বিজেপিকে ভুয়ো জাতীয়তাবাদী বলে আক্রমণ প্রিয়ঙ্কার
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বারাণসী থেকে তাঁর ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে জল্পনা চলছেই। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে ভুয়ো জাতীয়তাবাদী বলে আক্রমণ করলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। সোমবার উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর সিক্রিতে কংগ্রেস সাংসদ রাজ বব্বরের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘‘সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী হলে ভোটের প্রচারে পাকিস্তান নিয়ে কথা না বলে, সাধারণ মানুষের জন্যনিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরত বিজেপি।’’
ফতেপুর সিক্রির জনসভায় এ দিন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘জাতীয়তাবাদী হলে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষ দেশের জন্য প্রাণ হারানো সকল সৈনিককেই সম্মান জানানো উচিত সরকারের। এ দেশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন যে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা, তাঁদের অসম্মান হয় এমন কাজ বন্ধ করা উচিত অবিলম্বে। ভোটের প্রচারে পাকিস্তান নিয়ে কথা না বলে, যুবসমাজ, মহিলা ও কৃষকদের নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা উচিত। ’’
ফসলের ন্যায্য দাম, কৃষিঋণ মকুব-সহ একাধিক দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন কৃষকরা। নির্বাচনী ইস্তাহারে বিজেপিকে তাঁদের দাবিদাওয়া পূরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বলেও সম্প্রতি দাবি তোলেন তাঁরা। সেই প্রসঙ্গ টেনেও মোদী সরকারকে তুলোধনা করেন প্রিয়ঙ্কা। পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘‘খালি পায়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন কৃষকরা। জাতীয়তাবাদ নিয়ে এত হাঁকডাক সত্ত্বেও ওই কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজনটুকু কেন বোধ করল না সরকার? কেন তাঁদের কথা শোনার সময় হল না? ধর্মের নামে খুনোখুনির সময় দুঃখ প্রকাশ না করে উল্টে খুনিদের সম্মান জানানো হল কেন? মানুষ মুখ খুললে সরকারের ভয়ের কী আছে শুনি?’’
প্রিয়ঙ্কা আরও বলেন, ‘‘সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, এ দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষকে নিয়ে আদৌ গর্ববোধ করে না এই সরকার। সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী হলে সত্যের পথ অবলম্বন করত। অনেক আগেই সেই রাস্তা থেকে সরে এসেছে ওরা।’’
উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বরকে এ বছর ফতেপুর সিক্রি থেকে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েছে কংগ্রেস। বিদায়ী সাংসদ চৌধরি বাবুলালের জায়গায় বিজেপির তরফে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে রাজকুমার চাহারকে। জাঠ সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রভাব-প্রতিপত্তি রয়েছে তাঁর। গুড্ডু পণ্ডিতকে ওই আসনে দাঁড় করিয়েছেঅখিলেশ-মায়াবতীর জোট। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোট ফতেপুর সিক্রিতে। তবে সেখানে লড়াইটা আসলে বিজেপি বনাম কংগ্রেস হতে চলেছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।