বিদেশি টাকার মুদ্রা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত টাঙ্গাইলের শুকুর
মেহেদী হাসান, টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে চলতে গেলে মানুষের কতই না সখ জাগে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য । বিশেষ করে আমাদের দেশের মানুষের শখগুলোর তালিকায় রয়েছে বাহারী ফুলের বাগান করা, সবজি বাগান করা, গান গাওয়া, পশুপালন করা, নাচ শেখাসহ কতো কিছুই না রয়েছে। কিন্তু, এমন কোন মানুষ কি দেখেছেন যার শখ বিভিন্ন দেশের বা রাষ্ট্রের মুদ্রা সংগ্রহ করা?
তাই এমনি এক ব্যক্তি হলেন টাঙ্গাইলের ডা. জহিরুল ইসলাম শুকুর (৩৫) । যার শখ শুধু বৈদেশিক টাকা সংগ্রহ করা। জহিরুলের বাড়ি টাঙ্গাইল পৌর এলাকা কাগমারা উত্তর পাড়া। মো. জুরান আলী মাতাব্বরের ছেলে ডা. জহিরুল ইসলাম শুকুর দুই লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে ২৪ বছরে ৩৪টি দেশের মুদ্রা সংগ্রহ করেছে। ডা. জহিরুল ইসলাম শুকুর সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের ধরেরবাড়ী বাজারে গ্রাম্য ডাক্তার হিসেবে ঔষুদের দোকান করেন। পাশাপাশি স্থানীয় ধরেরবাড়ী হাইস্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য। ডা. জহিরুল ইসলাম শুকুর জানায়, সে ১৯৯২ সাল থেকে প্রবাসী ব্যক্তিদের নিকট থেকে টাকার বিনিময়ে মুদ্রা সংগ্রহ করছে। শুকুর চায়নার ৫ টাকার নোট, আমেরিকার ১৬ ডলার, ইন্দোনেশিয়া ৫ হাজার লিমা রিবুরুপি, কুয়েতের ১/২ ডিনার, সৌদির ৫ রিয়াল, পাকিস্থানের ২০ রুপি, সোমলিয়া ৫ সিলিন, ওমান ১০০ বাইসা, ইথুপিয়ার ১ বির, নেপালের ১০রুপি, তাইওয়ানের ১০০, লিবিয়ার ১ রিয়াল, মরোক্ক ১০ দিরহাম, জাপান ১০০ ইথেন, দুবাই ৫ দিরহাম, কাতার ১ রিয়াল. ফিলিপাইন ২০, বাথরাইন ১ দিনার, সিঙ্গাপুর ২ ডলার, আফগানিস্থান ২ আফগানি, মিশর ২৫ পেইষ্টার, ইন্ডিয়া ১০ রুপি, সুদান ২৫ পেইস্টার, পিপজিন ১০০, মিয়ানমার ১ কিয়াত, দক্ষিণ কুরিয়া ১০০০ অন, অষ্ট্রেলিয়া ৫ ডলার, তুরস্ক ১০০০০০০ বির মিলিয়ন/লিরাসি, মালেশিয়া ১০ রিংগিত, ইরান ১০০০ সিম, দুলিবান ১০০০ মিলিলিবার, থাইলেন্ড ২০ বাথ, ইয়েমেন ১ আইজিও এবং সাউথ আফ্রিকা ১০০ উইকিপিডিয়াসহ বাংলাদেশের হাফ আনা, ১ আনা, ১ পয়সা, ১০পয়সা, ২৫ পয়সা, ৫০পয়সা ১ টাকার নোট,কয়েন, ২ টাকার নোট, পুরাতন ৫ টাকা, ১০ টাকা, ৫০টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকার নোট গুলো সে সংরক্ষন করেছেন।
ডা. জহিরুল ইসলাম শুকুর আরো বলেন আমার ছোট বেলা থেকে খুব শখ ছিলো যে আমি সব দেশের টাকার সংগ্রহ করবো। কিন্তু সব দেশের টাকা সংগ্রহ করতে না পারলেও বেশ কিছু দেশের টাকা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আমি এখনও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি যদি অন্য কোন দেশের টাকা পাই সেটাও আমি সংগ্রহ করবো। টাকা গুলো আমি আতœীয়-স্বজন, বন্ধ-বান্ধবদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে এই টাকা গুলো সংগ্রহ করেছি। আমার দোকানে কেউ যদি ঔষধ নেওয়ার জন্য আসে তাহলে আমি তাকে ঔষদ দিয়ে আমার সংরক্ষন করা বিভিন্ন দেশে টাকা আমি তাদের দেখতে দেই। টাকা গুলো দেখতে আমারও ভাল লাগে এবং যাদের দেখাই তারাও অনেক খুব খুশি হয়। আমি যে টাকা গুলো সংগ্রহ করেছি তা সারাদেশের মানুষকে জানাতে চাই।