সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার রায় ২০ জানুয়ারি
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
রাজধানীর পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ২০ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার জানান, পর পর পাঁচদিন রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ ২০ জানুয়ারি ধার্য করেছেন। এর আগে আদালত ৪৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সচেষ্ট হয়েছি। আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির সমাবেশে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় পাঁচ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আসামিদের বিরুদ্ধে নিভৃরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিল। এরপর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও ২০০৫ সালের আগস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা হয়। এ ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার পর ২০০৫ সালে মামলাটি আবার পুনঃতদন্তের আদেশ দেয়া হয়। মামলাটি পুনঃতদন্তের পর ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মৃনাল কান্তি সাহা। এর পরের বছর ২১ আগষ্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন-মুফতি আব্দুল হান্নান, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম। আসামিদের মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আর শেষের সাত জন পলাতক রয়েছেন। ওই সমাবেশে বোমা হামলায় চার জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়। নিহতরা হলেন-খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মন্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুটমিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন, খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস।