বেতন বোনাসের দাবীতে পাবনায় শিক্ষক-কর্মচারী র্কম বিরতির মাঝে ও মানববন্ধন বিক্ষোভ দর্শন
সৈয়দ আকতারুজ্জামান রুমী,পাবনা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পাবনা শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের দেড় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী বেতন বোনাসের দাবীতে কলেজের তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রর্দশন, কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছেন।
কলেজের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের উদাসীনতায় শিক্ষক-কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন ও চলতি ঈদুল ফেতরের বোনাস বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সকল কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক- কর্মচারীরা।
বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ, কলেজ পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ চলে আসছিল। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম কলেজের এডহক কমিটি গঠনে তার মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে করার পরামর্শ দেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খান তার মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের অনৈতিক ভাবে ম্যানেজ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে আনেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই কমিটি অনুমোদনের পর কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানের উপর অসন্তোষ্ট হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মন্ত্রী কমিটি অনুমোদনের পরপরই কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইদ্রিস আলী বিশ্বাসকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। একই সাথে আসন্ন ঈদুল ফিতরের বোনাসও বন্ধ রয়েছে। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষকরা বলেন, এই জুন মাসে বেতন বিলে স্বাক্ষর না হলে তিন মাসের বেতন ফেরত চলে যাবে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা জালাল বলেন,,বেতন বোনাসের জন্য বারবার অধ্যক্ষকে চাপ দেয়া হলেও অধ্যক্ষ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দেব দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করছেন বলেও অভিযোগ তাদের। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, ঈদের আগে বেতন বোনাস না পাওয়া গেলে আর কঠিন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
কলেজের ভারপাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি নন বলে ফোন কেটে দেন। কলেজের সভাপতি ইদ্রিস আলী বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিপ করেননি।