলে, ঘুমন্ত অবস্থায় খোরশেদসহ তার তিন বন্ধু আমাকে একটি ইটের ভাটায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে খোরশেদ আমাকে ধর্ষণ করে। আমি ওদের বিচার চাই।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আকরাম এলাহী বলেন, শনিবার রাতে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, খোরশেদ ফকিরের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সুযোগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মেয়েটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
- কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।