মোঃ আল আমিন রহমান- বিশ্ব বিবেক
বিশ্ব বিবেক
মোঃ আল আমিন রহমান
জুড়ে প্রচারিত হয়
বৌদ্ধরা নাকি অহিংস জাতি
তাহলে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে
মিথ্যা অযুহাতে জঙ্গি নিধনের নামে
এসব হচ্ছেটা কি?
যে দেশের রাষ্ট্র প্রধান
সামরিক তন্ত্রের বিপক্ষে
অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
সে দেশের রাষ্ট্র প্রধান হয়ে
আরাকান রাজ্যে নির্বিচারে
রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায়
সামরিক বাহিনীর উস্কানিতে
সংখ্যালুঘু মুসলিম নিধন হয়।
সংখ্যালুঘুদের বাড়ি-ঘরে আগুন
সহায় -সম্পদ লুণ্ঠন
বিনা অপরাধে নিরাপরাধ মানুষ খুন
নিস্পাপ শিশু হত্যা, নির্যাতন
নারী ধর্ষণের পর উরু,স্তন, মস্তক ছেদন।
ছিঃ ছিঃ একি লজ্জা! অমানবিকতা
আগুনে পুড়িয়ে জ্যান্ত মানুষ হত্যা
উলঙ্গ করে পানিতে চুবে
জাঙ্গ দিয়ে, লাথি মেরে
দড়িতে বেঁধে মাথায় আঘাত করা।
এটা কোন বর্বরতা
মিয়ানমার মুসলিম টুইটারে
পোষ্ট করা ছবিগুলো যেই দেখেছে
গুমরে গুমরে সেই কেঁদেছে।
এ যে একাত্তরের ভয়াবহতা
যারা মুক্তিযুদ্ধ কি জানেনা?
শহীদদের আত্মাহুতি ও নির্যাতন দেখেনি
পাকিস্তানি আর রাজাকারের বর্বরতা দেখেনি
নারী নির্যাতন আর ধর্ষনের কাহিনী পড়েনি
তাদের জন্য মিয়ানমারের এ ঘটনা উদাহরণ।
যতই নির্যাতন আসবে
বিশ্ব বিবেক যদি ঘুমিয়ে থাকে
রোহিঙ্গারা বাধ্য হয়েই হিংস্র হবে
জন্মভূমির কি যে মায়া – মমতা
সহায় -সম্পদ, প্রিয়জন হারানোর কি বেদনা
এটা কড়ায়- গন্ডায় বুঝে নেবে।
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে
মুসলিম অধ্যুষিত রোহিঙ্গায়
জাতিতে জাতিতে দাঙ্গা বাঁধানো
শান্তিকামী মুসলিম বিশ্বকে
অশান্ত করার নয়তো ষড়যন্ত্র
নাকি বিশ্বজুড়ে ঠান্ডা মাথায়
মুসলিম নিধনের কোন মহা ষড়যন্ত্র!
জাতিসংঘ এই মানবিক বিপর্যয়ের
তদন্ত করতে আসবে, সাহায্য দেবে
ভিসা দেবে না মিয়ানমার সরকার
অং সান সুচি কি এতই ক্ষমতাধর
বিশ্ব জুড়ে এই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড়।
জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্হা
ক্ষমতাধর রাস্ট্র প্রধানগণ
সকল অত্যাচারী, জুলুমবাজদের
শায়েস্তা করতে না পারলে
প্রতিরোধ আর প্রতিশোধের অনলে
দেশে দেশে পুড়বে মানবতা,
বিশ্ব বিবেকের পরাজয় ঘটবে
কেউ পাবে না ছাড়া।