মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ২৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে লোক নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোঠা না মেনে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে তা বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অংগ সংগঠন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক এস.এম কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক সরদার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব রাজ্জাক, শরীয়তপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবদুস সামাদ তালুকদার, সদর উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ শিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার ঢালী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর মোল্যা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যুগ্ন আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, বাংলা ভিশন টেলিভিশন এবং দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শহীদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শাহানা আক্তার রিনা এবং সাবিহা নাছরিন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা অবৈধ ভাবে মুক্তিযোদ্ধা কোঠা না মেনে যে ২৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে লোক নিয়োগ দিয়েছেন তা বাতিলের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে জেলা ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক সরদারের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার কোঠা না মেনে অবৈধ ভাবে ২৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে লোক নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়োগটি সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি এ ভাবে নিয়োগ দিতে পারেন না। নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোঠা বরাদ্দ রেখেছেন। সেই নিয়মেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোঠার নিয়ম না মেনে তার ইচ্ছেমত লোক নিয়োগ দিয়েছেন। আমি এ নিয়োগ বাতিল করে নতুন ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোঠা পূরণ করে নিয়োগ দানের অনরোধ করছি।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক এস.এম কবির হোসেনের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে লোক নিয়োগ করতে গিয়ে অবৈধ পথের আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোঠা পূরণ করে নিয়োগ দেয়া হয়নি। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোঠা পূরণ করে নিয়োগ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমানের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, শরীয়তপুর সদর উপজেলায় যে ২৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় তাদের সন্তানদের নিয়োগ দেয়ার সুযোগ নেই। দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বিধি বিধানে সমষ্টিগত ভাবে নিয়োগের কোন ব্যবস্থা রাখেনি। যদি নিয়োগ সংক্রান্ত বিধি বিধানে সমষ্টিগত ভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোঠায় তাদের সন্তানদের নিয়োগের ব্যবস্থা থাকতো।
কারণ প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীর পদ রয়েছে ১টি। সেক্ষেত্রে উক্ত পদে লোক নিয়োগের জন্য প্রত্যেটি বিদ্যালয়ে একটি নিয়োগ কমিটি রয়েছে। সেই নিয়োগ কমিটি যে কয়জন দরখাস্ত জমা দিয়েছেন তাদের মধ্য থেকেই ১ জনকে নিয়োগ দিবেন। আর সেই নিয়মেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে আর কিছু বলবো না। কারণ এই নিয়োগ নিয়ে চিকন্দী মুনসেফ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার যা বলার তা আদালতেই বলবো।
- কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।