বিশ্ব কি অস্বীকার করবে এই ছবি?
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
১৯৩৬ সালে তোলা একটি ঐতিহাসিক ছবি। স্থান- তৎকালিন রেঙ্গুন বিশ্ব বিদ্যালয়, বার্মা। ছবিতে মাঝখানে চেয়ারে পা তুলে বসে আছেন একজন রোহিঙ্গা, তার নাম আবদুর রশীদ। তিনি ছিলেন অল বার্মা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি এবং তার ডান পাশে বসে বসে থাকা লোকটি সুচির পিতা অং সান ওই সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক। বাম পাশে যিনি বসে আছেন তিনি আবদুর রাজ্জাক, বার্মা মুসলীম লীগের সভাপতি। মূলত বার্মার স্বাধীনতা এসেছিলো তাদের হাত ধরেই। আর এই রোহিঙ্গা সভাপতি আবদুর রাজ্জাক আজকের মিয়ানমারের সংবিধানের খসড়া প্রণয়নকারী। অথচ জেনারেল মিন অং হিয়াং এবং অং সান সুচি উভয়েই জাতি ঘৃনার প্রকাশ ঘটাতে গিয়ে কার্যত বার্মার রাজনৈতিক ইতিহাসকেই অস্বীকার করলেন।
সুচির বাবা জেনারেল অং সানের অন্যতম রাজনৈতিক সহযোগী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক এবং জেনারেল অং সানের গঠিত বার্মার স্বাধীনতা পূর্ববর্তী অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক। ১৯৪৭ এর ১৯ জুলাই জেনারেল অং সানের সাথে যে ৬ জন মন্ত্রী খুন হন তাদের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক অন্যতম। বার্মা আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৯ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। কেবল আবদুর রাজ্জাকই নন, সুচির বাবা এবং বার্মার জাতির পিতা জেনারেল অং সানের সবচেয়ে ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহযোগীদের মধ্যে আরও অনেক মুসলমান ছিলেন। সূত্র : ইউকিপিডিয়া, ইন্টারনেট।