বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ফখরুলকে দায়িত্ব দিয়েছে ২০ দলীয়জোট
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
২০ দলীয় জোটের বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে জোটের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে জোট নেতারা বলেন, বর্তমান সরকারকে হটাতে বৃহত্তর ঐক্যের বিকল্প নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
বৈঠকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার বিষয়ে জোট নেতাদের অবহিত করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই জনসভাটি আমরা দলের পক্ষ থেকে করতে চাই। বিএনপির জনসমর্থন নেই বলে সরকার যে দাবি করে আসছে সেই চ্যালেঞ্জ নিতেই আমরা এককভাবে জনসভা করার চিন্তা করছি। জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগমের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই বিএনপির জনসমর্থন কমেনি বরং বেড়েছে। পরবর্তীতে জোটের পক্ষ থেকে সমাবেশ করা হবে। এতে জোট নেতারাও সমর্থন জানান।
বৈঠকে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি, আগামী দিনের আন্দোলন ও নির্বাচনসহ সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এসব ইস্যুতে জোট নেতাদের মতামত নেওয়া হয়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, ইসি পুনগর্ঠন, সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনসহ রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় ঐক্যের পক্ষে মত দেন তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে জোটের সমন্বয়কারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, লেবার পার্টির এক অংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খাঁন, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর দুই অংশের মাওলানা নুর হোসেন কাশেমী ও মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম উপস্থিত ছিলেন।