বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস

 

মানুষ সামাজিকভাবে বসবাস করে। সমাজে বাস করতে হলে, প্রতিদিন কারো না কারো সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। কাউকে না কাউকে আপন করতে হয়। একে অন্যকে আপন করে নেবার নামই বন্ধুত্ব। তবে বন্ধুত্ব এমন একটি বন্ধন, এতে থাকে স্বার্থহীন ভালোবাসা। পৃথিবীর অনেক সম্পর্কের মধ্যে এটি অন্যতম। তুমি আমার পাশে বন্ধু হে বসিয়া থাকো, একটু বসিয়া থাকো, আমি মেঘের দলে আছি, ঘাসের দলে আছি তুমিও থাকো বন্ধু হে একটু বসিয়া থাকো …. এরকম অসংখ্য গান যাকে নিয়ে লেখা হয়েছে সে হলো বন্ধু। বন্ধুত্বের আসলে কোনো বয়স নেই। যখন তখন, যেখানে সেখানেই হতে পারে। মা-বাবা যেমন হতে পারে ভাল বন্ধু, তেমনি পারে স্বামী-স্ত্রীও। আবার স্কুল-কলেজ, চাকরির ক্ষেত্রে সবখানেই বন্ধুত্ব হতে পারে। তবে বন্ধুকে হতে হয় অনেক বিশ্বাসী, দায়িত্ববান। যার উপর ভরসা করা যায় নিশ্চিন্তে। সৃষ্টির শুরুতে বন্ধুত্ব ছিল, এখনও আছে, থাকবে অনন্তকাল।

বন্ধুত্ব দিবস হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা “জয়েস হল” দ্বারা উন্নীত হয়েছিল ১৯১৯ সালে এবং আগস্টের প্রথম রবিবার বন্ধুত্ব দিবস এবং এই দিন সবাই একে অন্যেকে কার্ড পাঠাত। কিন্তু, বন্ধুত্ব দিবসের ইতিহাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু।১৯৩৫ সালে, মার্কিন কংগ্রেস ঘোষণা করেন যে আগস্ট মাসের প্রতি প্রথম রবিবার বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে প্রতিপালিত হবে। সেই থেকে বন্ধুত্ব দিবস হয় জাতীয় উদযাপিত দিনগুলোর মধ্যে একটি। খুব শীঘ্রই এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবসের এর রুপ লাভ করে। বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস ধারণাটি ১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই ডঃ Artemio Bracho দ্বারা প্রস্তাবিত হয়, যখন তিনি তাঁর বন্ধুদের সাথে “পুয়ের্তো Pinasco” তে (নদীর তীরে একটি শহর যা উত্তর Asuncion, Paraguay থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে অবস্থিত) ডিনার করছিলেন। কিন্তু বন্ধুত্ব দিবস বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে পালন করা হয় প্রথম বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস ৩০ জুলাই করার জন্য প্রস্তাবিত হয়ে ছিল ১৯৫৮ সালে। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ বিশ্বময় বন্ধুত্বের আলাদা অবস্থানে নিজেদের নিয়ে যায় ৷ ২৭ এপ্রিল ২০১১ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ঘোষিত হয় ৩০ জুলাই official International Friendship Da ৷ তবে ভারত সহ কিছু দেশে আগস্টের প্রথম রবিবার বন্ধুত্ব দিবস উদযাপন করে ৷

শুধু পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশেই নয়, বরং বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেও প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম রবিবারকে উদযাপন করা হয় বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে। বন্ধু কিংবা বন্ধুত্বের মতো সম্পর্কের সঙ্গে মানুষের পরিচয় যুগ যুগান্তরের হলেও বন্ধুত্ব দিবসের মতো কেতাবি উদযাপন কিন্তু এখনো শতবর্ষও পেরোয়নি। আনুষ্ঠানিকতার দিক থেকে মাত্র দুই আড়াই দশক হলো জাঁকালোভাবে উদ্যাপন হচ্ছে বন্ধু দিবস। বন্ধু দিবসের ইতিহাস নিয়ে বির্তক থাকলেও ইতিহাস মতে জানা যায়, ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। হত্যার প্রতিবাদে পরের দিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। সে সময় বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর থেকে জীবনের নানা ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের অবদান আর তাদের প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষ্যে আমেরিকান কংগ্রেস আইন করে ১৯৩৫ সালে আগস্ট মাসের প্রথম রবিবারকে আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস ঘোষণা করে। সেই থেকে আগস্ট মাসের প্রথম রবিবার বন্ধু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আগস্টের প্রথম রবিবার বন্ধুরা সবাই একে অন্যেকে কার্ড পাঠাত। বর্তমানে এ দিনটিতে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে নানা রকম উপহার প্রদান করতে দেখা যায়। বিশেষ করে ফুল উপহার দেওয়া হয় সবচেয়ে বেশি। অনেকে আবার মোবাইলে সুন্দর এসএমএস এর মাধ্যমেও শুভেচ্ছা জানায়।

আজ ৭ আগস্ট রবিবার বন্ধু দিবস ঘিরে ইতিমধ্যেই অনেকেই অনেক কিছু ঠিক করে রেখেছেন। প্রিয় বন্ধুর প্রতি নিজের ভালোবাসা ও উষ্ণ অনুভূতি প্রকাশের জন্য বন্ধুকে কী উপহার দেবেন, এ নিয়ে অনেকেই ব্যস্ত এখন। বন্ধুর জন্য উপহার হিসেবে অনেকেই হয়তো কিনছেন ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড, কার্ড, ফুল, চকলেটসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার। আবার অনেকেই হয়তো কাজের ব্যস্ততায় কী করবেন, এখনো ঠিক করে উঠতে পারেননি। তবে শত ব্যস্ততার মধ্যেও এসব বিশেষ দিনে বন্ধুকে একটি সুন্দর খুদে বার্তা বা এসএমএসের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো উপহারের চেয়ে আর কম কিসে! বিশেষ বিশেষ দিনে পাঠানো এসব শুভেচ্ছা বার্তাই আসলে দিনটির প্রথম উপহার। বন্ধুকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে পারেন বন্ধুর মুঠোফোনে, ই-মেইলে অথবা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে।

এসএমএস উপযোগী নানা রকম সুন্দর, মজার মজার বার্তার সংগ্রহ নিয়ে ইন্টারনেটে রয়েছে অসংখ্য ওয়েবসাইট। সুন্দর সুন্দর এসএমএসের সংগ্রহ নিয়ে তৈরি করা কিছু ওয়েব ঠিকানা।

বন্ধু দিবস ও বন্ধুকে শুভেচ্ছা পাঠানোর জন্য অসংখ্য এসএমএসের সংগ্রহ রয়েছে এই সাইটে। রয়েছে সরাসরি ফেসবুক বন্ধুদের এসএমএস পাঠানোর সুবিধা।

বন্ধু দিবসের এসএমএসের ভালো সংগ্রহ নিয়ে আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো www.sms44.com।

বন্ধুকে মজার মজার এসএমএস পাঠাতে চান, তবে ঘুরে আসতে পারেন www.sms4smile.com সাইটটি। বন্ধু দিবস ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মজার এসএমএসের সংগ্রহ আছে সাইটটিতে।

মুঠোফোনের জন্য বিভিন্ন ভাগে সাজানো এসএমএসের সংগ্রহ নিয়ে আরেকটি ওয়েবসাইট িি.িংসং২বাবৎুড়হব.পড়স। এখানে এসএমএস শেয়ার করার সুবিধাও যুক্ত করা রয়েছে প্রতিটি বার্তার সঙ্গে।

এ ধরনের আরও কিছু ভালো সাইটের ওয়েব ঠিকানা হলো

www.smsbunch.com,

www.smscollection.com,

www.freesmsfun.net

www.efreesms.com,

www.free2sms.info,

www.smsfunonline.com,

www.smsdose.com, ইত্যাদি।

সূত্র: উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ

মাহবুব এইচ শাহীন/ প্রকাশক ও সম্পাদক/কাগজ২৪

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!