বেগম জিয়ার মুক্তিই হোক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অংগীকার-রুমানা মাহমুদ
তানভীর মাহমুদ পলাশ, সিরাজগঞ্জ, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আজ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।
সকাল ৬ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকাল ১০ টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ।
সকাল ১১ টায় র্যালী উপলক্ষে জেলা বিএনপি, বিভিন্ন থানা/পৌর/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, কৃষক দলসহ অন্যান্য অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা স্ব স্ব ইউনিটের মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে সমবেত হয়।
৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৪১ টি বেলুন উড়িয়ে র্যালী শুরু হয়।
এরপর স্থানীয় ভাষানী মিলনায়তন সবুজ চত্বরে বেলা ১২ টায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করা হয়। এরপর জেলা জাসাস এর পরিবেশনায় জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম-সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন ও নূর কায়েম সবুজ। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মজিবর রহমান লেবু, আজিজুর রহমান দুলাল, উদযাপন কমিটির আহবায়ক সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, অর্থ কমিটির আহবায়ক সহ-সভাপতি শ্রী অমর কৃষ্ণ দাশ, ১ম যুগ্ম-সম্পাদক ভিপি শামীম খান, মুন্সী জাহিদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, মীর্জা মোস্তফা জামান, বিএনপি, অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
রুমানা মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বেগম জিয়ার মুক্তির লক্ষে নিজেদের উৎসর্গ করাই হোক আমাদের আজকের অংগীকার। তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, ২ বারের বিরোধীদলীয় নেত্রী, সাবেক ফার্স্টলেডী, সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্টের স্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আজ ভিত্তিহীন মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। আমরা যদি দলের নেতা-কর্মীদের ইস্পাত-কঠিন ঐক্য ধরে রাখতে পারি এবং দলের চেইন অব কমান্ড মেনে সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে পারি, তবে অচিরেই অবরুদ্ধ দেশমাতা, অবরুদ্ধ দেশকে মুক্ত করতে পারব ও লুন্ঠিত গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব। সেই আন্দোলনে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমি রুমানা মাহমুদ সামনের কাতারে থাকব। পূর্বেও গুলির মুখে রুখে দাঁড়িয়ে গুলিতে আহত হয়েছি, ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আবারও দাঁড়াব। পরিশেষে তিনি সকল নেতা-কর্মীদের এই ব্যাপক জনসমাবেশ ঘটানোয় এবং সফল প্রোগ্রাম উপহার দেয়ায় ধন্যবাদ জানায়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।