বিএনপি জোটের শরিক নেতারা যেসব আসনে নির্বাচন করতে চানঃ জামায়াত ৪৩, এলডিপি ২৪

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হবে নাকি সহায়ক সরকারের অধীনে হবে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। এর মধ্য দিয়েই নির্বাচনের পালে একটু একটু করে হাওয়া লাগছে। ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দল। বিএনপি-আ.লীগ প্রার্থী বাছাইয়ে মাঠ জরিপ শুরু করে দিয়েছে। বসে নেই ছোট দলগুলোও। তারাও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে তৈরি করছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো বলছে, ১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বয়কট করা হয়। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তারপরও জোটের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

জোট নেতারা জানান, দুটি বিষয় মাথায় রেখে প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে। জোটভুক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে শরিকদের খুব বেশি আসনে ছাড় দেবে না বিএনপি। সেক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে যোগ্য, খুবই জনপ্রিয় এবং জেতার সম্ভবনা আছে এমন প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে, যদি দল মনে করে নির্বাচনে অংশ নেবে তাহলে প্রার্থীর সমীকরণ হবে ভিন্ন। সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে স্বাভাবিকভাবেই প্রার্থী বেশি হবে। দুটি বিষয় মাথায় রেখেই প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে।

জোট নেতারা জানিয়েছেন, বিএনপির প্রার্থী অনেক। কিন্তু জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হলে শরিকদের আসন ছেড়ে দিতেই হবে। সে ক্ষেত্রে মাঠে প্রার্থীর অবস্থান কেমন সেটা বিবেচনা করেই দরকষাকষি হবে। সেজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ বাড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, জোটের কয়েকটি দল রয়েছে যেগুলো ‘এক নেতা এক দল’ নামে পরিচিত। আবার কয়েকটি দলের নিবন্ধন নেই। তারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে নিবন্ধনকৃত দলগুলো এগিয়ে থাকবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

জামায়াত ইসলামী (নিবন্ধন বাতিল)

জোটের অন্যতম প্রধান দল জামায়াত ইসলামী। এই দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, এবার তাদের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন। ৪৩টি আসনে তাদের প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তারা হলেন- এম এ হাকিম (ঠাকুরগাঁও-২), মোহাম্মদ হানিফ (দিনাজপুর-১), আনোয়ারুল ইসলাম (দিনাজপুর-৬), মনিরুজ্জামান মন্টু (নীলফামারী-২), আজিজুল ইসলাম (নীলফামারী-৩), হাবিবুর রহমান (লালমনিরহাট-১), শাহ হাফিজুর রহমান (রংপুর-৫), নূর আলম মুকুল (কুড়িগ্রাম-৪), আবদুলআজিজ (গাইবান্ধা-১), নজরুল ইসলাম (গাইবান্ধা-৩), আবদুর রহিম সরকার (গাইবান্ধা-৪), নুরুল ইসলাম বুলবুল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), মো. লতিফুর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), আতাউর রহমান (রাজশাহী-৩), রফিকুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ-৪), আলী আলম (সিরাজগঞ্জ-৫), মতিউর রহমান নিজামীর পরিবারের কোনো সদস্য (পাবনা-১), মাওলানা আবদুস সোবহান (পাবনা-৫), ছমিরউদ্দিন (মেহেরপুর-১), মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান (চুয়াডাঙ্গা-২), মতিয়ার রহমান (ঝিনাইদহ-৩), আজিজুর রহমান (যশোর-১), আবু সাইদ মুহাম্মদ সাদাত হোসাইন (যশোর-২), অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ (বাগেরহাট-৩), শহীদুল ইসলাম (বাগেরহাট-৪), মিয়া গোলাম পরওয়ার (খুলনা-৫), শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ (খুলনা-৬), ইজ্জতউল্লাহ (সাতক্ষীরা-১), আবদুল খালেক মণ্ডল (সাতক্ষীরা-২), মুফতি রবিউল বাশার (সাতক্ষীরা-৩), গাজী নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা-৪), দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে (পিরোজপুর-১ ও ২), শফিকুল ইসলাম মাসুদ (পটুয়াখালী-২), মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ছেলে (শেরপুর-১), অধ্যাপক জসিমউদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), ফরীদউদ্দিন (সিলেট-৫), মাওলানা হাবিবুর রহমান (সিলেট-৬), ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের (কুমিল্লা-১১), শামসুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৪), হামিদুর রহমান আযাদ (কক্সবাজার-২) ও শাহজালাল চৌধুরী (কক্সবাজার-৪)। এ আসনগুলোর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, সিরাজগঞ্জ-৫, ময়মনসিংহ-৬, সাতক্ষীরা-১, পটুয়াখালী-২, কক্সবাজার-৪ এই ছয়টি আসনে জামায়াত নতুন করে লড়তে যাচ্ছে। গত নির্বাচনে এ আসনগুলোতে জামায়াতের প্রার্থী ছিল না। তবে ময়মনসিংহ-৬ আসনে ২০০১ সালে জামায়াত প্রার্থী জোটের মনোনয়ন পেয়েও পরাজিত হন। সিরাজগঞ্জ-৫ ও কক্সবাজার-৪ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। এ কারণেই আসন দুটিতে ছাড় দিতে নারাজ তারা।

এলডিপি (নিবন্ধিত)

এলডিপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম জানান, আমাদের দলের ২ ডজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- কর্নেল অলি (চট্টগ্রাম-১৩), ড. রেদোয়ান (কুমিল্লা-৭), শাহাদাৎ হোসেন সেলিম (লক্ষ্মীপুর-১), আব্দুল করিম আব্বাসী (নেত্রকোনা-১), আবু ইউসুফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান (জয়পুর হাট-২), আব্দুল গনি (মেহেরপুর-২), প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (চাঁদপুর-৩), নুরুল আলম (চট্টগ্রাম-৭), এম ইয়াকুব আলি (চট্টগ্রাম-১১), অ্যাড কফিল উদ্দিন চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৫)।

তিনি জানান, এরা প্রত্যেকেই একাধিকবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন। এছাড়া কিছু সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছে।

বিজেপি (নিবন্ধিত)

বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী ব্যারিষ্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ (ভোলা-১), ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ (ঢাকা-৫ ডেমরা-যাত্রাবাড়ী)।

আব্দুল মতিন সাউদ জানান, এছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও নারায়ণগঞ্জে আমাদের যোগ্য প্রার্থী রয়েছে।

খেলাফত মজলিশ (নিবন্ধিত)

খেলাফত মজলিশের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মুহম্মদ ইসহাকের আসন (পাবনা-১), মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদেরের আসন (হবিগঞ্জ-৪)।

মুহাম্মদ ইসহাক জানিয়েছেন, সারাদেশের যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তা চূড়ান্ত করা হবে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (নিবন্ধিত)

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মুহম্মদ ওয়াক্কাস (যশোর-৫) থেকে ২০০১ সালে জোটের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, এবারো তিনি সেই আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এছাড়া শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মহীউদ্দিন ইকরাম, মুফতি রেজাউল করিম, আব্দুর রব ইউসুফি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

জাতীয় পার্টি (জাফর)

এই দলের সম্ভাব্য যোগ্য প্রার্থীরা হচ্ছেন, ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি (গাইবান্ধা-৩), মোস্তফা জামাল হায়দার (পিরোজপুর-১), আহসান হাবিব লিংকন (কুষ্টিয়া-২)।

এছাড়া নবাব আলী আব্বাস খান (মৌলভীবাজার কুলাউড়া), সেলিম মাস্টার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মজিবুর রহমান (মুন্সিগঞ্জ), নাসের চৌধুরী (চট্টগ্রাম), গোলাম মোস্তাফা বাটুল (রংপুর), সাইদুর রহমান মানিক (ময়মনসিংহ), জাফরউল্লাহ খান চৌধুরী (কুষ্টিয়া-৩), এস এম এম আলম (চানপুর), খালেকুজ্জামান চৌধুরী (ঢাকা-ডেমরা), শফিউদ্দিন ভুইয়া (সোনার গাঁ নারায়ণগঞ্জ), অ্যাডভোকেট মাওলানা রুহুল আমিন পিরোজপুরে প্রার্থী হতে কাজ করে যাচ্ছেন। এদের অনেকেই সাবেক এমপি।

আহসান হাবিব লিংকন জানিয়েছেন, আমাদের দলে সাবেক এমপি রয়েছেন ১৭ জন। তারা সবাই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী।

কল্যাণ পার্টি (নিবন্ধিত)

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক (চট্টগ্রাম-৪), মহাসচিব এম.এম. আমিনুর রহমান (পাবনা-১), আলহাজ্ব কাহির মাহমুদ এফ সি এ (সিলেট-১), অ্যাড. আজাদ মাহবুব (পিরোজপুর সদর), মো. ইলিয়াস (চট্টগ্রাম-৮), ইসমাইল ফারুক চৌধুরী (কক্সবাজার সদর), প্রফেসর ড. ইকবাল হাসান (নারায়ণগঞ্জ-২), আলী হোসাইন ফরায়েজি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম।

কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান বলেন, “আমরা ৭টি আসনে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। ৫টি আসনে আমাদের শক্ত প্রার্থী রয়েছে।”

বাংলাদেশ ন্যাপ (নিবন্ধিত)

বাংলাদেশ ন্যাপের সম্ভাব্য প্রার্থী চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি (নীলফামারী-১), মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া (নরসিংদী-৩), আলহাজ্ব গোলাম সারওয়ার খান (মৌলভীবাজার-২), সাদ্দাম হোসেন (কুমিল্লা-১০), সৈয়দ শাহজাহান সাজু (কুমিল্লা-৭), ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গনি (রংপুর-৩), মো. শহীদুননবী ডাবলু (পিরোজপুর-১), মো. কামাল ভুইয়া (নারায়ণগঞ্জ-৪), মো. নুরুল আমান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১), মো. তারিকুল ইসলাম (পাবনা-২)।

গোলাম মোস্তাফা ভুইয়া জানান, আমাদের প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

জাগপা (নিবন্ধিত)

জাগপার চেয়ারম্যান শফিউল আলম প্রধান কিছুদিন আগে মারা গেছেন। তিনি (দিনাজপুর-২) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতেন। সেই আসনে এবার তার সহধর্মিনী অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া দলের মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান বগুড়া-১ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এনপিপি

ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ (নড়াইল-২), মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা (ঢাকা-১৩), এম ওয়াহিদুর রহমান কুমিল্লা-১০ থেকে নির্বাচন করতে চান।

এনডিপি

খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা (পাবনা-২), মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা খুলনা-৩ আসনে নির্বাচন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএলের এএইচএম কামরুজ্জামান খান কিশোরগঞ্জ ০৫, অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী চট্টগ্রাম-১ আসনে নির্বাচন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

ইসলামী ঐক্যজোট (অ-নিবন্ধিত):

ইসলামী ঐক্যজোটের একটি অংশ মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী ও মুফতি ফয়জুল্লাহর নেতৃত্বে মূল অংশ জোট থেকে বের হয়ে গেছে। বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রাকিব ও মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান।

আব্দুল করিম জানিয়েছেন সারাদেশে ১০টি আসনে তাদের যোগ্য প্রার্থী রয়েছে।

ডিএল

ডেমোক্রেটিক লীগ-ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি ময়মনসিংহ-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী। সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

লেবার পার্টি (অনিবন্ধিত)

দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন- মোস্তাফিজুর রহমান ইরান (পিরোজপুর-২), সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন (কুমিল্লা-৫) ও মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি (কুমিল্লা-১০)।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে আগ্রহী। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।”

এছাড়া জোটভুক্ত দল পিপলস্ লীগ, ইসলামিক পার্টি, ন্যাপ ভাসানী ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করতে চায় বলে জানা গেছে।

উৎসঃ   পুর্বপশ্চিম

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!