বেলুচিস্তানে গণহত্যা চলছেঃ বিশ্ববিবেক জাগ্রত হোক
সিডনীর কথামালা(৩৩)
রণেশ মৈত্র (সিডনী থেকে)
সভাপতিমন্ডলীর সদসন্য, ঐক্য ন্যাপ
E-mail:raneshmaitra@gmail.com
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্য্যাতন কতটা নিষ্ঠুর কতটা বর্বর কতটা অমানবিক ও নির্মম হতে পারে, বাঙালি জগতিই সম্ভাবত: তা সর্বাপেক্ষা বেশী জানে। সেই ১৯৪৭ এর আগষ্ঠ থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর তাদের রাজত্বের শেষ দিনটি শেষ মুহুর্তটি পর্য্যন্ত আমরা তা দেখেছি। তার উপযুক্ত জবাবও বাঙালি জাতি দিয়েছে ২৩ বছর ব্যাপী ঐ শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে নিয়মতান্ত্রিক পথে জনজীবনের নানা দাবীতে, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি ন্যায় সঙ্গত দাবীতে তীব্র গণ আন্দোলন চালানোর ফলে হাজার হাজার বাঙালী তরুণ-তরুণীদের বিনাবিচারে অনির্দিষ্টকাল ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে-তাদের অনেকের পরিবার পরিজনের আর্থিক জীবন ধ্বংশ করে অনাহারে মৃত্যু বরণ করতে বাধ্য করেছে, একের পর এক সংবাদ পত্রকে স্বাধীন মত প্রকাশের দায়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের ছাপাখানা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমন কি ১৯৫০ সালে সাতজন কমিউনিষ্ট নেতাকে রাজশাহী জেলে এ অত্যাচারের ফিকিস্তি বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।
বিশ্ববাসীর অজানা নেই, ১৯৪৮ এ ভাষা আন্দোলনের পর (শুধুমাত্র মাতৃভাষঅর উপযুক্ত মর্য্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবীতে সংঘঠিত ঐ আন্দোলন) শত শত ছাত্র যুব কর্মীকে বিনাবিচারে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছিল -১৯৫২ সালে ঐ আন্দোলন অধিকতর তীব্রতা অর্জন করলে ঢাকার রাজপথে মিছিলরত শান্তিপূর্ণ সুশৃংখল আন্দোলন কারীদেরকে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করার মর্মান্তিক ঘটনাও তারা ঘটিয়েছিল।
অত:পর ১৯৭১ এর নয় মাস ব্যাপী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে পরিচালনাকালে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী ও তাদের বাংলাদেশী দোসরেরা মিলে যে ভয়াবহ গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, অপহরণ, লুটপাট চালিয়েছিল তা এক নজির বিহীন ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। তাই পাকিস্তানী সরকার ও সেনাবাহিনীর হাত রক্তরঞ্জিত, তাদের মন ও আচরণ নিষ্ঠুর।
সেদিন জানতাম, বাঙালিদেরকেই শুধুমাত্র তারা তাদের শত্রু মনে করে। আজ জানতে পারছি-না, তা নয়। পাকিস্তানের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সকল জাতিসত্বাকেই সেখানকার পাঞ্জাবী শাসক ও শোষকগোষ্ঠী একই দৃষ্টিতে দেখে এবং তাদের প্রতি তাদের ব্যবহারও সমপরিমাণ নিষ্ঠুর।
কিছুদিন ধরে নির্ভরযোগ্যসূত্রে জানতে পারছি – পাকিস্তানের অন্যতম ক্ষুদ্র প্রদেশ বেলুচিস্তানের মানুষেরা যাদের মাতৃভাষা বালুচ- দীর্ঘ দিন যাবত পাকিস্তানের পাঞ্জাবী বাহিনীর হাতে অনুরুপ নিষ্ঠুরতার যন্ত্রনায় ভুগছেন। স্মরণে রাখা প্রয়োজন , বেলুচিস্তানের মানুষ অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন, প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষতার অনুসারী। তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকেও নানাভাবে সমর্থন জানিয়েছিল।
বেলুচিস্তান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল-তাই পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর অত্যাচার নির্য্যাতন তাদের ওপর অনেক বেশী। সিন্ধু ও পাখতুনিস্তান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দিয়েছিল তখন বেলুচিস্তান ও সীমান্ত প্রদেশে (পাখতুনিস্তান) ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাসীন ছিল তবে কেন্দ্রীয় শাসক গোষ্ঠী ঐ সরকার দুটিকে ভূট্টোর প্ররোচনায় বাতিল করে দেয়।
আমার মনে আছে ন্যাপের সম্মেলন উপলক্ষ্যে (নিখিল গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন) পশ্চিম পাকিসন্তানের সকল প্রদেশ থেকেই অসংখ্য প্রগতিশীল নেতা কর্মী ঢাকায় আসেন। কেউ প্লেনে কিন্তু বিপুল সংখ্যক আসেন ট্রেনে। আমরা তখন ঢাকার ফুলবাড়ী রেলষ্টেশনে তাদেরকে স্বাগত জানাই। ট্রেনথেকে নেমেই তাঁরা শ্লোগান দেন “মাশরেকী আউর মাগরেবী পাকিস্তান কি আওয়ামী কি ইত্তেহাদ” অর্থাৎ“পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ঐক্য জিন্দাবাদ”। সেটা ১৯৫৭ সালের জুলাই মাসের শেষ দিককার খবর। বেলুচিস্তান থেকে দুজন প্রম সারির নেতা গহাউস বখ্স্ বেজেঞ্জো ও খারের বখ্স মারী কর্মীদেরকে নিয়ে এসেছিলেন। এঁরা জাতীয়তাবাদী প্রগতিশীল নেতা।
১৯৭০ এর নির্বাচনে পাকিস্তান গণ পরিষদে বেলুচিস্তানের সব কটি এবং প্রাদেশিক পরিবাদেরও সকল আসনে ন্যাপ জয়ী হয়ে গহাউস বখ্স্ বেজেঞ্জোর নেতৃত্বে সরকার সঠন করেছিলেন তেমনি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশেও ঐ নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ সংখ্যাধিক্য পেয়ে ন্যাপ সভাপতি খান আবদুল ওয়ালী খানের নেতৃত্বে সেখানে সরকার গঠন করেছিল ন্যাপ। পূর্ব বাংলার বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগদ পাঞ্জাবে পিপল্স পার্টি, সিদ্ধে জিয়ে সিদ্ধ ( যতদূর মনে পড়ে) এবং ফ্লাষ্টিয়ার ও বেলুচিস্তানে ন্যাপ। পাঞ্জাব বাদে অপরাপর প্রদেশে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন দিয়েছিল।
“সংবাদ” এর বার্তা সম্পাদক তখন তোয়র খান-আর আমি ছিলাম তাঁর সর্বাধিক প্রিয় পাবনাস্থ সংবাদদাতা। তোয়্যর ভাইএর অনুমতি নিয়ে বেলুচিস্তানের দুই নেতা গাউস বখ্স বেজেঞ্জো ও খায়ের বখ্স মারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছলাম ঢাকার তৎকালীন গ্রীন হোটেল থেকে “সংবাদ” এর জন্যে। রীতিমত লম্বা ইন্টারভিউ। “সংবাদ” এ তা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। ওতে ছিল ঐ প্রদেশের রাজনৈতিক ও সমাজজীবনের প্রগতিশীলতার নানা অজানা চিত্র। আজ সেই বেলুচিস্তানের অল্প কিছু লোককে পাকিস্তানের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা আই,এস,আই জঙ্গীপনায় উদ্বুদ্ধ করেছে, প্রশিক্ষণ দিয়ে সশস্ত্র করেছে একং সেখানকার সকল প্রগতিশীল শক্তির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে।
বেলুচিস্তান থেকে অতি সম্প্রতি পাওয়া কিছু তথ্য এবং সমগ্র শান্তিপূর্ণ বেলুচাবাসীর উপর পরিচালিত পাকিস্তানের নির্যাতনের করণ কাািহনীর কিছু অজানা তথ্য আমি আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকার অবগতির জন্য নীচে তুলে ধরছিঃ
ফারজানা মজিদ ও মামা কাদির কোয়েটার শহর থেকে ইসলামাবদের জাতিসংঘ কার্যালয় পর্যন্ত এক লংমার্চে নেতৃত্ব দেন। তাঁদের দাবী গুম হয়ে যাওয়া বেলুচদের উদ্ধারে পাকিস্তান সরকারকে বাধ্য করতে জাতিসংঘের নজরে দাবীটি উত্থাপন করা। ফায়জানার ভাই স্বয়ং কয়েক বছর যাবত গুম হয়ে আছে এবং অস্তত: আরও ২০,০০০ বেলুচির জীবএন একই অত্যাচার নেমে এসেছে। তাঁরাও গুম। এদের মধ্যে ৬,০০০ বেলুচকে পরবর্তীতে হত্যা করা হয়েছে নিষ্ঠুরভাবে এবং তাদের দেহ হেলিকপ্টার যোগে নিয়ে অজানা স্থানে পুঁতে রাখা হয়েছে। খনন করা হয়েছে গণ করব। এমন কি এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য প্রকাশ হলে জানা গেল যে মাননীয় বিচারপতিরা এই “ঘটনাকে বাধ্যতামূলক নিরুযদ্দেক বা অপহরণ” বলে উল্লেক করলেও সরকার তাদের উদ্ধারে বিন্দুমাত্র পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি।
মানবাধিকার কর্মী ফারজানা আরও বলেন, “তঁদের লংমার্চ ছিল সুবিচার, স্বাধীনতা ও প্রিয়জনদের উদ্ধারের দাবী সম্বলিত এবং যাদেরকে গুম করা হয়েছে তাদের পরিবার-পরিজনরাই ছিলেন ঐ লংমার্চের আয়োজন। তিনি বলেন, আক্ষরিক অর্থেই হাজার হাজার বেলুচ রাজনৈতিক নেতাকর্মী মানবাধিকার কর্মীং বেলুচ বেসামরিক জনগণ ও সাধারণ সচেতনর নাগরিককে নিরাপত্তা কর্মীরা, ইসলামী জঙ্গীরা এবং জিহাদ পন্থীরা যারা পাকিস্তান-অধিকৃত বেলুচিস্তানের অধিবাসী তাদের বিরুদ্ধে এই সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনা করছে।
এই জাতীয় অপহরণ প্রক্রিয়া বেলুচিস্তানে চালানো হচ্ছে ১৯৪৮ সাল থেকে যখন শাসকগোষ্ঠী নিষ্ঠুরভাবে বেলুচিস্তান দখল করে নেয়। বেলুচ জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলন দমন করতে ধর্মীয় উগ্রবাদী পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাসীরা সম্মিলিত ভাবে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তাদেরকে যেন লাইন্সে দেওয়া হয়েছে যখন খুশী যে কোন বালুচকে মারতে, মারতে , খুন কবরতে ধর্ষণ করতে কোন বাধা নেই।
যে সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থীদেরকে অপহরণ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৩ বছর বয়স্ক মজিদ জেহারির পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয় ২০১০ সালের অক্টোবর তারিখে নাদির বালুচের নির্যাতীত দেহ ১৪ জানুয়ারী, ২০১২ তে; ওয়াহিদ বালাচ বালুচের অত্যাচারিত ও পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় ২০১২ সালে ২ এপ্রিলে, মীর খানর মারির মৃত দেহ উদ্ধার হয় ২০১১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারীতে (মীর খানের বয়স ছিল ১৫); ১৭ বছর বয়স্ক আরাফাত বালুচের দেহ ২০১১ সালে ৬ অক্টোবর; ১৮ বছর বয়স্ক আরজ মুহাম্মদ পিরকানীর দেহ উদ্ধার হয় ২০১০ সালের ২১ আগষ্ট ইত্যাািদ। কলেবরের দিকে তাকিয়ে এই অপহরণ, নির্য্যাতন ও উদ্ধারকৃতদের তালিকার বর্ণনা দীর্ঘায়িত করা থেকে বিরত থাকলাম।
তবুও সংক্ষেপে নির্যাতিতের মোট প্রাপ্ত সংখ্যাগুলির উল্লেখ করে রাখছি। বেলুচিন্তান নিয়ে পাকিস্তানে এখন বড্ড বেকায়দায়। সেখানে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এখন সে দেশের সংবাদ মাধ:্যমেই প্রকাশিত হয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী গত ছয় বছরে বেলুচিস্তান থেকেই প্রায় ১,০০০ মানুষের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। হেগুলি অধিকাংশই ছিনড়বভিনড়ব। তার মধ্যে ৫১% বেলুচ, ২২% পাখতুন। পাঞ্জাবী আফগান শরণার্থীদের দেহও মিলেছে । অনেক মৃত দেহহই শনাক্ত করা যায় নি। সন্ত্রাসী কার্য্যকলাপ রুখতে গত বছর একটি জাতীয় কর্মসূচী গ্রহণ করে ইসলামাবাদ। সেই কাজে নিযুক্ত জনৈক আধিকারিকই সমীক্ষাটি সামনে এনেছেন। দেখা গিয়েছে বেলুচস্তানের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৯৪০ টির বেশী মৃত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কয়েকটা জেলা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৪৬ টি দেহ – নিখোঁজ ১১২ জন। ২০১১ সালে এলাকা নিয়ে অশান্তির জেরে পরিকল্পনা মাফিক ঠান্ডা মাথায় হত্যাকান্ড চালানো হয়। তাতে এখন পর্যন্ত ১৮৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে – গত কয়েক বছরের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে আহত হন প্রায় ৪,০০০।
বেলুচিস্তান থেকে গত কয়েক বছরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত ৪৯ টি দেহ উদ্ধার হয়েছে – পাখতুন ১৫৯ – কালটি থেকে ২৬৮ টি দেহ উদ্ধার করা গেছে। ১৭৫ টি দেহ সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এমন ভয়াবহ নির্মমতা চালাচ্ছে পাকিস্তানের পাঞ্জাবী সেনা ও মৌলবাদ। বেলুচরা বলছেন ১৯৭১ এ পাক বাহিনী বাঙালীদের উপর যেমন অত্যাচার চালিয়েছিল আজ পাঞ্জাবীরা তাঁদের উপর তেমনই অত্যাচার চালাচ্ছেন। তারা ছাত্র, আইনজীবী, শিক্ষক এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন নেতা-কর্মীরাই মূলত: এই হত্যালীলার শিকার কয়েকটি দশক যাবত।
ফলে প্রতিবাদ স্বরূপ ফারজানা অন্যান্য হাজার হাজার মানুষ ইতিহাসের লং মার্চ অভিযান চালান কোয়ের্টার শাল এলাকা থেকে শুরু করে বালুচিস্তানের রাজধানী । যেখান থেকে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচী এবং করাচী থেকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ পর্যন্ত দীর্ঘতম পথ তাঁরা পদযাত্রায় অতিμম করেন শুধুমাত্র ঐ অত্যাচারের অবসানের দাবীতে। পাকিস্তানী মিডিয়ায় তা তেমন একটা প্রকাশ করতে দেওয়া হয় নি। এমন কি, পাকিস্তানের যে সকল বুদ্ধিজীবীরা ঐ আন্দোলন কারাচীরদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন- তাঁদেরকেও রেহাই দেয় নি। অত্যাচার আজ নির্মমতার ভয়াবহতম পর্য্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই গণহত্যা বন্ধে ও তার বিচার দাবীতে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলে সহমর্মিতা জাগাবেন এটাই প্রত্যাশা।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।